এখন সময়:রাত ৮:২১- আজ: শনিবার-১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

এখন সময়:রাত ৮:২১- আজ: শনিবার
১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

আমার আত্মগ্লানির গল্প  একটি উত্তরৌপনিবেশিক ভূমিকা

হামিদ রায়হান

সেই স্মৃতি যা আমার আব্বাকে নিয়ে এখনও আমার মনের ওপর নিরবচ্ছিন্ন প্রবহমান, এবং প্রভাব ও প্রতিপত্তিতে  উজ্জ্বল হয়ে আছে।

আমি তখনও মাধ্যমিক শিক্ষার গন্ডি পার হইনি। এই ঘটনা সেই সময়ের। আমরা তখন চট্রগ্রাম কালুচরা থাকি। একদিন দেখলাম, আমার আব্বা ঘুমের মধ্যেই দাঁড়িয়ে পড়েছেন, এবং দাঁড়িয়ে তিনি বলছেন, জ্বি, স্যার। এই কিছুদিন পূর্বে জমিদারের সামনে তার ভূমিদাস বা অধীনস্থরা ‘জ্বি হুজুর, জ্বি হুজুর’ করতে থাকত, ঠিক সেরকম। আব্বা সটান দাঁড়ানো, ডান হাত ওপরে তোলা, সৈনিকের স্যালুটে যেরকম করে। সেরকম। তখন দুপুরবেলা। অফিস থেকে ফিরে সামান্য বিশ্রাম তিনি নিচ্ছিলেন। এই সময়টা ভুলেও তাঁর রুমের দিকে আমরা যেতাম না, যাতে তাঁর বিশ্রামে কোন ব্যাঘাত না ঘটে। এমনকি আম্মাও। একটা অলিখিত নিয়ম থাকায় আমরা ভাই-বোন সেই নির্দেশ পালন করতাম। কি একটা কাজে নিজের অজান্তে সেই ভুলটা করেছিলাম বলেই আব্বার সেই অসাধারণ দাসত্বের নাজুক দৃশ্যের দুর্বল সাক্ষী হয়ে গেলাম, আমাকে নোংরা ও কদর্য দুনিয়া অদৃশ্য ফিতেয় বেঁধে ফেলল। আর এর নাম জ্ঞান, অন্যার্থে বাস্তবতা, অন্যার্থে নোংরামি/কদর্যতা/অন্যকে শাসনের অভিসন্ধি/ হেজিমনিজম। সেই কথা পরে বলছি।

একদিনের ঘটনা, বিকেলে আব্বার সঙ্গে হাঁটছিলাম। হঠাৎ আমাদের পাশ দিয়ে একটা জিপ গাড়ি চলে গেল। গাড়িটা তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার। ঘুমের মধ্যে তিনি যেরকম দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন, এর এক বিন্দুও এদিক-সেদিক হয় নি। স্টাচুর মতো হাত তুলে দাঁড়িয়ে পড়লেন। আমি বললাম, আব্বা, গাড়িতে কেউ নাই, শুধু ড্রাইভার ছিল। তিনি কিছু বললেন না। কিছুু হয়নি এমতভাবে ‘চল, যাই’ বলে তিনি সামনে পা বাড়ালেন। আমি তার পিছু নিলাম। অন্যদিনের ঘটনা, আমি যে কক্সবাজর চকরিয়ায় ইশকুলে পড়তাম, সেখানে একজন খুব ভালো গণিতের শিক্ষক ছিলেন। ভালো গণিত পড়ান বলে ইশকুলের বাইরেও তাঁর বেশ সুনাম ছিল। তাঁর দু’জন ছেলে, নামের পদবি দাসের পরিবর্তে রায় ব্যবহার করত। ইশকুল খাতায়ও রায় লেখা হত। যদিও স্যার তাঁর নামের শেষে দাস লিখতেন। আরেকটা ঘটনা, আমার পরিচিত এক কর্তাব্যক্তি, ঢাকায় ইংরেজি ইশকুল চালান, সুযোগ পেলেই  কোরান ও হাদিস নিয়ে কথা বলেন, সালামের পরিবর্তে গুড মর্নিং বলাকে প্রাধান্য দেন। সালামকে নয়, গুড মর্নিংকেই তিনি ব্যবসার উন্নতির চাবিকাঠি হিসেবে গণ্য করেন। আভিজাতের নর্ম হিসেবে অন্যদের নির্দেশ করেন। সালামকে অনগ্রসরতা হিসেবে দেখেন। গুড মর্নিংকে অগ্রসরতার প্রতীক। গুড মর্নিং বলার কারণে কেউতো আমাদের ক্যাথলিক খৃস্টান বলছে না। বরং বাহাবা দিচ্ছে। সালাম দিলেই যত সমস্যা। ধর্ম-কর্মচর্চায় আবেগায়িত হয়ে দাড়ি মুসলমান নিয়মে রাখার কারণে, তাকে চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়া হয় এই ভয়ে ইংলিশ মাধ্যমের পশ্চিমা নর্মে অভ্যস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা চলে যাবে। তাদের ব্যবসায় ধস নামবে। এটা আমাদের যাপনাভিজ্ঞতা। এরকম বহু ঘটনা নিত্যদিনের ঘটনা ঘটছে, যেখানে পশ্চিমের অবচ্ছায়া আমাদের অবচেতনায়ও প্রভাব বিস্তার করে আছে, যার মূলোৎপাটন করা কঠিনই নয়, অসম্ভবও বটে। আর এভাবেই সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা আমাদের যাপনের সম্পর্কগুলোতে অনুপস্থিত। পশ্চিমের জ্ঞানবাণিজ্য স্টেরিওটাইপ হিসেবে বাংলাদেশ, ভারতসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এতটাই প্রতিষ্ঠিত ও জনমান্য যা ভেঙে বেরুনো রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ করার মতোই অপরাধ হিসেবে দেখা হয়।

