তোশাখানার মালিক
সাপুড়েদের লাউয়ের খোলে নল লাগানো
বাঁশি আজ কার হাতে?
ফরমাশ মতো জুতো পরে হাঁটে
—হাটবাজারে!
আক্কেল দাঁত ওঠার পরও
আক্কেল হয় না তাদের!
তারাই এখন তোশাখানার মালিক
তোশকের ওপর মখমলের চাদর বিছিয়ে শোয়!
দেখাশোনার নামে নিজেকে শুধু দেখে
পরোপকারী হওয়ার নামে পরপীড়কও হয়!
ক্যাশভাউচার ভেঙে
পর ধনে শুধু পোদ্দারি করে না
ভেদজ্ঞান নিয়ে ভেদবুদ্ধিতে
আততায়ী হয়ে ওঠে!
কখন যে কাকে খুন করবে?
চেয়ারলোভী
চেয়ারলোভী লোকটা চেয়ারে বসার পর
পুুরো চেয়ার হয়ে গেল!
চেয়ারেরও আকার নিয়ে মানুষ দিনযাপন
করতে পারে চব্বিশ ঘণ্টা?
এখন সে চেয়ারের ভাষায় কথা বলে
হ্যাণ্ডআউট ও প্রেসরিলিজের ভাষায় কথা বলে,
তার নিজের ভাষার সব বর্ণ লুপ্ত হয়ে গেছে
—বাউরি বাতাসে!
মিথ্যে বলতে ঠোঁট কাঁপে না এখন—
গালের চর্বিতে ঠেঠামি এতটা আভা নিয়ে থাকে
তাতে বেহায়াপনা, ধৃষ্টতা ও নির্লজ্জতা
বীভৎস রূপ নিয়ে আরও রূপগ্রাহী করে তোলে!
ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে চুপসে থাকে টেবিলের সামনে
কিন্তু লোকটি টেবিলে রাখা নাশপাতি খেতে খেতে,
লোকজনকে নাস্তানাবুদ করতে ছাড়ে না!
তা দেখে টেবিল রাগ করে ক্ষোভে
তার চার পা গুটিয়ে নিয়ে,
বের হয়ে চলে যায়!
চেয়ারে পাছাটা ছড়িয়ে বসতে বসতে লোকটা
এতটা দাঁতাল হয়ে দাঁদুড়িয়া হয়ে যায়
দাঁড়কাক তা টের পায়,
কিন্তু কা কা করতে পারে না!
লোাকটা আপড়া বইটার পাতা আর উল্টায়নি !
ট্রিগার
ট্রিগার টেপার ক্ষমতা পেয়ে
নিজেকে সামলাতে পারছে না!
পা’য়ে পাশুলি পরে—কোথায় পা রাখছে?
তা বুঝতে পারছে না!
পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে,
কাউকে এখন প্রযত্নে যত্ন করে রাখছে না!
পালুইতে জায়গা হতো না—এখন পাল্কিতে চড়ে
ঘুরে বেড়াচ্ছে!
অন্যের ঘরের বেড়া ভেঙে তছনছ করছে!
নকিব হয়ে নকরামি করছে কেন?
কোন লক্ষ্যবস্তুর দিকে ট্রিগার টিপছে?
লাভ, লিপ্সা ও লালসা মাখা গুলি কোনদিকে ছুঁড়ছে?
যে লক্ষ্যগুলো পূরণ করার কথা—সেগুলো পূরণ না করে
কীসে লক্ষ্যভেদী হয়ে উঠছে?
উচ্ছলতা উচ্ছন্নে নিয়ে যাচ্ছে!
খোশমেজাজে থাকো—প্রসন্নতা নিয়ে থাকো,
কিন্তু আত্মবিলাসে—
পরিমিতিবোধ না থাকলে
অমিতাচার—ছারখার করে ফেলবে তোমাকেও!
অন্যের হাতেও বন্দুক চলে যেতে পারে,
ট্রিগার তোমাকে তখন মুখ ভেংচাবে!
পালঙ্কে বসে পালংশাকের ঝোল,
সবসময়ে মুখে তোলা যায় না!
মুুড়িঘণ্টের ভাগ
বাদশার কাছ থেকে বাতাসা খাওয়ার লোভে
কিছু কিছু লোক সব আমলেই তৈরি হয়ে থাকে,
পাগড়ি, ক্যাপ ও পরিপূরক পোশাক পরে!
বাতাস পাল্টালে
দ্রুত পোশাকও পাল্টিয়ে ফেলে!
উত্তরীয় পরে উত্তরীয় বাতাসের শীত থেকে বাঁচার চেয়ে
উত্থানশায়ী হয়ে পড়ে—রাজার উঠানে।
এমুড়ো-ওমুড়ো হয়ে যদি
মুুড়িঘণ্টের খানিকটা ভাগ পওয়া যায়!
ওদের এখন মুড়ি ও গুড়ে চলছে না!
ওরা খুচরো পয়সার লোভে
ইতিহাস ও অর্জনের উচ্চতা চুঁচড়ো করে ফেলে!
কিন্তু ওরা জানে না—
হিমালয়ের উঁচু শিখরের বরফ গললেও
অভিযোজনের শক্তি নিয়ে
ররফ আগের মতো উ”্চতায় থেকে যায়!
ওরা কাক-সকালেই তৈরি হয়ে থাকে
কাঁসরঘণ্টা বাজানোর শব্দ কখন শোনা যাবে?
রাজার প্রহরীরা কখন দরোজা খুলেেব?




