দীপক বড়ুয়া
ঋষিতার মুখে খই ফুটে।
কালো মেঘে ঝুপঝুপ বৃষ্টি পড়ার সময়। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে
বৃষ্টির জল গড়িয়ে পরে। আনন্দে বৃষ্টি ফোটা ছুঁয়ে হাসে। মাঝেমধ্যে কোমল ঠোঁট কামড়ে ভাবে। শব্দ ছাড়া সময় হাঁটে।
মেঘের গর্জন ওঠে। বিদ্যুৎ চমকায়। চমকানো বিদ্যুৎকে ভীষণ ভয় পায় ঋষিতা। বুকে ঝাঁপিয়ে জড়িয়ে ধরে।
অদ্ভুত শিহরণ। শরীরে ভয়ংকর সুমানির হাওয়া শুরু। ভাবি,
এমনি ঘটে অনাহুত সব।
ঋষিতা কাছের আপনজন কেউ নয়। ওর চটাং চটাং কথা, বড় স্বরে চেঁচানো পছন্দের নয়। একই ক্লাসে পড়ি, ফাস্ট ইয়ার, রাঙামাটি সরকারি কলেজে। ইশকুলেও একসাথে পড়তাম। পাশাপাশি বাড়ি। পারিবারিক যোগাযোগ আছে।
মা,বাবা ওদের বাসায় যায়, ওরাও আসে।
আমাদের বাড়ির পেছনে সুনীল পাহাড়। পাহাড়ে ছোটবড়
কত গাছগাছালি। নাম জানি না অনেক গাছের। হাওয়ায় দোলে। পূর্ণিমা রাতে পাহাড়ের সৌন্দর্য বাড়ে। সুনসান পাহাড়।
চাঁদের স্নিগ্ধ আলো কিলবিল করে। জোনাকিরা উড়ে। আমার রুমের জানালা পাহাড়ের দিকে।
ঝিমঝিম চাঁদরাতে পাহাড় দেখি। কত কি মনে ভাবি। পাহাড় একা,নিঃসঙ্গ। তার নরম কোলে কচিকচি গাছ, সবুজে ঢাকা। উপরে চাঁদের আলো চিকচিক করে। মূহুর্তে পাহাড়ের কোলে যেতে ইচ্ছে হয়। পাহাড় উঁচুতে উঠতে সাধ জাগে। জানি সম্ভব নয়। শুনেছি মন রকেটের চেয়ে দ্রুত গতির। মনকে বলি,চল পাহাড় শিখরে উঠি। মন না করে না। মন বলে, চল। পাহাড়ে উঠি। মন আরো বলে, তাড়াহুড়ো করোনা। ধীরে ধীরে, পা পিছলে যাবে। আমি তাই করি। একসময় পাহাড়ের শিখরে পৌঁছি। কি সুন্দর ধবধবে। এখানে দাঁড়িয়ে পুরো রাঙামাটি শহর দেখা যায়। কাছে দূরে পাহাড়ের সারি। কারো বাড়িতে আলো নেই। নিঝুম অন্ধকারে গিলে আছে। কিন্তুু পাহাড় উঁচুতে অদ্ভুত চাঁদের আলো। হঠাৎ চাঁদের আকাশে মেঘের আগমন।
মন বলল, বৃষ্টি নামবে, চল ফিরে যাই। আমি বললাম, পাহাড় উঁচুতে বৃষ্টি দেখার সখ। না না তা’ হয়না। বৃষ্টিতে নামানো যাবেনা। অবাধ্য হয়ো না। তখন বৃষ্টি পড়ে টুবটুব। মনে রাগ হয়। আমি ফিরি।
কলেজে একজন নতুন মেয়ে দেখলাম আজ। সুন্দরী, স্মার্ট।
উজ্জ্বল শ্যামলা, টানাটানা চোখ। সেলোয়ার-কামিজ পরেছে।
লাল টুকটুক ফুলে ফুলে ভরা। বুকে টকটকে লাল শিপনের ওড়না। লম্বা নয়, খাটো নয়, ঠিক মাঝারি খোলা চুল। এটা এই যুগের ফ্যাশন। মিষ্টি চেহারা। মুখ অবয়বে মুক্তো ঝরে যেন।
ঋষিতা অহংকারে মেয়েটির কাছে যায় না। অন্য মেয়েরা কথা বলছে। মেয়েটি বলছে, বাবার ট্রান্সপারে এই কলেজে ভর্তি হওয়া। বেশতো ভালোই হল।
একদিন ঋষিতার সাথে কথা বলতে দেখে রাতে বাবা আমাকে ডেকে বলল, তুমি এখন কি পড়ছ।
হঠাৎ বাবার এমন প্রশ্নে অবাক হই। বাবা আবার প্রচণ্ড রাগী।
ভয়ে বললাম, ফাস্ট ইয়ারে।