পশ্চিম কোথাও নেই: সচেতনায়, অবচেতনায়,

স্বপ্নে, যাপনের সব সম্পর্কে তারা মান্য, উপস্থিত।

তাই তাদের জ্ঞান তত্ত্বায়নের পেছনের সত্যগুলো কি,

জানাটা জরুরি।

আপনি মানেন, না মানেন, এটাই সত্য।

 

ফিরে আসি সেই সময়ে যখন ১৭৫৭ সালের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ইতিহাস আমার পড়া হয়ে গেছে। গোর্কির মা পড়াও শেষ। সেই সময় ফেয়ার অ্যান্ড লাভলির যুগ জাঁকিয়ে বসছে। রাশিয়াও ভেঙে টুকরো টুকরো। আমাদের এখানে কেউ কেউ সেই পতাকা বুকের সঙ্গে চেপে রেখেছেন। কেবল সেখানে কৃষকের ঘাম-রক্ত প্রবহমান ছিল না। এখনও সেই দৃশ্য মঞ্চায়িত হয় কোথাও কোথাও। সচেতনতা বাড়ছে, স্লোগান বাড়ছে, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কৃষক ও সাবঅল্টার্নদের সংখ্যা বাড়ছে এবং তাদের কণ্ঠ ¤্রয়িমাণ হচ্ছে। জ্ঞানের তত্ত্ব  ও তত্ত্বায়নে বন্দি হয়ে পড়ছে। জ্ঞান আমাদের জানার পরিধিকে বিস্তৃত করছে ততটাই, যতটা এর হেজিমনি ক্রিয়াশীল। যাপনের প্রতিটা সম্পর্ক এখন জ্ঞান দ্বারা পরিচালিত, যা পশ্চিমাতত্ত্বায়িত। তাই আমাদের নিজম্বতা দাঁড়ায়নি, বরং পরিণতি পরিত্যক্ত প্রাচীন প্রাসাদ। মনে  করুন, আপনি লুঙ্গি পরে অফিসে, শপিংমলে কিংবা অভিজাত এলাকায় বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন, ভাবছেন, তিনি বা তারা আপনার সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করবেন। অবশ্যই, না। আপনাকে তারা ভালো চোখে নেবে না, বরং গ্রাম্য হিসেবে দেখবে, আর অফিস হয়ত সোজা আপনাকে বাসায় ফেরত পাঠাবে। অন্যদিকে, আপনার মেয়ে হাঁটুর উপরে প্যান্ট পরে বাইরে বেরুলে, বাইরের জগত কালচার্ড, ওয়েস্টার্ন হিসেবে বাহাবা দেবে। এটাই এখন স্বাভাবিক ট্রেন্ড বা নর্ম হিসেবে প্রচলিত হয়ে গেছে, যা পশ্চিমাদের জ্ঞান দ্বারা নির্ধারিত। আসলে, জ্ঞান কি, এটা কীভাবে আমাদের যাপনের সম্পর্কগুলোকে প্ররোচিত করছে, এটা শনাক্ত করাটা অনিবার্য হয়ে পড়েছে। কারণ, আমাদের পোশাক, খাবার, ইশকুল, জীবিকা, সন্তান, উন্নতি, প্রেম, জীবনব্যবস্থা, মাতৃস্নেহ, বৃদ্ধাশ্রম, স্ত্রীসম্পর্ক, আচার-কৃষ্টি, ভাবনা, ইচ্ছে, এমনকি স্বপ্নও পশ্চিমা নির্ধারিত। তত্ত্বায়ন সবসময় বাণিজ্যনির্ভর। যেভাবে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি ভিন্ন ভিন্ন মোড়কে ও খোলসে আমাদের সামনে হাজির হয় রঙ ফর্সা করার প্রতিষেধক হিসেবে। আমার মাতৃক্রোড়ে থাকা কালো শিশু ছেলেটিও সেইদিকে হাত বাড়াচ্ছে। অদূরে দাঁড়িয়ে আমি মোহিত ও গৌরববোধ করি।  যেভাবে আমার আব্বা তার কর্তাদের দেখলে সেখানে দাঁড়িয়ে পড়তেন, নতজানু ভঙ্গিতে। যা এখন আমি করি, এবং সম্মানিতবোধ করি।

