এখন সময়:সন্ধ্যা ৬:১৯- আজ: সোমবার-২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল

এখন সময়:সন্ধ্যা ৬:১৯- আজ: সোমবার
২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল

মৈমনসিংহ গীতিকা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অপরিহার্য পাঠ

ড. শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক

 

ড. দীনেশ চন্দ্র সেন সম্পাদিত মৈমনসিংহ গীতিকা ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রাচীন পালাগানের সংকলন। ১৯২৩ সালে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হওয়ার পর দেশে-বিদেশে এ নিয়ে প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা-সমাদর হয়। বিশ্বের বিশের অধিক ভাষায় সংকলনটি মুদ্রিত হয়। মৈমনসিংহ গীতিকা নিয়ে এখনও আলোচনা বহাল আছে যা বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি এবং বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোচনা হিসেবে দীর্ঘদিন চলমান থাকবে বলে প্রতীয়মান হয়। কেননা বাংলা লোকসাহিত্য চর্চায় মৈমনসিংহ গীতিকা অপরিহার্যভাবে নিজস্ব মর্যাদাকে নিশ্চিত করেছে।

প্রকৃতপক্ষে, মৈমনসিংহ গীতিকায় পূর্ব ময়মনসিংহ তথা বর্তমান নেত্রকোনা জেলার দশটি প্রাচীন পালাগান সংকলিত হয়েছে। এ পালাগানগুলো এমন সময়ে রচিত হয়েছিল যখন ঐ দুর্গম অঞ্চলে এমনকি প্রাচীন আর্য সভ্যতার প্রভাব তৈরি হয়নি; অপরদিকে, যখন সেখানে মাতৃতান্ত্রিক সমাজের প্রভাব স্পষ্ট ছিল।

 

আর তখন কিংবা নিকটবর্তী পূর্বসময়ে যেখানে মঙ্গলকাব্যের কয়েকজন আদি কবির আবির্ভাব ঘটেছিল। সবগুলো পালাগানের প্রকৃত রচনাকাল নির্ণয় করা সম্ভব না হলেও এগুলোর রচনাকাল ভিন্ন, এমনকি পালাগানগুলোর রচয়িতা ও রচনাকাল ভিন্ন। রচয়িতাদের কেউ কেউ নিরক্ষর ছিলেন এবং কোনো কোনো পালা রচনাকালের মধ্যে শত বছরের ব্যবধান বিদ্যমান রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

 

মহুয়া: রচয়িতা- দ্বিজ কানাই। রচনাকাল- সপ্তদশ শতাব্দী।

মলুয়া: রচয়িতা- পালাটির প্রারম্ভে কবি চন্দ্রাবতীর ভূমিকা থাকালেও এটি তাঁর রচনা নয় বলে ড. দীনেশ চন্দ্র সেন মনে করেন। সে বিবেচনায় রচয়িতা অজ্ঞাত। রচনাকাল সপ্তদশ শতাব্দী।

চন্দ্রাবতী: রচয়িতা- নয়ানচাঁদ ঘোষ। রচনাকাল- সপ্তদশ শতাব্দী।

কমলা: রচয়িতা- দ্বিজ ঈশান। রচনাকাল- জানা যায়নি।

দেওয়ান ভাবনা: রচয়িতা- চন্দ্রাবতী। রচনাকাল- সপ্তদশ/অষ্টাদশ শতাব্দী। এটি সুনাই-মাধব পালা নামে বহুল পরিচিত।

 

দস্যু কেনারাম: রচয়িতা- চন্দ্রাবতী। রচনাকাল- ষোড়শ/সপ্তদশ শতাব্দী।

 

রূপবতী: রচয়িতা- অজ্ঞাত। রচনাকাল- অজ্ঞাত।

 

কঙ্কা ও লীলা: দামোদর দাস, রঘুসুত, নয়ানচাঁদ ঘোষ এবং শ্রীনাথ বানিয়া। রচনাকাল- সপ্তদশ শতাব্দী।

কাজলরেখা: রচয়িতা- অজ্ঞাত। রচনাকাল- অজ্ঞাত।

 

দেওয়ানা মদিনা: রচয়িতা- মনসুর বয়াতি। রচনাকাল- অজ্ঞাত। এটি আলাল দুলালের পালা নামেও পরিচিত।

 

