এখন সময়:রাত ১০:৫৭- আজ: বুধবার-৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-বর্ষাকাল

এখন সময়:রাত ১০:৫৭- আজ: বুধবার
৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-বর্ষাকাল

এবছর বুকার জিতলো দুই নারীর জ্বালানো ‘হৃদয় প্রদীপ’

জ্যোতির্ময় নন্দী

সারা ভারতীয় উপমহাদেশে যখন নতুন করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি-ভিত্তিক দাঙ্গা-হাঙ্গামার একটা জোয়ারের সৃষ্টি হয়েছে, তখন চমৎকার এক জুটি বেঁধে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার ২০২৫ জিতে নিলেন একজন মুসলিম আর একজন হিন্দু মহিলা। এই মানিকজোড়টির নাম বানু মুশতাক আর দীপা ভাস্তি।

 

সবার নিশ্চয় জানা আছে যে, আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার হলো অনূদিত কথাসাহিত্যের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর প্রভাবশালী পুরস্কার। লেখক আর অনুবাদক যদি একজনই হন, তা হলে পুরস্কারের অর্থমূল্য তিনি একাই পান। তবে লেখক আর অনুবাদক আলাদা হলে অর্থমূল্য তাঁদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়ে থাকে।

 

বানু মুশতাক হলেন চলতি সালের বুকার পুরস্কারে জন্যে চূড়ান্তভাবে মনোনীত গল্প সঙ্কলন ‘হার্ট ল্যাম্প’-এর এক ডজন গল্পের লেখিকা এবং দীপা ভাস্তি হলেন কন্নড় ভাষায় লেখা গল্পগুলোর ইংরেজি অনুবাদক।

 

তিনটি মাইলফলক তৈরি করে বুকার জিতেছে হার্ট ল্যাম্প। সাড়ে ছয় কোটিরও বেশি মানুষের মাতৃভাষা কন্নড় থেকে অনূদিত এই প্রথম একটি বই বুকার পুরস্কারে ভূষিত হলো, দীপা ভাস্তিও পুরস্কৃত হলেন ইংরেজিতে প্রথম ভারতীয় অনুবাদক হিসেবে, এবং বুকার পুরস্কারের ইতিহাসে এই প্রথম ছোটগল্পের একটি সঙ্কলন বিজয়ী ঘোষিত হলো।

 

অনুবাদক দীপা ভাস্তি ২০২২ সালে বানু মুশতাকের রচনার ইংরেজি ভাষান্তর শুরু করেন। ভাস্তি ১৯৯০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বানুর প্রকাশিত ছয়টি গল্প সঙ্কলন থেকে দীপা হার্ট ল্যাম্পের বারোটি গল্প নির্বাচন করেন (হার্ট ল্যাম্প: সিলেক্টেড স্টোরিজ [অ্যান্ড আদার স্টোরিজ, ২০২৫], আইএসবিএন ৯৭৮১৯১৬৭৫১১৬৩)।

চলতি সালের জন্যে নির্বাচিত বিচারকদের সভাপতি, বেস্টসেলিং বুকার পুরস্কার দীর্ঘ তালিকাভুক্ত লেখক ম্যাক্স পোর্টার গত ২০ মে লন্ডনের স্টেট মডার্নে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেন। পুরস্কারের পঞ্চাশ হাজার পাউন্ড অর্থ বানু ও দীপাকে সমানভাবে ভাগ করে দেয়া হয়।

১৯৯০ থেকে ২০২৩-এর মধ্যে লেখা হার্ট ল্যাম্পের ১২টি গল্পে দক্ষিণ ভারতের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারী ও বালিকাদের জীবনকে তুলে ধরা হয়েছে। পেশায় একজন আইনজীবী এবং প্রগতিশীল কন্নড় সাহিত্যের একজন প্রধান কণ্ঠস্বর বানু মুশতাক ভারতে নারী অধিকারের একজন বিশিষ্ট সমর্থক এবং বর্ণ ও ধর্মীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে একজন উচ্চকণ্ঠ প্রতিবাদী। তাঁর কাছে আইনগত সাহায্যের জন্য আসা মহিলা ও মেয়েদের বর্ণিত অভিজ্ঞতা শুনে তিনি এ বইয়ের গল্পগুলো লেখার জন্যে অনুপ্রাণিত হন।

 

আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার ২০২৫-এর প্রধান বিচারক ম্যাক্স পোর্টার বইটি সম্পর্কে বলেন, ‘হার্ট ল্যাম্প ইংরেজি পাঠকদের জন্য সত্যিই নতুন কিছু। এটা একটা মৌলিক অনুবাদ, যা ভাষার প্রচলিত অনেক রীতিনীতিকে এলোমেলো করে দিয়েছে, বহুবৈচিত্র্যপূর্ণইংরেজি ভাষায় একটা নতুন বুণন বৈচিত্র্যের সৃষ্টি করেছে। অনুবাদ সম্পর্কে আমাদের পূর্বধারণাগুলোকে এটা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে এবং ধারণার দিগন্তকে সম্প্রসারিত করেছে।

 

‘এই সুন্দর, কর্মব্যস্ত, জীবন-প্রমাণকারী গল্পগুলি কন্নড় থেকে উঠে এসেছে, এবং অন্যান্য ভাষা ও উপভাষার অসাধারণ সামাজিক-রাজনৈতিক সমৃদ্ধির সাথে মিশে আছে। এই গল্পগুলো নারীর জীবন, প্রজনন অধিকার, বিশ্বাস, বর্ণ, ক্ষমতা এবং নিপীড়নের কথা বলে।

 

‘আমাদের প্রথম পাঠের সময় থেকেই এই বইটিকে বিচারকরা সত্যিই পছন্দ করেছিলেন। জুরিদের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এই গল্পগুলির ক্রমবর্ধমান প্রশংসা শুনতে পেরে আনন্দিত হয়েছি। বিশ্ব জুড়ে পাঠকদের সাথে আন্তর্জাতিক বুকার পুরষ্কার ২০২৫-এর এই সময়োপযোগী এবং উত্তেজনাপূর্ণ বিজয়ীর কথা ভাগ করে নিতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত।’

 

আন্তর্জাতিক বুকার পুরষ্কার কমিটির প্রশাসক ফিয়ামেত্তা রোকো বলেছেন: ‘তিন দশক ধরে নারী অধিকারের একজন মহান সমর্থকের লেখা এবং সহানুভূতি ও দক্ষতার সাথে অনূদিত গল্পের সঙ্কলন হার্ট ল্যাম্প সারা বিশ্বের নারী-পুরুষদের পড়া উচিত। বইটি আমাদের সময়ের সাথে কথা বলে এবং কীভাবে অনেককে নীরব করে দেয়া হয় তার কথাও বলে।

 

বছরের পর বছর ধরে নারী অধিকারের পক্ষে এবং সকল ধরণের বর্ণ ও ধর্মীয় নিপীড়নের প্রতিবাদে অক্লান্ত সংগ্রামরত বানু মুশতাক এ বইয়ের গল্পগুলোতে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার পাশাপাশি পারিবারিক ও সম্প্রদায়গত উত্তেজনার কিছু নিপুণ প্রতিকৃতিও এঁকেছেন।

 

বুকার পুরস্কারের বিচারকদের মতে, বানু মুশতাকের লেখা একই সাথে মজাদার, প্রাণবন্ত, মর্মস্পর্শী এবং উত্তেজনাপূর্ণ। তিনি সমৃদ্ধ কথ্য শৈলী থেকে হতাশাজনক ভাবগত উচ্চতা তৈরি করেন। উজ্জ্বল শিশুরা, বদমেজাজি দাদীরা, ভাঁড়তুল্য মৌলবীরা আর এবং গুন্ডা ভাইয়েরা, প্রায়শই অসহায় স্বামীরা, এবং সর্বোপরি মায়েরা, যারা তাদের অনুভূতিগুলিকে অনেক মূল্য দিয়ে টিকে থাকে– এই চরিত্রগুলি সৃষ্টিতে তিনি একজন আশ্চর্য ক্ষমতাধর লেখক এবং মানব প্রকৃতির অভ্রান্ত পর্যবেক্ষক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।

 

বানু মুশতাক

 

বানু মুশতাকের জন্ম ১৯৪৮-এর ৩ এপ্রিল দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্য কর্নাটকের হাসানে এক মুসলিম পরিবারে। একেবারে শৈশবেই তাঁর মধ্যে মেধার স্ফূরণ দেখা যায়। শৈশবে সামান্য বেশি বয়সে, মানে আট বছরে পা দেয়ার পর, তিনি শিবমো¹ায় কন্নড় ভাষার একটি মিশনারি স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু তাঁকে শর্ত দেয়া হয় যে, পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে কন্নড় ভাষা পড়া এবং লেখা শিখতে না পারলে তাঁর ভর্তি বাতিল করে দেয়া হবে। কিন্তু মাস নয়, মাত্র কয়েক দিন ক্লাস করার পরই তিনি কন্নড় পড়তে ও লিখতে শিখে গিয়ে শিক্ষকদের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যান।