জয়, জ্ঞানের বৈশ্বিকায়ন পশ্চিমা দুনিয়া। জয়, আমরা এখন জ্ঞান বাণিজ্যের উত্তরৌাপনিবেশিক সময়ে বাস করছি। এবং আমি ক্লান্তবোধ করছি। এবং আমরা সত্য ভুলে গেছি। এবং মিথ্যে বলার সমস্ত কলাকৌশলগুলো রপ্ত করি, যাকে আর্ট বলে গণ্য করা হয়। যাহোক, জীবনে এ রকম আরও বহু নিরবচ্ছিন্ন ঘটনার পরম্পরা বাবার সেই প্রথম দিনের মতো এখনও রক্তপাতময় পরিস্থিতির আমাকে মুখোমুখি করছে।  সেই সময়ে মনে হত, রুটস উপন্যাসের চরিত্রগুলো নিঃসন্দেহে আমরা ভুলে যাই নি। সেই কালো মানুষগুলো যেভাবে দলবেঁধে জাহাজে তোলা হত, কিংবা প্রভুদের সামনে উপস্থিত করা হলে  কালো মানুষগুলো যা যা করত। তাদের হাঁটুগেড়ে বসা, চোখে চোখ না রাখা, এ রকম আরও কত কি। ভারতবর্ষে মোগল বা ব্রিটিশ সময়ে জমিদাররা বা সররকারি কর্তারা যেভাবে তার অধীনস্থ বা নিম্ন বর্গীয়দের অত্যাচার বা নির্যাতন করত, তাদের আচার-আচরণ করে দিন যাপনের প্রতিটা বিষয় নিয়ন্ত্রণ করত, তা ইতিহাস সাক্ষী। সিরাজের পতন বা বঙ্গভঙ্গের প্রধান কারণগুলোও সেই সত্যগুলো  প্রকাশ করে। কিন্তু সেগুলো কখনও অবগুণ্ঠিত হয় না, সরকারি আনুকল্য পায় না। বিকল্প ছবির মতো বিকল্পই থেকে যায়। কারণগুলো কি? স্পষ্ট। আমাদের নিজস্ব জীবনাভিজ্ঞতা অবহেলিত, ভূলুণ্ঠিত। রাজা রামমোহন কিংবা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাদই দিলাম, রবীন্দ্রনাথ তৎকালীন হিন্দু সমাজ দ্বারা অচ্ছুৎ ও নিগৃহিত ছিলেন। এর পুরো অংশটাই ছিল পশ্চিমাদর্শে দীক্ষিত শিক্ষিত সমাজ। ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির কেন্দ্রে থাকাটাই তাদের মূল বিবেচনা ছিল, ইতিহাস তাই বলছে। আমরা তাদেরকে মান্য করি, নিজেদের আদর্শ জ্ঞান করি।

