এখন সময়:দুপুর ২:২৩- আজ: মঙ্গলবার-২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-বসন্তকাল

এখন সময়:দুপুর ২:২৩- আজ: মঙ্গলবার
২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-বসন্তকাল

জেগে থাকুক বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনায়

স্থিতি, শান্তি, স্বস্থি, সহিষ্ণুতা, সম্প্রীতি ও শৃংখলা— একটি জনকল্যাণমুখী আধুনিক রাষ্ট্রের সার্বিক শ্রীবৃদ্ধির প্রধান উপকরণ ও উপাদান—এব্যাপারে কারো কোনো দ্বিমত থাকার অবকাশ নেই। মানুষের যে পাঁচটি মৌলিক অধিকার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা এগুলোর বাস্তবায়ন ও বাস্তব প্রতিফলনের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের ভারসাম্যমূলক পরিশুদ্ধ ও সমৃদ্ধ সমাজব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং তখনই সাম্য, সৌভ্রাতৃত্ব, সম্পদের সুষম বণ্টনের মধ্য দিয়ে বৈষম্যমূলক সমাজ কাঠামোটি সর্বজনীন ও গণমুখী সুষমায় আলো ছড়ায়।
এই উপমহাদেশে একমাত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এবং ৩০ লক্ষ মানুষের সম্মিলিত রক্তধারায় শৌর্য-বীর্য-ত্যাগের মহিমায়। এই অর্জন সাধিত হয়েছে দীর্ঘ চব্বিশ বছরের লড়াই-সংগ্রাম আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এবং ঔপনিবেশিক শোষণ, দাসত্ব ও বৈষম্য মোচন ও মুক্তির অভিপ্রায়ে ৫৩ বছর আগে ১৯৭১ সালে। এই তিপান্ন বছর খুব একটা বেশি সময় নয়; আবার কমও নয়। কেন কম নয় —এরই মধ্যে বাংলাদেশের তেরশত নদ-নদীতে অনেক জল গড়িয়েছে, অনেক নদী গতি হারিয়ে শুকিয়ে গেছে, সাড়ে সাতকোটি মানুষের সংখ্যাটি ১৮ কোটির কাছাকাটি পৌঁছেছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অদল-বদল হয়েছে, ধনী আরও ধনী হয়েছে, গরিব আরও গরিব হয়েছে, ক্ষমতার ভীত পাকাপোক্ত করতে সংবিধান কাঁটাছেড়া করা হয়েছে, অধিকার ও দাবি আদায়ে রক্ত ঝরেছে, দু’জন রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করা হয়েছে, সামরিক স্বৈরাচার দেশ চালিয়েছে, গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছে, টানা সতের বছর ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন ইত্যাদি ইত্যাদি নেতিবাচক তালিকা লিখতে এক রিম কাগজেও কুলোবে না। তবে এটাও ঠিক, অর্জন ও প্রাপ্তির তালিকাও দীর্ঘ। বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ। প্রায় ১২টি মানবিক ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে অনেক এগিয়ে। তবে চাওয়া-পাওয়া, হারানো-না পাওয়ার হিসেব নিকেশ বিশ্লেষণে না গিয়েও বলা যায় বাংলাদেশের নব জাগৃতির উদিত-উজ্জ্বল সম্ভাবনাটি ছিনতাই হয়েছে, এটা বললে খুব বেশি বাড়াবাড়ি হবে কি? না তা মোটেও বাড়াবাড়ি নয়। সম্পাদকীয়’র শুরুতেই জনকল্যাণমুখী আধুনিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের যে ছটি উপকরণ ও উপাদানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোর একটিরও সিংহভাগ উপস্থিতি বর্তমানে বিদ্যমান নয়। ১৩০০ নদ-নদী, সমুদ্রের পলল বিধৌত পৃথিবীর বৃহত্তম উর্বরতম এই বঙ্গজ ব-দ্বীপ প্রাকৃতিক সম্পদ ঐশ্বর্যে টইটম্বুর আদি ও অনাদীকাল থেকে। হাজার বছর ধরেই পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে দুর্বৃত্ত বেশে ছুটে আসা বণিক লুঠেরা অবাধে অকাতরে এ মাটিতে লুণ্ঠনযজ্ঞ চালিয়েছে। পর্তুগিজ, মঙ্গোলীয়, ওলন্দাজ, ফরাসি, মোঘল, আরব ও বৃটিশ বেনিয়া এবং অতঃপর পাকিস্তানীদের নির্লজ্জ শোষণ ও লুণ্ঠনের পরও বাংলাদেশের সম্পদ ও ঐশ্বর্যের টান পড়েনি। তাই বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা লুণ্ঠিত হলেও তা নিঃশেষ ও তিরোহিত হয়নি।
আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ইতিহাসের উল্টো যাত্রা ইতিহাসের পাতায় কলংক হিসেবেই লেখা থাকে। এই কলংকের দাগ ও ক্ষতচিহ্ন বাঙালির ভাগ্যরেখায় লেখা ছিল বা এখনও আছে। তাই আর যেন লেখা না হয়।

লাহোর প্রস্তাব বিকৃতির কারণে একাত্তর অনিবার্য হয়ে ওঠে

হোসাইন আনোয়ার ২৩ মার্চ ১৯৪০। পাকিস্তানিরা ভুলে গেছে ২৩ মার্চের ইতিহাস। একটি ভুল ইতিহাসের উপর ভিত্তি করেই ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস পালিত হয় সমগ্র পাকিস্তানে।

ইফতার পার্টি নয়, সেদিন যেন তারার হাট বসেছিল পিটস্টপে

রুহু রুহেল সমাজ ও সংস্কৃতির বড় পরিচয় সম্প্রীতির অটুট বন্ধনে সামনের পথে অবিরাম এগিয়ে চলা। সাম্য সুন্দর স্বদেশ গঠনের জন্য প্রয়োজন বিবিধ মত ও পথকে

নভোচারী সুনিতা মহাকাশে ফুল ফোটায় পৃথিবীতে নারীর পায়ে শেকল পরায় কে?

প্রদীপ খাস্তগীর চমৎকার একটি সফল মহাকাশ সফর শেষ হয়েছে গত ১৮ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৭ মিনিটে। গত বছরের ৬ জুন মাত্র ৮ দিনের

দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ: দর্শনের বিজ্ঞান

রাজেশ কান্তি দাশ দর্শনের ক্ষেত্রে বস্তু ও ভাবের দ্বন্দ্ব অতি প্রাচীন। খ্রিষ্টপূর্ব সময়ের। বস্তুবাদী দার্শনিকেরা মনে করেন বস্তু থেকে জাগতিক সব কিছুর উৎপত্তি। গ্রীক দার্শনিক

মানুষ ও মঙ্গল মানব

সরকার হুমায়ুন দুজন মহাকাশচারী- একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা মঙ্গল গ্রহ অভিযানে গেলেন। তারা নিরাপদে মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করেন। সেখানে তাদেরকে অতিথি হিসেবে মঙ্গলবাসীরা সাদরে