নিজের কট্টর মুসলমান সমাজের বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জনের পর প্রেম করে তিনি নিজের পছন্দের পুরুষকেই বিয়ে করেন ছাব্বিশ বছর বয়সে। এর পাশাপাশি তিনি ‘লঙ্কেশ পত্রিকে’ নামের একটি কন্নড় খবরের কাগজে প্রতিবেদক হিসেবে যোগ দেন, এবং কয়েক মাস অল ইন্ডিয়া রেডিও বাঙ্গালুরুতেও কাজ করেন।

 

কিন্তু বিয়ের অল্প কয়েকদিন পর থেকেই স্বাধীনচেতা বানুর পায়ে বেড়ি পরানো হল। তিনি চাকরি ছাড়তে বাধ্য হলেন। তাঁর বাড়ির বাইরে বেরোনোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলো। আর একান্তই বাধ্য হয়ে বাড়ির বাইরে গেলে বোরখা পরাটা বাধ্যতামূলক হয়ে গেল।

 

এর পর তাঁর সন্তান জন্মানোর পর পায়ের শেকল আরো শক্ত হয়ে ধীরে ধীরে তাঁকে ঠেলে নিয়ে গেল সীমাহীন হতাশার দিকে। তীব্র অবসাদে ভুগতে থাকা বানু একদিন নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করতে যান। এসময় তাঁর স্বামী তাঁদের শিশুকন্যাটিকে তাঁর কোলে তুলে দিলে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা থেকে নিবৃত্ত করলো।

 

এর পর মূলত স্বামীর উৎসাহে ও প্রণোদনায় বানু মোশতাকের জীবনের মোড় ঘুরে গেলো। তিনি হাতে কলম তুলে নিলেন। নতুন করে তাঁর জন্ম হলো কর্ণাটকের বান্ডায়া সাহিত্যের অন্যতম মুখ, সাহিত্যিক, আইনজীবী ও সমাজকর্মী হিসেবে।

 

বানু মুশতাক ১৯৮০ সাল থেকে কর্ণাটকে মৌলবাদ এবং সামাজিক অবিচার প্রতিরোধ আন্দোলনের সাথে জড়িত আছেন। ২০০০ সালে, মুসলিম মহিলাদের মসজিদে প্রবেশের অধিকারের পক্ষে বানুর প্রচারণা চালানোর প্রতিক্রিয়ায় তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে তিন মাসের ‘সামাজিক বয়কট’ ঘোষণা করা হয়। সেই সময়ে টেলিফোনে তাঁকে ভয়ঙ্কর সব হুমকি দেয়া হতে থাকে এবং একজন লোক তাঁকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করে কিন্তু তাঁর স্বামী লোকটাকে বাধা দেয়ায় বানু প্রাণে বেঁচে যান।

২০০০ সালের গোড়ার দিকে বানু চিকমাগালুর জেলার বাবা বুদানগিরিতে অবস্থিত একজন সর্বধর্মের লোকদের প্রিয় ও ভক্তিভাজন বকেচি মাজারে মুসলিমদের যেতে বাধা দেওয়ার প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য মূলক সংগঠন ‘কোমু সৌহার্দ বেদিকে’-তে যোগ দেন।

 

মাতৃভাষা কন্নড় ছাড়াও হিন্দি, দক্ষিণী উর্দু এবং ইংরেজি ভাষাও ভালোই জানেন তিনি। মুশতাক অল্প বয়স থেকেই লেখালেখিতে আগ্রহী ছিলেন, কিন্তু সিরিয়াসলি লেখা শুরু করেন ২৯ বছর বয়সে। প্রসবোত্তর বিষণ্নতা কাটিয়ে ওঠার পর নিজের অনুভূতি আর অভিজ্ঞতার অন্বেষণে তিনি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। তার লেখার বেশিরভাগই নারী বিষয়ক।

 

বানু মুশতাক এযাবৎ ছোটগল্পের ছয়টি সংকলন, একটি উপন্যাস, প্রবন্ধের একটি সংকলন এবং একটি কবিতার বই প্রকাশ করেছেন। তাঁর রচনা উর্দু, হিন্দি, তামিল, মালয়ালাম ও ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে। তাঁর লেখা গল্প ‘কারি নাগরাগালু’ থেকে ২০০৩ সালে ‘হাসিনা’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়।