স্পষ্টতঃ, ময়মনসিংহ অঞ্চলের এই পালাগানগুলো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের দ্বারা রচিত। কোনোকোনো ক্ষেত্রে রচয়িতা বা রচনাকাল অজ্ঞাত। ড. দীনেশ চন্দ্র সেন-এর নির্দেশনায় ১৯২০-২১ সালে নেত্রকোনার চন্দ্রকুমার দে পালাগানগুলো নানাভাবে সংগ্রহ করেন। যা পরবর্তীতে সম্পাদনা করে ড. দীনেশ চন্দ্র সেন মৈমনসিংহ গীতিকা নামে প্রকাশ করেন। মৈমনসিংহ গীতিকায় ২১টি পালাগানের কথা উল্লেখ থাকলেও বাছাইকৃত ১০টি পালাগান এতে সংকলিত হয়। অবশিষ্ট কয়েকটি পরে পূর্ববংগ গীতিকায় মুদ্রিত হয়। জানা যায় যে, শ্রী চন্দ্রকুমার দে’র সহযোগিতায় ড. দীনেশ চন্দ্র সেন আরও অনেক কাব্যছত্র, পালাগান ও পৌরাণিক কাব্যের সন্ধান পেয়েছিলেন। তবে নিজ বিবেচনায়, ড. সেন সেগুলো তখন সংগ্রহ/সংকলিত করেননি, যা সময়ান্তরে বিলীন হয়ে গেছে।

 

এ পালাগুলোর অধিকাংশ শিরোনাম কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রের নাম-আশ্রিত। আর এগুলোতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারী চরিত্রের প্রাধান্য এবং লৌকিক প্রেম-ভালোবাসার মহত্বকে ধারণ করা হয়েছে। পরিবেশনায় সময় ও স্থানের নিরিখে শব্দ সম্ভারে লোককাব্যিক ছড়ার মিলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর সাথে অনুষঙ্গ হয়ে এসেছে সে অঞ্চলের জীবন, প্রকৃতি, সংস্কার-বিশ্বাস, আর মানবিক আবেগ। এ গীতিকাগুলো সমাজের আভিজাত্য, ভিন্ন ধর্মজনিত প্রচলিত সংস্কার, ব্রাহ্মাণ্য কৃষ্টি, ইত্যাদির প্রতি পক্ষপাতের পরিবর্তে লৌকিক প্রেম আর মানবিক আবেগের উপর প্রাধান্যনির্ভর। মৈমনসিংহ গীতিকার পালাগানগুলোর মধ্যে কাজলরেখা রূপকথাভিত্তিক এবং প্রাচীনতম। বাকি কাহিনীগুলো কোনো না কোনো অংশে সত্য ঘটনার উপর নির্ভর করে রচিত বলে ধারণা করা হয়। এর রচয়িতাগণ সমাজের উচ্চশ্রেণি বা  উচ্চশিক্ষিতদের অংশ নন, কেউ কেউ নিরক্ষর ছিলেন।

 

মৈমনসিংহ গীতিকা বাংলা সাহিত্যের ঐতিহ্যের একটি অপরিহার্য অংশ। যে ঐতিহ্য একদিকে “ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা ও জাতপাতের বৈষম্যহীন মানবীয় মহিমার” স্মারক। অন্যদিকে, এ গীতিকাগুলো “স্বাধীন প্রণয়াবেগসহ নারীত্বের জাগরণ ও জীবনাগ্রহ” সম্পর্কীত সামাজিক বোধের সাক্ষ্য বহন করে। এ বিবেচনায় মৈমনসিংহ গীতিকা আবহমান কাল ধরে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজমান সামাজিক মনঃকল্পের সুদৃঢ় ইঙ্গিত প্রদান করে। এটি বাংলা ভাষার প্রাচীন লোকসংস্কৃতি বিষয়ক গভীর অন্তর্দৃষ্টির সহায়ক। এর মাধ্যমে তৎকালীন লোকজীবনের বাস্তবতা, সামাজিক সম্পর্ক, প্রেম, বঞ্চনা ও সাধারণ মানুষের ভাবাদর্শের নানান আঙ্গিক সম্পর্কে ধারণা লাভ করা সম্ভব।

 

