এখন সময়:রাত ৯:২৪- আজ: রবিবার-৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

এখন সময়:রাত ৯:২৪- আজ: রবিবার
৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

বিপ্লব যাতে বেহাত না হয় ( সম্পাদকীয় – আগস্ট ২০২৪)

জুলাই মাসের কোটাবিরোধী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত আগস্টের ৬ তারিখে ১৫ বছর সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়েছে। অভূতপূর্ব এই গণঅভ্যুত্থান ইতোপূর্বে ঘটিত গণ অভ্যুত্থানগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে নানা মাত্রায়। শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে যে বৈষম্যমূলক কোটা ছিল তা নিরসনের জন্য জুলাইয়ের শুরু থেকে নানাভাবে আন্দোলন করে আসছিল। সাধারণ একটা ব্যাপারকে সরকার তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে এড়িয়ে যেতে চাইছিল। পুলিশ এবং দলীয় বাহিনী দিয়ে দমন করতে চেয়েছে। এতে হয়েছে হিতে বিপরীত। আন্দোলন যখন তুঙ্গে, শতাধিক আন্দোলনকারীর নির্মম মৃত্যু হলো, আহত হলো হাজারে হাজার। তখন এক পর্যায়ে সরকার বিশেষ আদালতের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর্দের দাবি মেনে নিল। এরপর শিক্ষার্থীরা তাদের কিছু মৌলিক দাবি উত্থাপন করে। এতে সরকার আরো ক্ষেপে গিয়ে দমন নিপীড়নের মাত্রা বৃদ্ধি করে আন্দোলন দমাতে চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সরকার শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দেয়। সময় তখন অনেক গড়িয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এক দফাতে নেমে আসে। তখন এই আন্দোলনে আপামর জনতা জড়িয়ে পড়ে। অবশেষে তুমুল আন্দোলনের ফলে ৬ আগস্ট দুপুরে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন।
কেন এই গণঅভ্যুত্থান? সংক্ষিপ্ত করে বলা যেতে পারে এর কারণ হাজারটা। আমরা শুধু বলবো বিগত সরকারের পনের বছরের দু:শাসন, ঘুষ, দুনীর্তি, ব্যাংক লুট, টাকা পাচার, দলীয় লোকদের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতি, আইনের শাসনের অভাব, অস্বচ্ছ নির্বাচন ইত্যাদিতে মানুষের মন বিষিয়ে গিয়েছিল। তারা নানাভাবে প্রতিবাদ করলেও সরকার প্রতিবাদীকে নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করত। দেশের বিরোধী দল ছিল দুর্বল প্রকৃতির। এই সুযোগে ক্ষমতাসীন দল দেশটাকে এক প্রকার ‘হীরক রাজার দেশ’ বানিয়ে ফেলে। অবশেষে ছাত্র আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে জনগণ সরকারের পতন ঘটায়। এখন দেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বতীর্কালীন সরকার। এই সরকারের প্রধান হয়েছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রায় একুশজন উপদেষ্টার সমন্বয়ে গঠিত এই সরকারের কাছে মানুষের চাহিদা বিপুল। মানুষের দাবি শুধু নির্বাচন দিলে হবে না, রাষ্ট্রে সংস্কারও করতে হবে। স্বাধীনতার পরবতীর্ প্রতিটি সরকারই কোনো না কোনোভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কাঠামোগুলোকে ভঙ্গুর করে দিয়েছে। যখন যে সরকার ক্ষমতা আসে তারা তাদের নিজস্ব নিয়মে দেশ চালাতে চেষ্টা করে। দেশের প্রচলিত নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করে না। প্রতিটি সরকারের রূপ অনেকটা ‘হীরক রাজার দেশ’—এর মতো।
দেশে এ পর্যন্ত অনেক বিপ্লব হয়েছে। কিন্তু প্রতিটি বিপ্লবই নানা কারণে ব্যর্থ হয়েছে। মানুষ বারবার আশাহত হয়েছে। হয়েছে হতাশ। তাই দেশে এখন দরকার সুশাসন, আইনের শাসন। প্রয়োজন রাষ্ট্রের সব কাঠামোর সংস্কার। এ সব না হলে বিপ্লব বেহাত হয়ে যাবে। বিফলে যাবে হাজারো মানুষের রক্ত। অতএব সাধু সাবধান। যাতে বিপ্লব কোনোভাবেই বেহাত না হয়।

আবির প্রকাশন

আপনি দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন- ঘরে বসেই গ্রন্থ প্রকাশ করতে পারেন অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে আবির প্রকাশন থেকে। আমরা বিগত আড়াই দশকে বিভিন্ন

গণতন্ত্রহীন রাজনীতির অনিবার্য পরিণতি

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বাঙালি চিরকালই বিদ্রোহী। ইতিহাসের কোনো পর্বে সে কোনো পরাধীনতাকে বেশি দিন মেনে নেয়নি। উপমহাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্র দিল্লি থেকে দূরে হওয়ায় এবং সাড়ে

বিপ্লব যাতে বেহাত না হয় ( সম্পাদকীয় – আগস্ট ২০২৪)

জুলাই মাসের কোটাবিরোধী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত আগস্টের ৬ তারিখে ১৫ বছর সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়েছে। অভূতপূর্ব এই গণঅভ্যুত্থান ইতোপূর্বে ঘটিত গণ অভ্যুত্থানগুলোকে ছাড়িয়ে