ইউসুফ মুহম্মদ
রবীন্দ্রনাথ বহুমাত্রিক সম্পূর্ণ মানুষ! তাঁর একার ভেতর অসংখ্য দর্শনেচ্ছু, ঋদ্ধ ও অনুসন্ধিৎসু মানুষের বাস। তাই তো তিনি মানুষের জন্য, প্রেম-পূজা ও মানবতার কল্যাণে ভাবতে পেরেছেন শত জনমের ভাবনা। চোখ থাকলেই দেখা যায়, তা ঠিক নয়। দেখতে হলে সংবেদনশীল মানুষ প্রয়োজন। যিনি সকল ইন্দ্রিয় দিয়ে দেখতে পান। রবীন্দ্রনাথের মধ্যে এর সবকিছুই বর্তমান ছিল। তাই বলা যায় রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং এক উদযাপনের নাম। তিনি মহাসাগরের চেয়ে বড়; কূল-কিনারা খুঁজে পাওয়ার সাধ্য হয়তো সবার নেই।
প্রতি বছরের মতো গাইডেন্স ফাউন্ডেশন এবারও আয়োজন করেছে রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসবের। সেখানে আমার ডাক পড়েছিল কিছু বলার জন্য। এমন ডাক উপেক্ষার নয়। তাই রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ না হয়েও একটি প্রবন্ধ লেখায় মনোযোগী হই। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ, যিনি অকূল তাঁকে নিয়ে লিখতে গিয়ে খেই হারিয়ে কুয়াশায় হাতড়ানোর মতো অবস্থা।
গাইডেন্স ফাউন্ডেশন তথা একাডেমির মূল কার্যালয় কলকাতা; শাখা ও পাঠদানের প্রধান কেন্দ্র মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে। ওখানে শিশু শ্রেণি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। বিধিবদ্ধ পাঠদানের পাশাপাশি শেখনো হয় ধ্রুপদী সাহিত্যের আদ্যোপান্ত। শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধূলা, সংগীত-নৃত্য, আবৃত্তি, যোগব্যায়াম, ইত্যাদি অনুশিলনেরও সুযোগ রয়েছে। একাডেমির বিভিন্ন তলায় ৫টি পাঠাগার রয়েছে। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো বই নিয়ে পড়তে পারে। তাদের জানানো হয় মানবতা ও কল্যাণমূলক কর্মকা-ের সূত্র। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে পৃথক ভবন ও আবাসন ব্যাবস্থা। ছাত্রীদের থাকার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন পৃথক ভবন, ছাত্রদের জন্য আলাদা। শিশু শ্রেণিতে পাঠদানের জন্য তাদের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে রাখা হয়েছে খেলাধূলার সরঞ্জাম, ওরা যাতে খেলাধূলার মাধ্যমে, হাসি-খুশি-আনন্দ সৌরভে পড়াশুনার সুযোগ পায়। খেলতে খেলতে ও পড়া-লেখা করতে করতে কোনো শিশু ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লে তার শোয়ার জন্য শ্রেণীকক্ষেই ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে । ওখানে খেলার মাঠ রয়েছে ছোট-বড় সব মিলে চারটি, মেয়েদের জন্য পৃথক। মূল পাঠ-কেন্দ্রের পেছনে একটি পুকুর ও দূরবর্তী স্থানে রয়েছে মুরগির খামার। এতে শিক্ষার্থীদের তাজা ও বিশুদ্ধ মাছ-মুরগি খাওয়ানো যায়। আরো কিছু দূরে শব্জির চাষও করা হচ্ছে দেখলাম। ফল-ফুলের বৃক্ষ শোভিত এই একাডেমি বুঝি এক স্বপ্নপুরী। সবকিছু দেখে শুনে মনে হলো, এই একাডেমি বস্তুতই আদর্শ ও নৈতিক মানুষ তৈরির আদর্শ একখ- আলোর ভূবন। এ প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস রয়েছে কলকাতায়।
