এখন সময়:রাত ২:৩৮- আজ: বৃহস্পতিবার-২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল

এখন সময়:রাত ২:৩৮- আজ: বৃহস্পতিবার
২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল

সাহিত্য সন্দেশ

ভাষান্তর- জোর্তিময় নন্দী

ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীনস্থ দেশের প্রথম সারির সাহিত্য চর্চার প্রতিষ্ঠান সাহিত্য অ্যাকাডেমি গত বছরের ৭ থেকে ১২ মার্চ নতুন দিল্লির রবীন্দ্র ভবনে বার্ষিক সাহিত্য উৎসব আয়োজন করে।

কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এ উৎসব উদ্বোধন করেন। উৎসবের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান  অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ইংরেজি নাট্যকার মহেশ দাত্তানি। এ বছরের বার্ষিক বক্তৃতা (সম্বৎসর বক্তৃতা) দেন ইঙ্গ-ভারতীয় কথাসাহিত্যিক উপমন্যু চট্টোপাধ্যায় (চ্যাটার্জী)। এ অনুষ্ঠানে ২৩টি ভারতীয় ভাষায় সাহিত্য চর্চার জন্য অ্যাকাদেমি পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এ উৎসবকে এশিয়ার বৃহত্তম সাহিত্য উৎসব হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের সাতশ জন লেখক-লেখিকা এখানে অংশগ্রহণ করেন। এঁরা পঞ্চাশটিরও বেশি ভারতীয় ভাষায় লেখালেখি করে থাকেন।

উৎসবে একশটিরও বেশি অধিবেশনে লেখক-লেখিকারা বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করেন। এবারের আয়োজনের মূল ভাবনা ছিলো ভারতে সাহিত্য চর্চার ইতিহাস। উৎসবের শেষ তিন দিন একটি জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করা হয়, যেখানে বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও লেখকরা অংশগ্রহণ করেন।

এবারের উৎসবে তরুণ, মহিলা, দলিত, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয়, আদিবাসী এবং এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীর লেখক ও কবিরা অংশ

 

 

 

 

নেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন অনুবাদক, প্রকাশক এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্টজনেরা।

বিগত ১৯৮৫ সাল থেকে এই সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। এটাকে সাহিত্য জগতের সর্বাঙ্গীন এক উৎসব বলে বিবেচনা করা হয়।

উৎসবের শেষ দিনে শিশুদের নিয়ে একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়, যেখানে লেখক-লেখিকা, কবি, অনুবাদক, প্রকাশক এবং সমালোচকরা যোগ দেন।

উৎসবের তিনটি সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। এতে বাঁশি বাজান পণ্ডিত রাকেশ চৌরাসিয়া, হিন্দুস্তানী কণ্ঠসঙ্গীত পরিবেশন করেন বিদূষী নলিনী যোশী, এবং ‘দাস্তান-এ-মহাভারত’ উপস্থাপন করেন ফওজিয়া দাস্তাঙ্গী, ঋতেশ ঘাদব ও সহশিল্পীরা।

ভারতের বার্ষিক এই সাহিত্য উৎসব হলো সাহিত্যপ্রেমী প্রতিটি মানুষের জন্য এক মুক্ত মঞ্চ। যাঁরা দীর্ঘদিন দেশের সাহিত্য উৎসবে অংশগ্রহণ করেননি, তাঁরা এখানে ভারতের সাহিত্য চর্চা সম্পর্কে ধারণা পেয়ে থাকেন।

এবারের উৎসবে পুরস্কৃত কবি-লেখকদের মধ্যে ছিলেন  :

