কাঁচা সোনার ফসল
ফসলের ঠাঁসা জমি-
লুকানো চাষার ডাল পালা।
এই শীতে ফল দেবে-
বরষার জলে ভরা মাঠ
ফসলের হাসি
ডুবে আছে অন্ধকার
আলোকের বানে
রোদেলা সবুজ মাঠ
হলুদ সোনালি খড়
সোনার সংসারে স্বামী-
চাঁদের নরম কবিতায় ওড়ে
শিমুল তুলোয় ভরা দোদুল যৌবন-
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে……..
অসাম্প্রদায়িক কবিতা
তোমার আত্মা-রক্ত কণিকা
সমতার সংবিধান।
আমার ধর্মে তোমার ধর্মে
সহমর্মিতার গান……
প্রাণ বাজি রেখে চিরদিন রবে
সুখে সহ—অবস্থান,
সবার উর্ধ্বে মানবতা আর
ভালোবাসা—সম্মান।
মাটি
হাওয়ায় হাঁটি
মৃত্তিকা কোথায়?
বহু শতাব্দী মাটিতে
পা—ও নেই মনে হয়।
বুকের ভেতর ছাই
শূন্য জীবনের ঠিকানায়
আমি আছি আমি নাই।
মৃত্যু এসেছে পায়ের তলায়
বাতাসে পালায়।
মানুষের রং শুধু পালটায়।
হাওয়ায় হাঁটি মৃত্তিকা কোথায়?
মহিষাসুর মদ্দির্নীর দিন
অনেক শতাব্দী তৃপ্তিহীন ঘুম-
পথ ভোলা মৃত্যু চুম।
পার কর এবার দয়াল এইদীন-
আর ঘুরে দাঁড়াবো না কোনদিন
ভালোবাসা সন্ত্রাসীর অন্তিম চূড়ায়
আমার শরীর পথ পান করে যায়
আমাকে আমার দয়াল হে বাঁচাও না
স্বর্গ নরকের কোথায় মম ঠিকানা?
অনেক শতাব্দী তৃপ্তিহীন ঘুম-
এর ভেতরেই কত মৃত্যুর জীবন
এখন তো ধৈর্যহীন অস্থিরও মায়াহীন
এসেছে মহিষাসুর মদ্দির্নীর দিন।
জ্ঞান—শৈল সড়ক
একশদিন গুমরে কান্নার শব্দ
একশদিন ঘুমহীন রাত্রির গান
একশদিন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সৎ
আমার পিতা মাতাকে অনর্গল গাল শুনানো
একশদিন ঈশ্বর এর সাথে মন
ভাঙা অর্ধ প্রাণের অবস্থানের টানাটানি
ক্ষমা কর রতনপুর, তোমার নরম মাটিতে
আমার জন্ম এখনো হৃদয়ে ভাসে—
তোমার মাটির ঘরের আদর মাখা
জীবনের স্বপ্ন এখনো মধ্য রাতে আসে
জ্ঞান—শৈল সড়ক তুমিঅস্থির
বহুমন ভাঙ্গাঁ জীবনের গল্প
জ্ঞান—শৈল সড়ক তুমি অন্যরকম
এক মুক্তিযুদ্ধের জয় গান—
সাড়ে তিন বৎসর এর যুদ্ধের ইতিহাসে
পৃথিবীতে প্রথম এই সড়ক নির্মান—
শুধু টাকায় নয় বঙ্গবন্ধুর সূর্যে্যর ভালোবাসায়।
আমি জন্মেছি মার খাওয়ার জন্য —
মারো রতনপুর, পিঠ দিলাম বুক দিলাম—
আমি এত পাক খেয়ে খেয়ে পরেও
কোনদিন দাঁড়াতে শিখিনি—
রতনপুর চল ভাসি হারগেজি খালের নৌকায়।