যা হোক নির্দিষ্ট তারিখে (১০ এপ্রিল, ২০২৪) যথসময়ের ১০ মি. পর কলকাতা নেতাজী সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে গিয়ে পৌঁছলাম। সেখানে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন গাইডেন্স ফাউন্ডেশন ও বিদ্যালয়ের কর্ণধার ইমদাদুল হক। তাঁর সাথে ছিলেন ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি, কৃষিবিজ্ঞানী, প্রফেসর ড. আফতাব উজ্জামান। তাঁদের সাথে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের উদ্দেশ্যে নির্ধাারিত গাড়িতে চেপে বসলাম। পথ থেকে সস্ত্রীক উঠলেন চিত্রশিল্পী বিপ্লব সরকার। বারসাতের পর থেকে সুন্দর এক্সপ্রেসওয়ে। এই পথ ধরে যেতে যেতে পথে একটি খাবার ঘরে গাড়ি দাঁড়ালো। এ ঘরটির মেঝে, সিঁড়ি ও বসার চেয়ার-টেবিল সবকিছুই কাঠ আর বাঁশ দিয়ে তৈরি। বেশ চমৎকার ও দৃষ্টি সুভব। খাওয়ার সময় মনে যাতে প্রশান্তি আসে সেটা ভেবে উদ্যোগতারা হয়তো এমন বিন্যাস করেছেন।
সেখান থেকে রওনা হয়ে আমরা বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ পৌঁছে গেলাম জঙ্গিপুরের গাইডেন্স একাডেমিতে। মূল প্রবেশদ্বারের বাইরে লেখা রয়েছে ‘এসো আমরা জ্ঞান অর্জনে একত্রিত হই’। ভেতরের দিকে লেখা রয়েছে ‘চলো আর্থসমাজের উন্নয়নে জ্ঞান ছড়িয়ে দিই’। এ আহ্বান অন্তরে ধারণ করে একাডেমির নির্দিষ্ট ডরমিটরিতে প্রবেশ করি। সেখানে আমাদের স্বাগত জানালেন বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পরিচালক-ব্যবস্থাপক মিনু মিত্র। সন্ধ্যায় আমাদের সাথে যোগদেন শ্রুতি নাট্যজন, বাচিকশিল্পী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব তপেশ ব্যানার্জি। তিনি এসেছেন দুর্গাপুর থেকে। আলাপ-পরিচয় হলো। বেশ চমৎকার মানুষ। চাল-চলনে তাঁর বিনয় চোখ এড়ায় না। কয়েকদিন আগেও নাকি মুর্শিদাবাদে গরমের চোখ রাঙানি ছিলো। এখন যা তাপমাত্র- সহনীয়।
পরদিন সকালে গাইডেন্স একাডেমির চৌকস স্কাউট দল কুচকাওয়াজ করে অতিথিবৃন্দকে অনুষ্ঠানস্থলে নিয়ে যায়। সুপ্রশস্ত মিলনায়তনে সকাল সাড়ে নয়টায় অতিথি বরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রদীপ প্রজ্বলন ও বৃক্ষরোপনের কর্মসূচি শেষে বাংলাদেশ এবং ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। উদ্বোধনী সংগীত হিসেবে পরিবেশন করা হয় “আকাশ জুড়ে শুনিনু ওই বাজে”… গানটি। অনুষ্ঠানের নির্ধারিত শিরোনাম ছিলো “বিশ্বমানবতাবোধ ও রবীন্দ্রনাথ”। আমি এ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করি। বক্তব্য রাখেন ড. আফতাব উজ্জামান, বাচিকশিল্পী তপেশ ব্যানার্জি, গাইডেন্স একাডেমির ব্যবস্থাপক মিনু মিত্র, সভাপতি শেখ শাহ আলম, শিক্ষক নীলম আবীর, সঞ্জয় কুমার পাল, চিত্রশিল্পী বিপ্লব সরকার, গুরুকুল পাবলিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আতিউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিমরান মুস্তারি, নিশাত আতিয়া, দশম শ্রেণির চৌধুরী অসিল হায়াত প্রমুখ।
