॥ আন্দরকিল্লা ডেক্স ॥শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের পেইন্টিং ‘সাঁওতাল দম্পতি’ সম্প্রতি নিউইয়র্কের একটি নিলাম হাউজে ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ যাবতকালে কোন বাংলাদেশী পেইন্টারের কোন ছবি এত দামে বিক্রি হয়নি। তাই এটি একটি রেকর্ড! কাঠের প্যানেলে তৈল মাধ্যমে জয়নুল আবেদিন ‘সাঁওতাল দম্পতি’ প্রথম এঁকেছিলেন ১৯৫১ সালে। পরে ছবিটির একাধিক সংস্করণও করেছিলেন তিনি। সেদিনের নিলামে শিল্পাচার্যের আরো একটি পেইন্টিং বিক্রি হয়। ‘বসে থাকা নারী’র চিত্রটি ক্যানভাসে তৈল মাধ্যমে তিনি এঁকেছিলেন ১৯৬৩ সালের দিকে। এ চিত্রকর্মটি বিক্রি হয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ কোটি ৭ লাখ টাকায়! পেইন্টিং দুটির আগের কালেক্টর ছিলেন পাকিস্তানি কূটনৈতিক ও ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার জামশেদ মার্কার ও তাঁর স্ত্রীর সাথে পরিচিত ছিলেন। ১৯৬৩ সালে পেইন্টিং দুটি তাঁরা সরাসরি জয়নুল আবেদিন থেকে কিনেছিলেন। এর ৬১ বছর পর পেইন্টিং দুটি নিলামে উঠলো। উল্লেখ্য জামশেদ মার্কার কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। (এর আগেও বিখ্যাত নিলাম হাউজ ক্রিস্টিতে শিল্পাচার্যের সাঁওতাল মহিলা ছবিটি ২ কোটি টাকার উপরে বিক্রি হয়েছিলো।) বিত্তশালী শিল্পসমঝদার কালেকটর ছাড়াও ধনকুবের ব্যবসায়ীরা ইনভেষ্টমেণ্ট হিসেবে দামী শিল্পকর্ম কালেক্ট করে থাকেন কারণ এগুলো ডলার বা গোল্ড থেকেও ভালো রিটার্ণ দিতে পারে! আমাদের দেশে বেঙ্গল গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, স্কয়ার গ্রুপ ও কিছু ফাউন্ডেশনের এমন সব দামী পেইন্টিংস এর বড় কালেকশন আছে। বেশ কিছু বছর বুধ গ্রহের একটি ক্রেটারের নাম রাখা হয়েছিলো শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের নামে। এবার তাঁর দুটি ছবি সোয়া ৭ কোটি টাকায় বিক্রি হয়ে আবার শিল্পাচার্য নিউজে আসলেন যা নতুন প্রজন্মকে উনার কাজ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করে তুলতে এবং সাঁওতাল জাতির সম্পর্কে জানতে ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
আবির প্রকাশন
আপনি দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন- ঘরে বসেই গ্রন্থ প্রকাশ করতে পারেন অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে আবির প্রকাশন থেকে। আমরা বিগত আড়াই দশকে বিভিন্ন