 

বুকার পুরস্কার ছাড়াও বানু মুশতাক আরো যেসব সম্মান ও স্বীকৃতি পেয়েছেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: কর্ণাটক সাহিত্য একাডেমি পুরষ্কার (১৯৯৯), দান চিন্তামণি আট্টিমব্বে পুরষ্কার (১৯৯৯), দীপা ভাস্তি অনূদিত ‘হাসিনা অ্যান্ড আদার স্টোরিজ’-এর জন্য পেন ইংরেজি অনুবাদ পুরস্কার প্রভৃতি।

 

দীপা ভাস্তি

 

দীপা ভাস্তির জন্ম ১৯৮৩ সালে কর্ণাটকের মাদিকেরিতে। তিনি একজন লেখক, অনুবাদক এবং সাংবাদিক। কোডাগুর ফিল্ড মার্শাল কে. এম. কারিয়াপ্পা কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় ডিগ্রি অর্জন করেন এবং বেঙ্গালুরুতে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া আউটলেটে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। একজন সাংবাদিক হিসেবে চল্লিশটিরও বেশি ভারতীয় ও বিদেশী সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে তাঁর প্রবন্ধ, কলাম এবং সমালোচনা প্রকাশিত হয়েছে। দীপা তাঁর সাহিত্যিক অনুবাদের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। বানু মুশতাকের ছোটগল্প সংকলন হার্ট ল্যাম্পের ইংরেজি অনুবাদ তিনি সম্পন্ন করেন টানা চার মাসের নিবিড় পরিশ্রমে। বানু মুশতাকের লেখা ছাড়াও তিনি নারীবাদী কন্নড় সাহিত্যের অগ্রদূত কোডাগিনা গৌরাম্মা এবং কোটা শিবরাম করন্থের মতো বিশিষ্ট লেখকদের রচনাও ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন।

 

অনুবাদকর্মের পাশাপাশি দীপা শিশুতোষ বইও লিখেছেন। তাঁর লেখা বই ‘চম্পি অ্যান্ড দ্য ফিগ ট্রি’ চলতি ২০২৫ সালেই প্রকাশিত হয়েছে।

 

‘হার্ট ল্যাম্প’ কথাটার বাংলা প্রতিশব্দ হতে পারে ‘হৃদয় প্রদীপ’। ধর্ম-বর্ণ, জাতপাত, লিঙ্গ ইত্যাদির বৈষম্যভিত্তিক সংঘাত-সংঘর্ষে ভারতবর্ষসহ গোটা পৃথিবী যখন ক্রমশ এক নারকীয় অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়ার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে, তখন দুই ভগ্নিপ্রতীম অথচ যূযুধান দুটি সম্প্রদায়ের দুই অসমবয়সী নারীর সম্মিলিত শ্রমে জ্বালানো এই হৃদয় প্রদীপ অবারও আমাদের চোখে আলোর স্বপ্ন জাগিয়ে তোলে।

 

জোর্তিময় নন্দী : কবি ও অনুবাদক

রেম্ব্রান্টের জন্মশহর লেইডেন, ইনডেক্স পোয়েট্রি বুকস এবং কেইস নুটবুমের তিনটি কবিতা

আলম খোরশেদ বছর ছয়েক আগে জার্মান সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের আমন্ত্রণে বিশ্বখ্যাত নাট্যোৎসব থিয়েটার ট্রেফেন এর ছাপ্পান্নতম আসরে যোগ দিতে বার্লিন গিয়েছিলাম, পৃথিবীর আরও কুড়িটি দেশের

আমরাই শেষ জেনারেশন

বৈজয়ন্ত বিশ্বাস ভিক্টর আমরাই শেষ জেনারেশন, যারা গরুর গাড়ি থেকে সুপার সনিক কনকর্ড জেট দেখেছি। পোস্টকার্ড, খাম, ইনল্যান্ড লেটার থেকে শুরু করে আজকের জিমেইল, ফেসবুক,

আন্দরকিল্লা সাহিত্যপত্রিকা এবং স্মৃতিকাতর চাটগাঁ

প্রবীর বিকাশ সরকার “আন্দরকিল্লা” ম্যাগাজিনটি ২৭ বছর ধরে প্রকাশিত হচ্ছে, আদৌ কম কথা নয়! সাহিত্য, শিল্পকলা, সংস্কৃতি, রাজনীতি, সমাজবিষয়ক একটি সাময়িকী বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রাম শহর