জ্ঞানের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে শিক্ষা। আর শিক্ষা সার্বজনীন। কিন্তু  এর স্তরে স্তরে এত প্রতিবন্ধকতা যা অতিক্রম করা একজন নিম্ন পর্যায়ের মানুষের পক্ষে অসম্ভবই নয়, চাঁদে হাঁটার মতো ভাবনাও বটে। আমরা, যারা তৃতীয় বিশ্বের মানুষ, প্রতিনিয়ত যে যাপনাভিজ্ঞতায় ক্লান্ত হয়ে গেছি, চারদিকে তত্ত্ব ও তত্ত্বায়নের কারণে। ফেয়ার অ্যান্ড লাভলির বিজ্ঞাপন আমাদের কালো রঙগুলো ফর্শা করায় ব্যতিব্যস্ত, এর আড়ালে কি চলছে? এদের বার্ষিক আয় কত, আমি-আপনি জানি? অবশ্যই না। সেসব কখনও আমাদের জানানো হয় না। সবসময় অদৃশ্যই রাখা হয়। আমরা সেসব ভাবি না, আমরাতো পশ্চিমাদর্শে বিশ্বাসী, পরিচালিত। যেহেতু জ্ঞানই অগ্রগতির নর্ম ভাবা হয়, তবে এ জ্ঞান কতটা বিশুদ্ধ ও নিরাপদ, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। আমাদের চারপাশে বা যাপনের সম্পর্কগুলোর সঙ্গে যে জ্ঞান চর্চা হচ্ছে তা আরোপিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত, যা উত্তরৌপনিবেশিকতার এজেন্সিপ্রসূত, যা ভূ-রাজনীতি উদ্ভূত। তাই সবকিছুর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের অধিকাংশ দেশের প্রায় প্রতিটা গ্রাম প্রযুুক্তিসমৃদ্ধ হলেও এখনও গ্রাম গুরুত্বহীন, অনার্য। সাইদ স্পষ্ট করেছেন তার অরিয়ান্টালিমে (১৯৭৮) পশ্চিমাদের চোখে প্রাচ্যের মানুষেরা যেমন। এটা তখনই ঘটে যখন একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী নিরাপদে রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি বা আদর্শের হাতিয়ারের মাধ্যমে অন্যদের ওপর তার শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখে।

 

এর সবচেয়ে সাধারণ প্রয়োগ হচ্ছে একটি দেশ বা সামাজিক গোষ্ঠী যে শক্তি ধারণ করে তা প্রকাশ করা।

আমরা সম্ভবত সেই পাখিটির কথা ভুলে গেছি, যে খাঁচার দরজা খুলে দেওয়ার পরও উড়তে ভুলে গেছিল। ব্রিটিশ চলে গেছে, কিন্তু এর অবছায়া এখনও আমাদের মাথার ওপর, রক্তে ও মজ্জায় এবং স্বপ্নেও। যাপনের প্রতিটি সম্পর্কে জ্ঞান যে ধরন ও অবয়ব নিয়ে উন্মোচিত এর সবকিছু নিজেদের মতো করে লেখা অনিবার্য হয়ে পড়েছে। একটা জাতির টেকসই দাঁড়ানো এর নিজস্বতায় থাকে, যাপনাভিজ্ঞতায় থাকে। অন্যথায়, রাষ্ট্র ও তার এজেন্সিগুলোর কাঠামোগত ভিত্তি যে জ্ঞান তা শাসন ও শোষণের মূলাস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আর যাপনের সর্বত্র এর প্রত্যক্ষোপস্থিত ও ক্রিয়াশীল। সেগুলো চিহ্নিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে, এবং এর থেকে বেরুনোও অত্যাবশ্যক।

 

হামিদ রায়হান, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক

 

আবির প্রকাশন

আপনি দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন- ঘরে বসেই গ্রন্থ প্রকাশ করতে পারেন অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে আবির প্রকাশন থেকে। আমরা বিগত আড়াই দশকে বিভিন্ন

গণতন্ত্রহীন রাজনীতির অনিবার্য পরিণতি

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বাঙালি চিরকালই বিদ্রোহী। ইতিহাসের কোনো পর্বে সে কোনো পরাধীনতাকে বেশি দিন মেনে নেয়নি। উপমহাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্র দিল্লি থেকে দূরে হওয়ায় এবং সাড়ে

বিপ্লব যাতে বেহাত না হয় ( সম্পাদকীয় – আগস্ট ২০২৪)

জুলাই মাসের কোটাবিরোধী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত আগস্টের ৬ তারিখে ১৫ বছর সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়েছে। অভূতপূর্ব এই গণঅভ্যুত্থান ইতোপূর্বে ঘটিত গণ অভ্যুত্থানগুলোকে ছাড়িয়ে