এ কারণেই বাংলাদেশের সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে মৈমনসিংহ গীতিকার নানান দিক নিয়ে চর্চা হয়ে আসছে, আর এসব চর্চা সমাদৃতও হচ্ছে। এর উপাখ্যান, উপাদান এবং সুরকে আশ্রয় করে যাত্রা, নাটক, পালাগান ভাটি অঞ্চলসহ সারাদেশে বিপুল দর্শকশ্রোতার উপস্থিতিতে রাতভর মঞ্চস্থ হয়ে আসছে। এসব কাহিনি নিয়ে এ দেশে নির্মিত অনেক সিনেমা প্রচুর দর্শক টেনেছে। অর্থাৎ, মৈমনসিংহ গীতিকাভিত্তিক কাহিনি-যাত্রা-পালাগান-সিনেমায় সাধারণ মানুষের জন্য লোকজ উপাদাননির্ভর বিনোদন ও রস আস্বাদনের যোগানে কমতি পড়েনি। আর এ থেকে এসব পালাগানের সে সময়কার জনপ্রিয়তা সম্পর্কে একটি অনুমান লাভ করা সম্ভব। শুধু বিনোদন নয়, এ নিয়ে প্রচুর সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, আলোচনা ও গবেষণাকর্ম অব্যাহত আছে।

 

যাহোক, মৈমনসিংহ গীতিকায় সংকলিত গীতিকাগুলোর প্রাচীনত্ব এবং অকৃত্রিমতা নিয়ে কারো কারো সংশয় সত্ত্বেও অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ হয়ে মৈমনসিংহ গীতিকা যখন বিশ্বদরবারে উপস্থাপিত হয়েছে তখন বাংলা লোকজসাহিত্যের এ ভাণ্ডার নানাভাবে সংশ্লিষ্ট মহলের শুধু আগ্রহ এবং অনুসন্ধিৎসাই তৈরি করেনি অনেকের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও কুড়িয়েছে। এ প্রশংসা কেবলমাত্র লোকজ উপাদানের কারণে নয় মৈমনসিংহ গীতিকার সাহিত্যমূল্য বা শিল্পগুণ দেশে-বিদেশে প্রচুর প্রশংসা অর্জন করেছে। এসব গীতিকার ভাব বা বিষয়বস্তু বা গল্প প্রশংসিত হয়েছে। এসবের রচনাশৈলী বা পরিবেশনার দিকও প্রশংসিত হয়েছে। ফরাসি পণ্ডিত সিলভাইন লেভি (ঝুষাধরহ খবার;) যিনি ভারত উপমহাদেশের ভাষা-সংস্কৃতি নিয়ে গভীরভাবে গবেষণা করে পশ্চিমা জ্ঞানভাণ্ডারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন- তিনি এই গীতিকাকে “বাংলা লোকসাহিত্যের একটি জীবনদায়ক স্রোত” হিসেবে উপভোগ করে মন্তব্য করেন যে, “এই পল্লী কৃষককূলের রচিত সাহিত্যরসে আমি ডুবিয়া আছি। ইহাদের প্রসাদে আমি ফরাসী দেশের অতি শীতল আবহাওয়ায় বাস করিয়া আপনাদের নির্মল রৌদ্রোজ্জ্বল শ্যামল দেশ এবং প্রকৃতির মুক্তাঙ্গনে দাম্পত্য জীবনের কবিত্বলীলার মাধুরী অনুভব করিতেছি”।

 

এ সম্পর্কে রোঁমা রোলা বলেন, I was specially delighted with the touching story of Madina which although only two centuries old is and antique beauty and purity sentiment” মৈমনসিংহ গীতিকার গুরুত্ব অনুধাবন করে দ্যা লন্ডন টাইমস পত্রিকার এডিটরিয়াল স্টাফ এফ এইচ ব্রাউন লিখেন, I am taking immediate steps to lay one of the two copies before the editor of the ÔTimesÕ with a strong recommendation that it should receive the attention it deserves in ÔThe Literary Supplement অন্যদিকে হগম্যান বলেন, “নায়িকাগুলি শেক্সপিয়র ও রেইনীর স্ত্রীচরিত্রের মত য়ুরোপের ঘরে ঘরে পঠিত হওয়া উচিত”।

