এখন সময়:সন্ধ্যা ৭:০২- আজ: সোমবার-২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল

এখন সময়:সন্ধ্যা ৭:০২- আজ: সোমবার
২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল

লাহোর প্রস্তাব বিকৃতির কারণে একাত্তর অনিবার্য হয়ে ওঠে

হোসাইন আনোয়ার

২৩ মার্চ ১৯৪০। পাকিস্তানিরা ভুলে গেছে ২৩ মার্চের ইতিহাস। একটি ভুল ইতিহাসের উপর ভিত্তি করেই ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস পালিত হয় সমগ্র পাকিস্তানে। মূলত ২৩ মার্চ হলো ‘লাহোর প্রস্তাব’ দিবস। ১৯৪০ সালের এই দিনে একাধিক মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের উদ্দেশ্যে সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের পক্ষে শের এ বাংলা এ.কে. ফজলুল হক লাহোরে অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের এক সভায় একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। মুসলিম লীগের সব শীর্ষ নেতা তখন এই প্রস্তাব গ্রহণে সম্মতি প্রদান করেন।

এই প্রস্তাবটি ছিল ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব। এই প্রস্তাবের কোথাও পাকিস্তান নামক কোনো শব্দ ছিল না। এটাই ছিল সর্বভারতীয় প্রথম স্বাধীনতা সনদ। এই প্রস্তাব উত্থাপন করার মাত্র সাত বছরের মাথায় ভারত দ্বি-খণ্ডিত হয়।

এই লাহোর প্রস্তাবকে পরে বিকৃত করা হয়। পরে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে এই প্রস্তাবকে ‘পাকিস্তান’ প্রস্তাব বলে ব্যাপক ভাবে প্রচার চালানো হয়।

দু’টি পৃথক মুলিম রাষ্ট্র গঠনের উদ্দেশ্যেই ‘লাহোর প্রস্তাব’ উত্থাপন করা হয়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ও প্রথমে এই প্রস্তাব সমর্থন করেন। এক মাত্র বেগম মোহাম্মদ আলী জওহর নামে একজন মহিলা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। এই মহিলা মূলত আমলাতান্ত্রিক এলিট-শ্রেণীও ক্যাপিটালিষ্টদের প্রতিনিধিত্ব করতেন। বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ এদের দলে ভিরে যায়। গণমানুষের স্বার্থের প্রতি এ.কে ফজলুল হকের আপোষহীন মনোভাবের কারণে মুসলিম লীগের সঙ্গে তাঁর সংঘাত সৃষ্টি হয়। বাঙালি বলে মুহাম্মদ আলী জিনাহ্ তাকে নানাভাবে ঘায়েল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু‘ এ.কে ফজলুল হক মাথা নত করেন নি। তিনি মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হওয়া সত্ত্বেও ইংরেজ সরকারের নাশনাল ডিফেন্স কাউন্সিলে যোগদানের ওজুহাতে মোহাম্মদ আলী জিনাহ্ ১৯৪১ সালে অন্যায়ভাবে ফজলুল হককে দলচ্যুত করেন।

অথচ ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত ভারতে দু’টি পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের মূল দাবিই ছিল এ.কে ফজলুল হকের। যা তিনি লাহোর প্রস্তাবে উত্থাপন করেছিলেন।

এ.কে ফজলুল হক তখন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী। তিনি চেয়েছিলেন পাঞ্জাব, সিন্ধু, উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ও বেলুচিস্তান ও কাশ্মীর নিয়ে একটি মুসলিম রাষ্ট্র এবং বাংলা ও আসাম নিয়ে আর একটি মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হোক। কারণ বাংলা ও আসামে মুসলিম আধিক্য ছিল বেশী। এটাই ছিল লাহোর প্রস্তাবের মূল বাস্তবতা। লাহোর প্রস্তাবের প্রথম দাবি ছিল-ভারতের উত্তর পশ্চিম এবং পূর্ব-ভূ ভাগের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলো নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রসমুহ গঠন করতে হবে।

ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত মোহাম্মদ আলী জিনাহ্ গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটনের সঙ্গে গোপনে ষড়যন্ত্র করে কোলকাতা ও আসামকে বাদ দিয়ে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল বনে যান। এখানে বল্লভ ভাই প্যাটেলের একটি উক্তি উল্লেখ্য, বল্লভ ভাই প্যাটেল ঘোষণা দিয়েছিলেন, কংগ্রেস  যতটুকু ভূ-খন্ড ছেড়ে দিতে রাজি তার চেয়ে এক ইঞ্চি পরিমাণ ভূ-খন্ডও জিন্নাহকে ছেড়ে দেয়া যাবেনা। উল্লেখ্য জিন্নাহ্র এই ষড়যন্ত্রের সংঙ্গে সবভারতীয় কংগ্রেসও যুক্ত ছিল।