– এর বেশি কিছু করবে না। ভালো করে পড়বে। জীবনটা বড় কঠিন। প্রতিষ্ঠিত হতে হলে একাগ্রতা চিত্তে পড়াশোনা করবে।
– আচ্ছা বাবা।
বাবা চলে যায়। বুঝতে পারি ঋষিতার সাথে ঘনিষ্ঠতা কথা বলা বাবার পছন্দের নয়। ঋষিতা আমার কে? পাশাপাশি বাড়ি, একই ক্লাসে পড়ি, দেখাদেখি হয় এইটুকুইতো।
নতুন মেয়েটির নাম আগমনী। সেও ফাস্ট ইয়ারের ছাত্রী। আমাদের ক্লাসেই পড়ে। মেয়েটি ভারী মিষ্টি। নিজেই কথা বলে,
– আপনিতো দুর্দান্ত।
আমি অবাক। নতুন এলো মেয়েটি। এত সহজ,সরল। নিজে থেকে কথা বলছে। আমিও লোভ সামলাতে পারলাম না। বললাম, হ্যাঁ আমি দুর্দান্ত। আপনি নিশ্চয়ই আগমনী।
আগমনী ঠোঁট কামড়ে হাসে। লজ্জা যেন আগমনীর ভূষণ। মাথা নুইয়ে তখনও হাসে। ছোট্ট করে বলে, আপনি দারুণ। ব্যক্তিত্ব আপনাকে চমৎকার ভাবে গ্রাস করে আছে।
পুরুষের এটাই মানায়। আপনার বাড়ি কোথায়?
– বাড়ি? হঠাৎ এই প্রশ্ন!
– দোষের কি হল? জানাটা কি অন্যায়। আগমনীর ফিরতি প্রশ্ন।
– না তা’ নয়। আমি স্থানীয়। রাঙামাটি আমাদের বাড়ি।
আপনার বাড়ি?
– চট্টগ্রাম। বাবা সরকারি চাকুরে। ট্রান্সপার হয়ে রাঙামাটি আসা।
– আপনাদের রাঙামাটি ভারী সুন্দর। পাহাড়ের পরে পাহাড়। তা ও উঁচুনিচু কত। গাঢ় সবুজের বিছানায় ঢাকা। কত লেক।
অদ্ভুত ভালোবাসা আছে রাঙামাটির জন্য। ধুলোবালি নেই, নীরব নিস্তব্ধতায় পূর্ণ। রাত নামলে একটি সুন্দরী রাজকন্যার মত মনে হয় রাঙামাটিকে।
– বেশতো,সারা জীবনের জন্য থেকে যান। আমিও বলি।
হুট করে ছুটে এসে ঋষিতা দু’জনের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে বলে,
– ব্যাপার কি? এত ঘনিষ্ঠতা কিসের? কি বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রেম-ট্রেম নয়তো!
আগমনী শান্ত, চঞ্চল নয়। নীরবে কথা না বাড়িয়ে ছোট ছোট পা ফেলে চলে যায়।
আগমনীর চলে যাওয়া দেখে মনে হয়, সে সম্মানী একজন মেয়ে। অকারণে নিজের সম্মানকে জলাঞ্জলি দিতে চায় না সে। ভালোই হল। আমি এমনিতেই ঋষিতাকে পছন্দ করি। ভারী কর্কশ ভাষায় কথা বলে। কি ভাবল আগমনী। ছি: ছি:!
আগামীকাল কিভাবে কলেজে আগমনীর মুখোমুখি হব।
দিন যায়,মাস যায়, বছর ফুরোয়। কখন মাষ্টার্স শেষ হলো টেরই পাইনি। আমার ও চাকরি হল সরকারি ব্যাংকে। বাবা একদিন রাতে খাবার টেবিলে বলল, দুর্দান্ত তোর বিয়ে ঠিক করেছি। আগামী মাসের ছয় জুন। আমারও রিটায়ারের সময় হল। আগামি বছর আমার চাকরি শেষ। আমার সংসার ছোট।
তোর লেখাপড়ায় অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তবে বেগ পেতে হয়নি। কারণ সংসার বড় করিনি। তুইও সংসার বড় করবিনা। ছোট সংসার ভালো,মঙ্গলের। ছেলে হোক, মেয়ে হোক একটির বেশি সন্তান নিবিনা।
বাবা এই রকমই। বাস্তববাদী। বন্ধুর মত কথা বলে। তারপরও বাবাকে ভীষণ ভয় করি। বেশি রাগী, একরোখা। মাও বাবাকে ভয় পায়।
বাবার অনেক কথা বলার ফাঁকে বলি, বাবা, একটি কথা বলব?