এ যুগে মৈমনসিংহ গীতিকার প্রধানতম গুরুত্ব হলো, এটি প্রাচীন বাংলার জনজীবন, সামাজিক সম্পর্ক, সাংস্কৃতিক আচার-অনুষ্ঠানের একটি মূল্যবান দলিল। যে দলিল সে সময়ের সমাজচিত্রের পাশাপাশি মানুষের গভীরতর অনুভূতি, আনন্দ-বেদনাসহ জীবনের নানা দিককে চিত্রিত করে যা এ সময়ের মানুষের কাছে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হস্তান্তর করে, যে সূত্র কিংবদন্তীতূল্য। আর এভাবেই মৈমনসিংগ গীতিকা বর্তমান সময়ে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। আধুনিক যুগে লোকশিল্পের পুনর্জাগরণে মৈমনসিংহ গীতিকার অবদান আছে। এ পুনর্জাগরণ প্রতিফলিত হয়েছে নকশিকাঁথায়, লোকগীতি, লোকজ সুরে। সেই সাথে গীতিকায় উপস্থাপিত বিরাগ-বঞ্চনা-অনুরাগ-সংগ্রাম প্রকাশের অকৃত্রিম শব্দবন্ধন, প্রাকৃতিক উপাদান, গঠনশৈলী বাংলা সাহিত্যকে অব্যাহতভাবে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। আধুনিককালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে বাংলা সাহিত্যের সেরা সকল লেখকের কলমে, চিত্রকলায়, শিল্পকর্মে, সিনেমা-নাটকে সে ঐতিহ্যের নবায়ন লক্ষনীয়। মৈমনসিংহ গীতিকার স্বরূপ সন্ধান, এর ইতিহাস অনুসন্ধান, সময় ও স্থানিক আবহ অনুধাবনসহ এর বহুমাত্রিক বিচার-বিশ্লেষণের লক্ষে গীতিকাগুলোর গভীর পাঠ বর্তমান সময়ে কেবলমাত্র প্রাসঙ্গিক নয়ত্মবাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতির মৌলিকতার ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে এটি অপরিহার্যও বটে।

 

গ্রন্থপঞ্জি:

লোক-সাহিত্য প্রথম খণ্ড; ডক্টর আশরাফ সিদ্দিকী। গতিধারা, ঢাকা; ১৯৯৪ (পরিমার্জিত সংস্করণ)।

শ্রীদীনেশচন্দ্র সংকলিত মৈমনসিংহ গীতিকা; সম্পাদনা: আজিজুল হক। মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা; ১৯৯৯।

আধুনিক বাংলা কবিতায় লোকজ উপাদান; বিমল গুহ। বাংলা একাডেমি, ঢাকা; ২০০১।

বাংলাদেশের ইতিহাস সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য; ড. মোঃ নুরুল ইসলাম। তসলিমা পাবলিকেশন্স, ঢাকা; ২০১০।

স্বতন্ত্র, মৈমনসিংহ গীতিকা সংখ্যা; ফরিদ আহমদ দুলাল সম্পাদিত। আগস্ট-অক্টোবর ২০২৪।

 

ড. শাহ মোহম্মদ সানাউল হক, কবি ও প্রাবন্ধিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

অন্ধ হলে প্রলয় বন্ধ হয় না

শোয়েব নাঈম শব্দের মধ্যেই থাকে জীবনের আসল দর্শন। শব্দের কারণেই মানুষ হয় নির্বাসিত। এখন মঙ্গলের অমরতায় ঘামছে গ্রীষ্মের বৈশাখ মাস। মঙ্গল এই শব্দবোধে যতটা কল্যাণ

চীনের মতো আমাদেরও ভাবা উচিত

আমির হোসেন চীনে ফেসবুক, ই’নস্টাগ্রা’ম, ইউটিউব, গুগল, গুগল ম্যাপ, হোয়াটসঅ্যাপ, এমনকি ক্রোম ব্রাউজারও ব্যান! শুরুতে শুনে বিরক্ত লাগলেও এখন বুঝতে পারছি- ওরা আসলে অনেক আগেই

গল্পশূন্য জীবনের ইতিকথা

আন্দরকিল্লা ডেক্স : আমাদের পূর্বপুরুষরা কৃষক ছিলেন, শ্রমিক ছিলেন। থাকতেন মাটির কাঁচা ঘরে। অর্থাভাবে-অন্নাভাবে কখনও-সখনও উপোসও করতেন। পরতেন মলিন পোশাকপরিচ্ছদ। আমাদের বাবারা চাইলেন আমরাও যেন

সংস্কার চাই : চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন

নিখিল রঞ্জন দাশ সম্প্রতি চট্টগ্রাম এম.এ. আজিজ স্টেডিয়ামকে আগামী ২৫ বছরের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারশনকে দেয়া হবে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজনে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের ৬০

চল্লিশ বছর পর জীবনের প্রথম প্রেম আবার ঝড় তুলল মৈত্রেয়ীর জীবনে “মির্চা, মির্চা আই হ্যাভ টোল্ড মাই মাদার দ্যাট ইউ হ্যাভ কিসড মাই ফোরহেড'”

নহন্যতে উপন্যাসে মৈত্রেয়ী দেবীর এই উক্তি টি অবশ্যই পাঠকদের মনে আছে? মির্চা এলিয়াদ আর মৈত্রেয়ী দেবীর প্রেম কি শুধুই প্রেম ছিল নাকি সেই সাথে কিছু