ত্রিমুখী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জিন্নাহ্ শুধু মাত্র ‘বাঙালি’ বলে লাহোর প্রস্তাবের মূল নেতাকে ডাষ্টবিনে নিক্ষেপ করতে সক্ষম হন। মুসলিম লীগ থেকে বের হয়ে যাওয়ার কারণে অথবা জিন্নাহ কর্তৃক বিতারিত হওয়ার কারণে শের এ বাংলা এ.কে ফজলুল হক কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি।

অথচ এই ফজলুল হক অসাধারণ মেধা ও নেতৃত্ব শক্তির অধিকারী ছিলেন বলেই তিনি ১৯১৮সনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের কর্ণধার হতে পেরেছিলেন। উল্লেখ্য ওই সময় তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতি এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারী পদে আসীন ছিলেন। প্রসঙ্গ ক্রমে উল্লেখ্য যে, ১৯০৬ সালে এই মুসলিম লীগের জন্ম হয়েছিল এই ঢাকা শহরে। করাচি, কিংম্বা রাওয়াল পিন্ডি নয়।

ইতিহাসবিদদের অনেকেরই দাবি, ১৯৪৩ সালে চৌধুরী রহমত আলী সর্বপ্রথম পাকিস্তান শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। তার পর কবি আল্লামা ইকবাল এই শব্দটি ব্যাপক ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও মিছিলে ছড়িয়ে দেন। এই কারণে কবি আল্লামা ইকবালকে পাকিস্তানের স্বপ্নদ্রষ্টা বলা হয়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাকে কিন্তু নয়। তার সেই পরিকল্পিত পাকিস্তান পরিকল্পনার কোথাও  বাংলাদেশ কিংম্বা আসাম ছিলনা।

আলীগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক সৈয়দ জাফরুল হাসান ও আফজাল হোসেন ১৯৩৫ সালেই তাঁদের বিখ্যাত আলীগর পরিকল্পনায় দুটি পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছিলেন। তাঁরা পাঞ্জাব, উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, সিন্ধু, বেলুচিস্তান, ভাওয়ালপুর, জম্মু, কাশ্মীর,  কাপুরথানা ও মালির কোটলাকে নিয়ে একটি মুসলিম রাষ্ট্র এবং বিহারের পূর্ণিয়া জেলাসহ বাংলা ও আসাম নিয়ে আর একটি মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছিলেন।

হায়দারাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সৈয়দ আবদুল  লতিফ ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত তাঁর ‘দ্যা মুসলিম প্রবলেম ইন ইন্ডিয়া’ গ্রন্থে চারটি পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি মুসলমানদের জন্য উত্তর প্রদেশের লক্ষ্মৌ ও বিহারসহ পাতিয়ালা থেকে রামপূর পর্যন্ত এবং হায়দারাবাদের অন্ধ প্রদেশ নিয়ে আর একটি মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব করেছিলেন। বাকি দুটি রাষ্ট্রের জন্য তিনি রহমত আলীর প্রস্তাব সমর্থন করেন।

উত্তর প্রদেশের মুসলিম লীগ নেতা চৌধুরী খালেকুজ্জামানও দুটি পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব মেনে নিয়ে ছিলেন।

ভারতে মুসলিম সংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের জন্য ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে যে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় (যার উপস্থাপক শের এ বাংলা এ.কে. ফজলুন হক) সেটাই ছিল ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব।

এ প্রস্তাবে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলে যে সমস্ত অঞ্চলে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেই সব এলাকাকে নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র (ইনডিপেন্ডেট স্টেটস্) হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। এই সকল ইনডিপেন্ডেট স্টেটস্ এর সাংবিধানিক ইউনিটগুলো হবে স্বায়ত্বশাসিত এবং সার্বভৌম। শব্দ দুটি ব্যবহার করা হয়েছে ‘স্বাধীন’ দেশকে ইঙ্গিত করেই।

 

কিন্তু মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে ২৪ মার্চ বৈদেশিক সংবাদদাতাদের কাছে দাবি করেন, লাহোর প্রস্তাবে স্টেটস্ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। ব্যবহার করা হয়েছে, ‘স্টেট’ শব্দটি। মুদ্রণ প্রমাদের জন্য ভুলভাবে স্টেটস্ শব্দটি ছাপা হয়েছে।

অথচ ১৯২৪ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকারী জনাব শামসুল হাসান বলেন যে, লাহোর প্রস্তাব ঘোষণায় কোন মুদ্রণ প্রমাদ ঘটেনি। ঘোষণার খসড়া প্রস্তুতকারী কমিটি ‘স্টেটস্’ শব্দটি অনুমোদন করেন। কমিটিতে ছিলেন মোহাম্মদ বরকত আলী, নবাব ইসমাইল খান, নবাবজাদা লিয়াকত আলী খান প্রমুখ।