কবিতায় হিন্দিতে ‘ম্যাঁয় জব তক আয়ী বাহার’ কাব্যগ্রন্থের জন্যে কবি গগন গিল, পাঞ্জাবিতে ‘সুন গুণবন্ত সুন বোধিবন্ত: ইতিহাসনামা পাঞ্জাব’ কাব্যগ্রন্থের জন্যে কবি পল কাউর, মালয়ালম ভাষার কবি কে. জয়কুমার, মণিপুরী ভাষার কবি হাওবম সত্যবতী দেবী, গুজরাটি ভাষার কবি দিলীপ জাভেরি, আসামী ভাষার কবি সমীর তাঁতি, রাজস্থানি ভাষার কবি মুকুট মণিরাজ, এবং সংস্কৃত ভাষার কবি দীপক কুমার শর্মা; কথাসাহিত্যে ইংরেজি উপন্যাস ‘স্পিরিট নাইটস’-এর জন্যে ইস্টারিন কিরে, কাশ্মীরি ভাষায় ‘সাইকিয়াট্রিক ওয়ার্ড’ উপন্যাসের জন্যে সোহন কাউল, এবং বোডো ভাষায় ‘স্বর্নি থাকাই’-এর জন্যে অ্যারন রাজা; ছোটগল্পে নেপালি ভাষায় ‘ছিচিমিরা’ গ্রন্থের জন্যে যুবা বরাল, এবং সিন্ধি ভাষায় ‘পুর্জো’ বইটির জন্যে হুন্দ্রাজ বলওয়ানি; প্রবন্ধে কোঙ্কনি ভাষার লেখক মুকেশ থালি, মৈথিলী ভাষার লেখক মহেন্দ্র মালাঙ্গিয়া, এবং ওড়িয়া ভাষার প্রাবন্ধিক বৈষ্ণব চরণ সমাই; নাট্যসাহিত্যে সাঁওতালি ভাষায় ‘সেচেড় সওন্ত রেন অন্ধা মারমি’ নাটকের জন্যে মহেশ্বর সোম; সাহিত্য বিষয়ক গবেষণায় তামিল ভাষার লেখক এ. আর. ভেঙ্কটচলপতি; সাহিত্য সমালোচনায় কন্নড় ভাষার লেখক কে. ভি. নারায়ণ, মারাঠি ভাষার সুধীর রাসাল, এবং তেলেগু ভাষার পেনুগোণ্ডা লক্ষ্মীনারায়ণ।

ভারতীয় সাহিত্য আকাদেমির সভাপতি মাধব কৌশিক গত ডিসেম্বরে এবারের পুরস্কার বিজয়ী কবি-লেখকদের নাম ঘোষণা করেন।

পূর্বোদয় সাহিত্য উৎসব

সংস্কৃতির ঐকতান হয়ে উঠতে আর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে আলিঙ্গন অভিপ্রায়ে কল্লোলিনী তিলোত্তমা আয়োজন করেছে এ পূর্বোদয় সাহিত্য উৎসব ২০২৫। এই উৎসব পূর্ব ভারতের সমৃদ্ধ ও বিচিত্র শৈল্পিক অভিব্যক্তির উদযাপন করার অঙ্গীকার করছে। বাংলা কবিতার মাধুর্য, আসামের লোককথার মনোমুগ্ধকরতা, ওড়িশার মহাকাব্যিক কাহিনি, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের মনোমুগ্ধকর পুরাণকথা এবং পূর্ব উত্তর প্রদেশের আদিবাসী মৌখিক ইতিহাসের নিরন্তর প্রজ্ঞা দ্বারা মোহিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হন।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী এই সাহিত্য উৎসব ২০২৫ উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি.ভি. আনন্দ বোস। এ উৎসব সমাপ্ত হয় ১ মার্চ।

ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রকের ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট এবং ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ (আইএসসিএস), ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস অরবিন্দ ভবন, পাবলিকেশন বোর্ড অব আসাম দ্বারা আয়োজিত এই উৎসবটি পূর্ব ভারতের সাহিত্যিক উজ্জ্বলতার মধ্য দিয়ে একটি মনোমুগ্ধকর যাত্রা উন্মোচন করে। শব্দ এবং বর্ণমালার এই উদযাপনটির লক্ষ্য ছিলো সাহিত্যের প্রতি নতুন করে উৎসাহ জাগানো, সৃজনশীল হৃদয়ে প্রাণবন্ত সংলাপ সৃষ্টি করা এবং এই সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ অঞ্চলের অমূল্য ভাষাগত ঐতিহ্য উদযাপন করা।

উৎসবের মূল আকর্ষণগুলো ছিলো–

পূর্ব ভারতের ঐতিহ্য উদযাপন: বাংলা কবিতা ও আসামের লোককথা থেকে শুরু করে ওড়িশার মহাকাব্য, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের পুরাণকথা এবং আদিবাসী মৌখিক ইতিহাস পর্যন্ত অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রদর্শন।

