ঘুড়ি ছাগলের বাস্তবতা
ওড়ো, উড়তে উড়তে আকাশের
শেষ সীমা পর্যন্ত উড়তে থাকো।
যেখানে মেঘেরাও পৌছঁতে পারে না।
সেই অন্তহীন আকাশ মণ্ডল ঘুরে এসো।
গৃহ ভূপাতিত হলে ছাগলেরা অনায়াস চালে উঠে বসে।
এ কথাও মনে পড়ে না, তারও
একজন সুসভ্য মালিক ছিলো
বেঢপ ছাগল তার সীমাঘের বুঝতে পারে না।
ছাগলেরও যে জাতপাত থাকে
ছাগল বোঝে না
বেপরোয়া ছাগল যেমন বোঝে না
রঙিন ঘুড়িও লাটাইয়ের নাগাল থেকে ছাড়া পেলে পতপত করে
মেঘকে তোয়াক্কা
না করে ঢুকতে থাকে জলজ বাষ্পের মেঘের গভীরে
অনেক অনেক নীচে কার্তিকের
ন্যাড়া জমিনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ঘুড়ির মালিক চুপচাপ
অনন্ত আকাশে আর ঘুড়িটার
পায় না ঠিকানা
অতঃপর অনতি আঁধারে এক সময়ের টান টান সুতো ঢিলে হয়ে আসে।
দীর্ঘ সময়ের পর সুতোগুলো সহ
প্যাঁচ খেয়ে জলজ বিদীর্ণ ঘুড়ি
মালিকের পায়ে এসে পড়ে।
মৃত ঘুড়ি বুঝতেই পারে না আগামী দিন কার্তিকের অপরাহ্ণে
এই একই মালিকের হাতে
উড়তে থাকবে হয়তো-বা অন্য এক
অধিক সুন্দর লেজবিশিষ্ট রঙিন ঘুড়ি।
মানুষ প্রকল্প
আত্মার জমিনে হোক
ইশকের চাষাবাদ
প্রেমের জরায়ু থেকে
সপ্ত আসমান আর
জ্যোতির নক্ষত্র গুচ্ছ, তার
সব জ্যোতি ধাবমান
মানুষের অনন্ত রুহের
জ্যোতির্ময় আলোর বাগানে।
সে বাগানে থাকে
একজন প্রদীপ্ত পৌরুষ,
পুরুষোত্তম সে, মানুষ গড়ার
কারিগর। দু’হাতে ছড়ায়
মানুষ প্রকল্প।
আমাদের অঙ্গে অঙ্গে তোমারই চিহ্ন
তাই তুমি আজ নিখাদ অভিন্ন।
আমার সুযাত্রা শুধু তোমারই দিকে
হে অমিয় হে পীযূষ,
তুমি তো বলেছো আমি তোমা থেকে এসেছি এ ভূমে
ফিরে যাবো তোমারই দিকে
এ প্রত্যাবর্তন সে কি বৃহস্পতি আলোর
টানেলের মধ্য দিয়ে একজন
অনঙ্গ আলোর বিমূর্ত প্রতীক
আমি তো তোমার একমাত্র
অঙ্গিত পুরুষ আর একই সঙ্গে
নারীত্বের অমৃত নির্যাস
আমাদের মধ্যিখানে ইশকের
নুরের সুপথ, আর
যদি জ্বলবার ইচ্ছে করো
তবে ক্ষতি নেই আমরা উভয়ে
প্রেমের আগুনে সৃষ্ট জাহান্নাম
থেকে ছুড়ে দেবো অনন্তর
ইল্লিনীয় মানুষ প্রকল্প।
শেষের দেশের ভাব
কতদূর যাবো, কোথায় পথের শেষ
এখনো মেলেনি কোথায় শুরুর দেশ।
যতই পারো আউল বাউল বলো
পাগল কিম্বা গৃহ সন্ন্যাস বলো
ছুটছি আমি রুদ্ধশ্বাসে ধেয়ে
উঠছি কেবল হাওয়ার সিঁড়ি বেয়ে
সুন্দরীপুর আমার বাড়ির পরে
সুন্দর সে থাকে আমার ঘরে
রাত্রি শেষের মাহেন্দ্রক্ষণ ডাকে
রতিক্রিয়া দেখবো আলোর ফাঁকে।
কাল রাত্রিই আরশ কাঁপার ক্ষণ
আমার এ ঘর হবে দূরের বন।