এখন সময়:রাত ২:৩৫- আজ: বৃহস্পতিবার-২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল

এখন সময়:রাত ২:৩৫- আজ: বৃহস্পতিবার
২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল

বিজ্ঞান পড়ে পৃথিবীতে দাপট দেখাচ্ছে ইহুদি ও খ্রিস্টানরা। আর মুসলমানরা?

হাবিবুর রহমান স্বপন

 

সমগ্র বিশ্বে মুসলিম জনসংখ্যা কত জানেন?

১৯০ কোটি, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৭৮০ কোটি-এর  ২৪ শতাংশ।

এদের মধ্যে কত জন এ যাবতকাল বিজ্ঞানে নোবেল প্রাইজ পেয়েছে, জানেন?

মাত্র ৩ জন।

আমি আবার বলছি মাত্র ৩ জন।

এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানে মোট কতটি নোবেল প্রাইজ ঘোষণা করা হয়েছে?

৬০৯ টি।

সেই হিসেবে শতকরা মুসলিম বিজ্ঞানীদের নোবেল প্রাইজ অর্জনের সংখ্যা দাড়ায় মাত্র ৩স্ট৬০৯= ০.৫০ শতাংশ।

 

সারা বিশ্বে হিন্দু জনসংখ্যা কত জানেন?

১২০ কোটি, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ।

এদের মধ্যে কতজন এ যাবতকাল বিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছে, জানেন?

 

মাত্র ৫ জন (ভারতীয় বংশোদ্ভূত দুই জনকে ধরে)।

সেই হিসেবে এই সংখ্যা দাঁড়ায়  ৫স্ট৬০৯=০.৮০ শতাংশ।

 

এবার একটু ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ইহুদিদের দিকে নজর দেয়া যাক।

 

সারা বিশ্বে মোট ইহুদিদের সংখ্যা কত জানেন?

মাত্র ১৪৭ লক্ষ।

আমি আবার বলছি মাত্র ১ কোটি ৪৭ লক্ষ।

এদের ভিতরে কতজন বিজ্ঞানে নোবেল প্রাইজ পেয়েছে জানেন?

১৫০ জন!!!! যা বিজ্ঞানে ঘোষিত নোবেল প্রাইজের ১৫০স্ট৬০৯=২৫%!!!!

চিন্তা করা যায়!!! এত ক্ষুদ্র জনসংখ্যার ভিতরে এত গুলো নোবেল বিজয়ী!!

 

উপরের সংখ্যাগুলো উল্লেখ করার একটা কারণ আছে।

 

ফেসবুক খুললেই ভারতীয় উপমহাদেশের লোকজনদের দেখা যায় ধর্মের ভিতর বিজ্ঞান আবিষ্কার করতে।

এরা ধুমচায়ে ব্যাখ্যা করতে থাকে বিজ্ঞানের সব আবিষ্কার ধর্মগ্রন্থ দিয়ে।

হিন্দুরা তাদের ধর্মগ্রন্থে বিগ ব্যাং খুঁজে পায়, মহাবিশ্ব সৃষ্টির সব বর্ণনা দেখতে পায়, এমনকি অণু-পরমাণুর জগতেরও নিখুঁত বর্ণনা খুঁজে পায়।

মুসলিমরাও একইভাবে তাদের ধর্মগ্রন্থে বিগ ব্যাং খুঁজে পায়, পৃথিবী সৃষ্টির বর্ণনা খুঁজে পায়, খুঁজে পায় বিজ্ঞানের অন্যান্য আবিষ্কারও।

এদের প্রত্যেকেরই দাবি তাদের নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞানের সকল আবিষ্কারই নাকি আকার-ইঙ্গিতে লিপিবদ্ধ করা রয়েছে!!! তারা নিজেরা তা উদ্ধার করতে পারছে না জন্য আজ তারা বিজ্ঞানে পিছিয়ে রয়েছে!

কি হাস্যকর!!

যে ইহুদি বিজ্ঞানী নোবেল প্রাইজ পেয়েছে, সে হয়ত জীবনে হিন্দু-মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ খুলেই দেখেনি, অপরদিকে হিন্দু-মুসলিমরা ধর্মগ্রন্থ মুখস্থ করে ফাতাফাতা করার পরেও কোন নোবেল প্রাইজ ঘরে তুলতে পারছে না!