বক্তারা রবীন্দ্রনাথের মানবিকতাবোধ, কৃষি চিন্তা, সমবায় ভিত্তিক সমাজ গঠন ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা, প্রকৃতি-পরিবেশ ভাবনা, শিক্ষা, সাহিত্য, শিল্পকর্ম চিঠিপত্র ইত্যাদি বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন। সমাপনী বক্তব্য রাখেন, প্রতিষ্ঠানের সেক্রেটারি জেনারেল ইমদাদুল হক। “ধ্রুপদী সাহিত্যের প্রতি রবীন্দ্রনাথের অনুরাগ এবং এর সমাজ গঠন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বিশেষভাবে আলোকপাত করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে মানুষ ও মানবতার কল্যাণে রবীন্দ্রনাথের অন্তর্গত বৈশিষ্ট্যও উপস্থাপন করেন।” মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন কালে আমি রবীন্দ্রনাথের কথার প্রতিধ্বনি করে একটি বিষয় গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেছি, তা হচ্ছে “ইউরোপ, আমেরিকা ও সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া মনে করে তারাই বিশ্বমানবতার ধারক-বাহক, মানব সভ্যতাকে তারাই জীবন্ত রেখেছে, প্রবাহমান ও গতিশীল রেখেছে। কিন্তু বাস্তবে আমরা এর উল্টোচিত্রই দেখতে পাই। এই চিত্র রবীন্দ্রনাথের সময় যেমন ছিল, বর্তমান সময়েও এর বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম হয়নি। পুঁজির আধিপত্য, অস্ত্রবাণিজ্য ও লুণ্ঠনের অভিপ্রায়ে পৃথিবীর বিভিন্ন কোণে, বিভিন্ন দেশে কৌশলে যুদ্ধ বাধিয়ে তারা সুখ পায়। যত বেশি রক্ত ঝরে, নরমু- জমা হয় ততই তারা খুশি। কিন্তু এতে ব্যথায় আমাদের বুকের পাঁজর গুড়ো হয়ে যায়। বিশ্বমানবতার এ স্খলন থেকে মানুষ একদিন মুক্ত হবে। জয় হবে মানুষের, বিশ্বমানবতার।”
অনুষ্ঠানে গান, নৃত্য, আবৃত্তি ও শ্রুতি নাটক পরিবেশন করেন একাডেমির শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে’ গানের সাথে যে নৃত্য পরিবেশন করে তা এক কথায় অসাধারণ ছিলো। আবৃত্তি পরিবেশন করে একাডেমির সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জয় ইসলাম। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীরা ‘এসো হে বৈশাখ’ -এর তালে তালে নৃত্যে পরিবেশনের মাধ্যমে মাতোয়ারা করে রাখে পুরো মিলনায়তন। এর পরপর ‘শুন লো শুন লো বালিকা’ গানের সাথে নৃত্য নিয়ে আসে বিভিন্ন শেণির শিক্ষার্থীরা। যা বেশ মনোগ্রাহী ছিলো। সবশেষে পরিবশিত হয় শ্রুতি নাটক ‘রথের রশি’। এত অংশ গ্রহণ করেন গাইডেন্স একাডেমির শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। এ পরিবেশনা ছিলো আকর্ষণীয় ও উপভোগ্য। রবীন্দ্রনাথের ঘ্রাণ পাওয়া এমন গুছানো, পরিপাটি ও সুশোভন অনুষ্ঠানের স্মৃতি বহুদিন হৃদয়ের লকারে জমা থাকবে।
সে দিন শেষ বিকেলে আমি ও বিপ্লব সরকার ফারাক্কা বাঁধ দেখতে যাই। জঙ্গিপুর থেকে ফারাক্কার দূরত্ব প্রায় ৪৫ কি. মি.। যেতে যেতে সূর্য ধূসর-রঙিন হয়ে সন্ধ্যার হাত ছুঁয়ে অন্ধকারের ঘোমটায় নিজেকে আড়াল করে। উদয় হবে কোনো নতুন প্রেমিকার দেশে। বাঁধের ওপর দিয়ে গাড়ি ওপারে চলে গেলো; কিছুই দেখা হলো না, শুধু কালো জলের গর্জন শুনেছি। তখন মনে পড়ে গেলো আমার একটি প্রিয় গান, ‘কালো জলে কুচলা তলে ডুবলো সনাতন’। গুনগুন করে সে গান গেয়ে উঠলাম। কিন্তু কলো জলের গোঙানি কোনো ভাবেই কান থেকে সরানো যাচ্ছিলো না। ছুটে চলার আনন্দ বঞ্চিত বন্দি জল সম্ভবত মুক্তির মন্ত্রে গর্জন করছে।