মূলত ১৯৪৬ সালের সাধারন নির্বাচনের পর জিন্নাহ দিল্লিতে ৭,৮,৯ এপ্রিল প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় সংসদের এক সভা ডাকেন দিল্লির অ্যাংলো অ্যারাবিক কলেজে। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এই মুসলিম লেজিসলেটবস কনভেনশনেই লাহোর প্রস্তাবকে সংশোধন করা হয় এবং উপ-মহাদেশের দুই প্রান্তের মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে নিয়ে একাধিক রাষ্ট্র গঠনের পরিবর্তে একটি মাত্র পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়।

এ থেকে এটা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, মুসলিম লীগের কতিপয় প্রতিক্রিয়াশীল নেতাদের কারসাজিতে লাহোর প্রস্তাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়। এই বিভ্রান্তি ছিল জিন্নাহর একটি ষড়যন্ত্রের অংশ। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এপ্রিলে ২৩ তারিখেই গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটনের সংগে এক গোপন বৈঠকে মিলিত হয়। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল বাংলা-আসামকে বাদ দিয়েই ভারতবর্ষে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।

এই ষড়যন্ত্রের কারণেই ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টি করা হয়। ১২০০ মাইলের ব্যবধানে দু’টি ‘স্টেটস্’ এর পরিবর্তে দুটি প্রদেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। একটি দুর্বল ‘পূর্ব পাকিস্তান’ সৃষ্টি করার জন্য কোলকাতা ও আসামের দাবি ছেড়ে দেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। এই ষড়যন্ত্রের নায়ক হচ্ছেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। তাকে সহায়তা করেছিলেন সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস এবং তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন।

 

এই তিন কুচক্রির কারণে ১৯৪৭ সালে ‘বাংলাদেশ’ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি। ফলে আসাম এবং কোলকাতা সহ বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মতো একটি বিশাল অঞ্চল আমাদের হাত ছাড়া হয়ে যায়। আর তারই জন্য লাহোর প্রস্তাবের আলোকে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ঐতিহাসিক ৬ দফা প্রস্তাব দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। ৬ দফা ছিল বাঙালির মুক্তি সনদ। ৬ দফা ছিল স্বাধীনতার দিক নির্দেশনা। ইতিহাসের শিক্ষা হলো লাহোর প্রস্তাবের বিকৃতির কারণেই ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে। যাকে বাঙালির বুকের রক্ত দিয়ে অর্জন করতে হয়।

 

হোসাইন আনোয়ার, প্রাবন্ধিক, কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চট্টগ্রাম

অন্ধ হলে প্রলয় বন্ধ হয় না

শোয়েব নাঈম শব্দের মধ্যেই থাকে জীবনের আসল দর্শন। শব্দের কারণেই মানুষ হয় নির্বাসিত। এখন মঙ্গলের অমরতায় ঘামছে গ্রীষ্মের বৈশাখ মাস। মঙ্গল এই শব্দবোধে যতটা কল্যাণ

চীনের মতো আমাদেরও ভাবা উচিত

আমির হোসেন চীনে ফেসবুক, ই’নস্টাগ্রা’ম, ইউটিউব, গুগল, গুগল ম্যাপ, হোয়াটসঅ্যাপ, এমনকি ক্রোম ব্রাউজারও ব্যান! শুরুতে শুনে বিরক্ত লাগলেও এখন বুঝতে পারছি- ওরা আসলে অনেক আগেই

গল্পশূন্য জীবনের ইতিকথা

আন্দরকিল্লা ডেক্স : আমাদের পূর্বপুরুষরা কৃষক ছিলেন, শ্রমিক ছিলেন। থাকতেন মাটির কাঁচা ঘরে। অর্থাভাবে-অন্নাভাবে কখনও-সখনও উপোসও করতেন। পরতেন মলিন পোশাকপরিচ্ছদ। আমাদের বাবারা চাইলেন আমরাও যেন

সংস্কার চাই : চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন

নিখিল রঞ্জন দাশ সম্প্রতি চট্টগ্রাম এম.এ. আজিজ স্টেডিয়ামকে আগামী ২৫ বছরের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারশনকে দেয়া হবে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজনে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের ৬০

চল্লিশ বছর পর জীবনের প্রথম প্রেম আবার ঝড় তুলল মৈত্রেয়ীর জীবনে “মির্চা, মির্চা আই হ্যাভ টোল্ড মাই মাদার দ্যাট ইউ হ্যাভ কিসড মাই ফোরহেড'”

নহন্যতে উপন্যাসে মৈত্রেয়ী দেবীর এই উক্তি টি অবশ্যই পাঠকদের মনে আছে? মির্চা এলিয়াদ আর মৈত্রেয়ী দেবীর প্রেম কি শুধুই প্রেম ছিল নাকি সেই সাথে কিছু