– বল, ভয় পাবিনা। নির্ভয়ে বল।
– মেয়েটি কে? যার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করলে, তার সম্পর্কে কিছুই জানলাম না।
বাবা একটু হেসে বলে,তুই বড় হয়েছিস,সরকারি চাকরি পেয়েছিস। সত্যি, তোর নতুন জীবন শুরু হবে। তোর নিশ্চয়ই জানার অধিকার আছে। মেয়েটি তোদের কলেজের। তোর সাথে পড়ত। নাম আগমনী।
আমি আনন্দে উৎফুল্লে বাবাকে ধন্যবাদ জানাই। বাবার পা ছুঁয়ে প্রণাম করে ভাতের টেবিল ছেড়ে চলে যাই।
যথাসময়ে দিনক্ষণ দেখে সুদিনে আমাদের বিয়ে হয়। বাসর ঘরে আগমনীর ঘোমটা ভেঙে দেখি। কি অদ্ভুত সুন্দরী। উপন্যাসের রাজকুমারীর মত রূপে অনন্য। আগমনী শ্যামল বরণ। তা’তে কি? রূপ-লাবণ্যে অদ্বিতীয়া। আমি নিচু গলায় বললাম,আগমনী আমি অনেক খুশি। কলেজে প্রথম দেখায় তোমাকে আমার ভালো লেগেছিল। মনে মনে বউ হিসেবে পাবার জন্য উদ্বিগ্ন ছিলাম। সত্যিই, সৃষ্টিকর্তা আমার কথা রেখেছে।
– আমার ভাবনা ছিল ভিন্ন।
আমি কিংকর্তব্য বিমূঢ়, আগমনীর কথায়। টুক করে প্রশ্ন করি,
– তুমি এই বিয়ে খুশি নও?
– জন্ম মৃত্যু বিয়ে, এই তিন বিধাতাকে নিয়ে, এই কথাটি সবসময়ই আমি বিশ্বাস করি। এটা জোর করে হয়না। যতই বলিনা কেন? আমি ওকে পছন্দ করি, ওকেই বিয়ে করব। তা’ সব সময় হয়না। যেমন আমার হলনা।
– মানে! তুমি কাউকে ভালবাসতে?
– না। তবে আমার চাকুরীজীবী স্বামী পছন্দের ছিলনা।
– ব্যবসায়ী?
– হ্যাঁ, ঠিক তাই।
– কারণটা জানতে পারি।
– না, হৃদয়ের কথা হৃদয়ে থাকুক। বলা যাবে না। তবে এই বিয়েতে আমি অনেক খুশি। তবে আমার একটা চাওয়া আছে তোমার কাছে। এটা আমার স্বপ্ন বলতে পারো।
– কি? আমিও প্রশ্ন করি।
– আমার চার সন্তান চাই। সেই মেয়ে হোক, ছেলে হোক।
বাবার কথাটা বারবার মনে পড়ল। আগমনীর চাওয়ার উত্তরটা কিভাবে দিই ভাবি। আমাকে ভাবতে দেখে আগমনী জিজ্ঞেস করে, তুমি চুপ কেন দুর্দান্ত। বল বল।
– আমার বাবার ভিন্ন মত আগমনী।
– সেটা কি রকম! আগমনী ও প্রশ্ন করে।
– বাবা বলে, সংসার ছোট হলে মানুষ করতে আর্থিক কষ্ট পেতে হয়না।
আগমনী বড় গলায় হেসে বলে, দুর্দান্ত জানো? আমার মা- বাবার ঘরেও তোমার মত আমি একটি সন্তান ছিলাম। ছোট কত অসহায় জীবন। বড্ডো একা ছিলাম। মা – বাবা বেরুলেই কথা বলার কেউ ছিলনা। কাজের মেয়ে ছিল।সে তার কাজে ব্যস্ত। আমি একা, কখনও নিজের ঘরে, নয় ড্রইংরুমে, নয় বাবার রুমে। কিচ্ছু ভালো লাগতো না। হঠাৎ বড় হয়ে গেলাম।বিয়ে হল। আমি চাইনা,আমার সন্তান একাকিত্ব জীবনে বড় হোক। দুই তিনজন থাকলে আমরা না থাকলে ওরা ভাইবোন খেলে,সময় কাটাতে পারবে।
আমি এই কথাটি একটিবারের জন্যও ভাবিনি। আমি ও একা বড় হয়েছি। তবে আমি ছেলে ছিলাম। বড় হতেই বাইরে খেলতে ছুটে যেতাম খেলার মাঠে, না হয় গলিতে ক্রিকেট খেলছি। আর একটি মেয়ের তো সেই স্বাধীনতা নেই। আগমনী সত্যিই বলেছে।
কিছুদিন পরে রাতে একদিন খাবার টেবিলে বসে ভাত খাচ্ছি। আগমনী, মা, বাবা, আমি। বাবা আগমনীকে বলছে,
– বউমা, একটি বলছি, শোনো।
– বলুন বাবা,কি কথা।