পারছে না কোন যুগান্তকারী আবিষ্কার করতে!

একসময়  মুসলিমরা বিজ্ঞানে ব্যাপক অবদান রেখেছিল। বীজগণিত (আল খাওয়ারিজমী), রসায়ন, চিকিৎসা বিজ্ঞান (ইবনে সিনা), মহাকাশ বিদ্যায় ছিল তাদের চৌকষ জ্ঞান। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে তাদের সে শিখাটা এখন প্রায় স্থিমিত। এক সময় হিন্দুরা একইভাবে বিজ্ঞানে ব্যাপক অবদান রেখেছিল। জিরো-এর ধারণা, দশমিক সংখ্যার প্রবর্তন,

 

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি, ফিবোনচি সংখ্যার ধারণা, চিকিৎসা বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান শাখাতেও ছিল তাদের ব্যাপক অবদান। দুঃখের বিষয় হিন্দুদের সে শাখাটা সময়ের সাথে সাথে যতটা এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, ততটা এগোয় নি।

বাংলাদেশে ইদানিং কতগুলো ভুঁইফোড় লেখকের উত্থান ঘটেছে যারা বিজ্ঞানকে ধর্মের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করার চেষ্টায় প্রবলভাবে লিপ্ত। এরা বিগ ব্যাংকে ব্যাখ্যা করে ধর্মের আলোকে, এরা ব্ল্যাকহোলকে ব্যাখ্যা করে ধর্মের মাধ্যমে। চিন্তা করা যায়!!

একটা জাতিকে কীভাবে হাজার বছর পিছিয়ে দেয়া যায়, এর চেয়ে প্রকৃষ্ট উদাহরণ আর হতে পারে না। এইসব লেখক পাব্লিককে বলদ বানিয়ে নিজের পকেট পুরছে, আর পাব্লিক তাদের টোকাই ওষুধ খেয়ে কাল্পনিক সুখ ভোগের আশায় আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলছে। এরা অগোচরে ফিউচার জেনারেশনের যে কী পরিমাণ ক্ষতি করে চলেছে, তা এখন বুঝতে না পারলেও জাতি ঠিকই পরে টের পাবে।

সভ্যতা এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে, জ্ঞান-বিজ্ঞানের শাখায় যোগ হচ্ছে নতুন নতুন আবিষ্কার, উন্নত দেশসমূহ মঙ্গলে মহাশূন্যযান পাঠাচ্ছে অথচ আমরা পড়ে আছি সেই চিরাচরিত কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস আর কুযুক্তি নিয়ে।

নিত্য নতুন ফন্দী আটছি কীভাবে নারীকে ঘরে বন্দী করা যায়!

কোন জাতি যদি সারা জীবন পরনির্ভরশীল ও অন্যের গোলাম হয়ে থাকতে চায় এবং সে নিমিত্তে নিজের জন্য নিজেই গর্ত খুড়ে, তার দায়ভার তো আর অন্যের উপর চাপানো যায় না!

 

হাবিবুর রহমান স্বপন, প্রাবন্ধিক

কাজী নজরুল ইসলাম : বাংলা সাহিত্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রাণপুরুষ

আ.ম.ম. মামুন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামই প্রথম মৌলিক কবি। রবীন্দ্র অনুবর্তী একগুচ্ছ কবির একজন তিনি নন। তিনি অন্যরকম স্বতন্ত্র। শিল্প সাধনায়,

আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথ 

প্রবীর বিকাশ সরকার ১৯২৯ সালে বহির্বিশ্বে অবস্থানকালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনে ঘটেছে যুগপৎ দুঃখজনক এবং আনন্দদায়ক কিছু ঘটনা। যা নিয়ে বাংলায় সামান্যই আলোচনা হয়েছে, অথবা

হিংস্র ও বুনো অপশক্তির বিনাশ চাই

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় গ্রীষ্মকালটা বড়ই অসহনীয় ও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে এই ঋতুটির তেজ আগে কখনও এত তীব্র ছিলো না। ইতোমধ্যেই