বুদ্ধিবৃত্তিক সংলাপের কেন্দ্র: সমসাময়িক সাহিত্যিক থিম, সৃজনশীলতা এবং জাতীয় সংহতি নিয়ে আলোচনা উৎসাহিত

 

 

 

করা। যুবসমাজের সম্পৃক্ততা: মিথষ্ক্রিয়া অধিবেশন, প্রতিযোগিতা এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে তরুণ পাঠক ও লেখকদের অনুপ্রাণিত করা।

শিল্পের মিলন: একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতার জন্য সাহিত্যকে সঙ্গীত, নৃত্য এবং নাটকের সাথে সম্মিলিত করা।

সেতু নির্মাণ: বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে জাতি গঠন এবং আন্তঃসাংস্কৃতিক বোঝাপড়া প্রচার করা।

পূর্বোদয় সাহিত্য উৎসব ২০২৫ পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য থেকে আগত দুই লক্ষেরও বেশি অংশগ্রহণকারীর একটি চিত্তাকর্ষক সমাবেশে পরিণত হয়। এই বহুল প্রতীক্ষিত উৎসব পূর্বাঞ্চল জুড়ে অগ্রণী সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক আইকন এবং চিন্তাবিদদের একত্রিত করে, এবং ধারণা ও শৈল্পিক অভিব্যক্তির সমৃদ্ধ আদান-প্রদানের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। অংশগ্রহণকারীরা মেতে ওঠেন লেখকদের সঙ্গে আলাপচারিতায়, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং সমাজের উপর মনোজ্ঞ প্যানেল আলোচনায় ডুব দেওয়ায়, এবং পূর্ব ভারতের বিভিন্ন ঐতিহ্য প্রদর্শনকারী মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার অভিজ্ঞতা লাভ করার সুযোগ কাজে লাগাতে।

উৎসব সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আইএসসিএস-এর পরিচালক অরিন্দম মুখার্জি বলেন, “উৎসবে বিভিন্ন ধরনের কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে, যা অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং তাদের সৃজনশীলতার দিগন্ত সম্প্রসারিত করার জন্য একটি স্থান প্রদান করছে। এছাড়াও, বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে অনুপ্রেরণামূলক মাস্টার ক্লাসগুলি লিখতে এবং গল্প বলার শিল্পের মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করছে।”

বইয়ের প্রতি অনুরাগী ব্যক্তিদের জন্য উৎসবে একটি চমৎকার বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এর সঙ্গে ছিলো বেশ কিছু নতুন বইয়ের আত্মপ্রকাশ, যা ছিলী গ্রন্থপ্রেমীদের পরম প্রাপ্তি। বিভিন্ন ঘরানার সাহিত্যকর্মের বিস্তৃত সম্ভার এ বইমেলায় তুলে ধরা হয়।

সৃজনশীল চেতনাকে আরও প্রজ্বলিত করার লক্ষ্যে এ উৎসবে তরুণ মনের জন্য বেশ কিছু প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যা পরবর্তী প্রজন্মের লেখক, চিন্তাবিদ এবং শিল্পীদের প্রতিভা ও উদ্ভাবনী শক্তি প্রদর্শনে উৎসাহিত করে।

 

শান্তিনিকেতনে এবছর একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হয় নি

শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবনে প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি অমর একুশে পালিত হলেও, এবার তা হয় নি। এর পরিবর্তে শান্তিনিকেতনে ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় সংহতি কেন্দ্রে অমর একুশের মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এটিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশ্বভারতীর আচার্য তথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়ে ২০১৮ সালের ২৫ মে এই বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই প্রতি বছর অমর একুশের অনুষ্ঠান হয়ে আসছিলো। ব্যতিক্রম ঘটলো এবার।

বিশ্বভারতীর দেওয়া জায়গায় এই বাংলাদেশ ভবনের নির্মাণ ব্যয় ৪০ কোটি টাকার সবটাই বহন করে বাংলাদেশের তৎকালীন হাসিনা সরকার। সেই সময় বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেনের তৎপরতায় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে একই মঞ্চে এনে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো।

ভারতের রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্বভারতীর পরিদর্শক প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এই কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