ফারাক্কা বাঁধ গঙ্গা নদীর ওপর ভারতের মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলায় নির্মাণ করা হয়। এর দৈর্ঘ্য ২২৪০ মিটার (৭৩৫০ ফুট)। এতে ফটক রয়েছে ১০৯টি। এ বাঁধের মাধ্যমেই দুপারকে সংযুক্ত করেছে ৩৪ নম্বর জাতীয় মহাসড়ক ও রেলপথ। যা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ অংশসহ ভারতের উত্তরপূর্ব অংশকে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাছাড়া এই গঙ্গা জলের মাধ্যমেই ভাগীরথী নদীর যৌবন ফিরেছে, লাবণ্য ফিরিয়ে কিছুটা কর্মক্ষম করা হয়েছে কলকাতা বন্দরকেও। উদ্দেশ্যও ছিলো তাই। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ১৭ কি. মি উজানে তৈরি এ বাঁধের কারণে ভারত ও বাংলাদেশ, এই দুই প্রতিবেশীকে প্রভূত ক্ষতির সম্মুখীনও হতে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের ক্ষতির পরিমাণ শুধু অনুভব করা যায়, সহজে বোঝানো কঠিন। এই অংশে নদী শুকিয়ে জৌলুস হারা, জীর্ণ। এ যেন বিগত যৌবন, অভাবগ্রস্ত, শত ছিন্ন পোষাক পরিহিত মানুষের মতো। নদীজুড়ে বুক চিতিয়ে শুয়ে আছে অসংখ্য ছোট বড় দ্বীপ। প্রমত্ত পদ্মার চরে মানুষ হেঁটে বেড়ায় মনের দুঃখ বাতাসে উড়িয়ে। এ বাঁধের কারণে নাব্যতা হারা নদীতে নৌ-চলাচল বিঘিœত হচ্ছে, লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও সেচের অভাবে বিস্তীর্ণ এলাকায় মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে পরিবেশ বিপর্যয়, মৎস্য সম্পদ বিনষ্ট ও জমির উর্বরতা হ্রাসের কারণে ঐ এলাকায় প্রভূত প্রভাব পড়েছে।
ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত মুর্শিদাবাদ এক সময়ে ছিলো সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী নগর। ওখানে প্রাচীন বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন এখনো বিদ্যমান। প্রায় পঁচিশ বছর আগে মুর্শিদাবাদ আরও একবার গিয়েছিলাম, দেখেছি। তবু ঘুরে দেখতে মন চাইলো। এদিন সূর্যের শাসন ছিল কড়া । তা মাথায় করে আমি ও চিত্রশিল্পী বিপ্লব সরকার ইমদাদ ভাইয়ের গাড়িতে চেপে বেরিয়ে পড়লাম পঞ্চাশ কি. মি. দূরের বহরমপুরের উদ্দেশ্যে। সেখানে পৌঁছে কাঠগোলা বাগান থেকেই দর্শন শুরু করি এবং শেষ করি হাজার দুয়ারি জাদুঘর, ইমাম বাড়া, বাচ্চাওয়ালী তোপ ও সিরাজদৌলার মদিনা মসজিদ দেখার মাধ্যমে। ফেরার পথে বহরমপুরে দেখা হয় খ্যাতিমান কবি আমিনুল ইসলাম, অনুপম ভট্টাচার্য ও স্বপন কুমার দত্তের সাথে। তাঁদের সৌজন্য ও প্রীতিপূর্ণ সান্নিধ্যে মুগ্ধ হয়ে বহরমপুর থেকে জঙ্গিপুর এসে যাই।
গাইডেন্স একাডেমি আয়োজিত রবীন্দ্র জয়ন্তীর এই হার্দিক ও আকর্ষণীয় আয়োজনের সুখ-স্মৃতি বুকে নিয়ে পরদিন কলকাতা হয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসি।
ইউসুফ মুহম্মদ, কবি ও প্রাবন্ধিক