– বউমা কথাটি শুনতে খারাপ লাগবে জানি। বর্তমান একবিংশ শতাব্দীতে পা রাখছি। সবকিছুর আকাশ উঁচু দাম। পরিবারে কত খরচ! খাওয়া, চিকিৎসা, ইলেক্ট্রিক, গ্যাস, ওয়াসার বিল, তার উপরে আছে সামাজিকতা। সেজন্য বলছিলাম, সংসার বড় করার ইচ্ছে রাখবে না। একটি সন্তানই যথেষ্ট। ছেলে হোক, মেয়ে হোক! এটা আমার কথা নয়, সরকারী স্লোগান।
আগমনী লজ্জায় মাথা নুইয়ে ভাবে, আমার শ্বশুরতো অতি আধুনিক মানুষ। বউমার সাথে এতটা ফ্রী, নিঃসংকোচে সত্যি কথা বলতে পারেন? এটাতো আমাদের স্বামী স্ত্রীর অত্যন্ত ব্যক্তিগত কথা।
দুর্দান্তের বাবা না থেমে আরও বলে, আমাদেরইতো একটি মাত্র সন্তান দুর্দান্ত। এরপরও কত কষ্টে ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়ে বড় করতে হয়েছে। আর সন্তান নিতে দেরি করোনা। তাড়াতাড়ি সন্তান হলে মানুষ করা যায় দ্রুত।
আগমনী মনেমনে বলে, বাবা এই কথাটি যথার্থ বলেছেন। দেরিতে সন্তান নিলে মানুষ করা কষ্টের। কথা শোনে আগমনী নিজের জীবনের একাকীত্বের কথা বলতে চেয়ে সাহস পেলো না বলার।
একদিন যথাসময়ে আগমনী প্রেগন্যান্সি হল। শ্বশুর শ্বাশুড়ি দারুণ খুশি। দুর্দান্তও তাই। প্রতি মাসে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় দুর্দান্ত। আগমনীর ইচ্ছে কম হলেও তিন সন্তানের মা হবে। আমার সন্তানেরা একা থাকবে না আমার মত। কিন্তু আবার শ্বশুরের ভয়ে জড়োসড়ো। এ বিষয়ে দুর্দান্তের সাথে কথা বলাটাও মূল্যহীন। সেও তার বাবার মতই।
একদিন দুপুরে ছয়মাসের মাথায় আলট্রাসনোগ্রাপীর রিপোর্ট নিয়ে আসে দুর্দান্ত। যমজ সন্তানের আভাস পাওয়া যায়। তা-ও একটি মেয়ে,একটি ছেলে। আগমনী খুশিতে আত্মহারা।
ফকফকা দুপুর। সূর্যের আলোয় পুরো পৃথিবী বিকশিত। দুর্দান্ত ও খুশি। ডাক্তারের চেম্বার থেকে ফেরে কাপড় ছাড়তে ছাড়তে বলে, একটি কথা বলব আগমনী। আগমনীর ঠোঁটে হাসি। হাসি দেখে দুর্দান্ত আগমনীর মনের কথা বুঝতে পারে। দুর্দান্ত ও বলে, তুমি আজ দারুণ খুশি, একটা অসাধারণ খবর শোনে।
– খুশি হব কেন? আগমনীর উৎসুকী প্রশ্ন।
– তোমার মনের আশা পূর্ণ হতে যাচ্ছে।
– ও তাই ——–! তুমি খুশি নাহ্!
– অবশ্যই খুশি । তুমি খুশি থাকলে আমার মন ভরে যায়।
– সবচে’ মজার কি জানো? আমার কোল জুড়ে আসবে এক ছেলে,এক মেয়ে। এটা কি কখনও সম্ভব বলো। কতটা ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে এই দুর্লভ আশা পূরণ হয় জানো? আচ্ছা, বাবার রাগ হবে না। বাবার ইচ্ছে ছিল একটি সন্তানই যথেষ্ট।
– বাবা কার উপর রাগ করবে। এটাতো তোমার ইচ্ছেই হয়নি, ভাগ্যের। ভাগ্যের উপর কারো হাত থাকতে পারে। ভগবানের আশির্বাদে হল। তা’তে বাবার রাগ করার কিছুই নেই।
দুর্দান্তের কথায় আগমনী স্বস্তি পায়। লজ্জাকে দূরে ঠেলে দুর্দান্তকে জড়িয়ে ধরে আগমনী সহজে দশমাস পরের জীবনে চলে যায়।
কি সুন্দর ফুটফুটে একটি মেয়ে, একটি ছেলে পাশাপাশি । হাত নাড়ছে, পা নাড়ছে, টোল পরা গালে হাসছে।
দীপক বড়ুয়া, শিশুসাহিত্যিক ও গল্পকার