বংলাদেশ ভবন পরিচালনার ব্যয়ও বহন করে বাংলাদেশ সরকার। এজন্য হাসিনা সরকার ১০ কোটি টাকার একটি তহবিল তৈরি করে দেয়। সেই অর্থের সুদ থেকেই বাংলাদেশ ভবন পরিচালিত হয়ে আসছে।

ভারত সরকার তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদী সমপরিমাণ অর্থ স্থায়ী আমানতে বাংলাদেশ ভবনকে দেওয়ার কথা বললেও, তা আজও দেওয়া হয়নি।

এবার বাংলাদেশ ভবনে অমর একুশের অনুষ্ঠান না করার জন্য বাংলাদেশ ভবন মেরামতের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এই অনুষ্ঠান হয় বাংলাদেশ ভবন চত্বরের উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে, ভবনের ভিতরে নয়। এখানে স্বাধীন বাংলাদেশের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তি রয়েছে। আর বর্তমান বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তি ভেঙে তার স্মৃতি যেখানে মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে, সেখানে শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনে অমর একুশে পালনের ঝুঁকি নেওয়া হয় নি বলেই অনুষ্ঠানস্থল বদল করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বর্তমানে শান্তিনিকেতনে ৩৫ জন বাংলাদেশের শিক্ষার্থী  রয়েছেন বলে ব্জানা গেছে।

 

 

 

 

রাবাতকে বিশ্ব গ্রন্থ রাজধানী ঘোষণা

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো আফ্রিকার মরক্কোর রাজধানী রাবাতকে ‘বিশ্ব গ্রন্থ রাজধানী’ ঘোষণা করেছে।

বিশ্ব গ্রন্থ রাজধানী উপদেষ্টা পরিষদের পরামর্শ অনুযায়ী ইউনেস্কো অড্রে আজুলে এই আফ্রিকান শহরটিকে আগামী বছরের বই রাজধানী হিসেবে মনোনীত করেছে।

উল্লেখ্য, চলতি ২০২৫ সালে ইউনেস্কো মনোনীত বিশ্ব গ্রন্থ রাজধানী হিসেবে রয়েছে ব্রাজিলের রাজধানী রিও দে জানেইরো।

রাবাতে বই প্রকাশনা শিল্পটি দ্রুতবেগে ক্রমবর্ধমান, এবং এ নিয়ে শহরটি গর্বিতও বটে। চুয়ান্নটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান, আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক গ্রন্থ ও প্রকাশনা মেলা, এবং ক্রমবর্ধমান সংখ্যক বইবিপণী নিয়ে রাবাতের পুস্তক শিল্প শহরটির সৃজনশীল অর্থনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশই শুধু নয়, জ্ঞানের গণতন্ত্রায়নেও এটা কাজ করে সর্বাগ্রগণ্য দিক হিসেবে।

শিক্ষা ও সাহিত্যের উন্নয়ন, পড়াশোনার মাধ্যমে নারী ও যুবাদের ক্ষমতায়ন, এবং বিশেষ করে নিম্নসুবিধাভোগী সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে অশিক্ষার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতি রাবাতের সুস্পষ্ট অঙ্গীকারের জন্যে এই আফ্রিকান শহরটিকে বার্ষিক বিশ্ব গ্রন্থ রাজধানী বানালো ইউনেস্কো এবং বিশ্ব গ্রন্থ রাজধানী উপদেষ্টা কমিটি।

 

জোতির্ময় নন্দী, কবি ও  অনুবাদক

কাজী নজরুল ইসলাম : বাংলা সাহিত্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রাণপুরুষ

আ.ম.ম. মামুন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামই প্রথম মৌলিক কবি। রবীন্দ্র অনুবর্তী একগুচ্ছ কবির একজন তিনি নন। তিনি অন্যরকম স্বতন্ত্র। শিল্প সাধনায়,

আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথ 

প্রবীর বিকাশ সরকার ১৯২৯ সালে বহির্বিশ্বে অবস্থানকালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনে ঘটেছে যুগপৎ দুঃখজনক এবং আনন্দদায়ক কিছু ঘটনা। যা নিয়ে বাংলায় সামান্যই আলোচনা হয়েছে, অথবা

হিংস্র ও বুনো অপশক্তির বিনাশ চাই

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় গ্রীষ্মকালটা বড়ই অসহনীয় ও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে এই ঋতুটির তেজ আগে কখনও এত তীব্র ছিলো না। ইতোমধ্যেই