এখন সময়:রাত ১১:০৫- আজ: রবিবার-৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

এখন সময়:রাত ১১:০৫- আজ: রবিবার
৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

শেখ তামিমের দেশ কাতারে

মিনহাজুল ইসলাম মাসুম

উমরাহ সফর শেষে কাতার এবং আরব আমিরাত সফরের পরিকল্পনা নিয়ে আসি। সৌদিয়ার কার্যক্রম মোটামুটিভাবে শেষ। রিয়াদ থেকে ফ্লাই নাসের ফ্লাইটে করে দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে অবতরণ করি। এর পূর্বে দাম্মাম থেকে ডমেস্টিক এয়ারে রিয়াদ আসি। অপেক্ষা করি ৭/৮ ঘণ্টার মতো। আগেই বলে রেখেছিলাম আমার কাতার আসার কথা অগ্রজপ্রতিম ইউসুফ আহমদ ভাইকে। কাতারের ওল্ড গনিমে থাকেন অনেক বছর ধরে। ব্যবসায়ী মানুষ। অনেক ব্যস্ততাকে ডিঙিয়ে এসেছেন। তিনি আমাকে রিসিভ করার জন্য যথাসময়ে হাজির এয়ারপোর্টে! কিন্তু আমার বের হতে একটু দেরি হয়। তবুও তিনি ধৈর্য সহকারে অপেক্ষা করেছিলেন। বের হলে তিনি বিরক্তিহীনভাবে এবং স্মিতহাস্যে স্বাগত জানান। বিস্তারিত বলার আগে কাতার কেমন দেশ একটুখানি আলোকপাত করা যাক।

দৌলত কাতারের বিস্ময়কর উত্থান:

বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ কাতার। পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত ছোট্ট দেশ। রাষ্ট্রীয় নাম দৌলত কাতার। আয়তন সাড়ে ১১ হাজার বর্গমাইলের মতো। জনসংখ্যা ৩০ লাখ প্রায়। রাজধানী দোহায় বেশির ভাগ লোক বাস করে। কাতার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এবং এর রাষ্ট্রীয়ধর্ম ইসলাম। দেশটির দক্ষিণে সৌদি আরব এবং এর পশ্চিমে দ্বীপরাষ্ট্র বাহরাইন অবস্থিত।

দেশটিতে বিপুল পরিমাণ খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ রয়েছে। এই প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে দেশটির অর্থনীতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ঊনিশ শতকের শেষভাগ থেকে আল-থানি গোত্রের লোকেরা কাতার অঞ্চলকে একটি আমিরাত হিসেবে শাসন করে আসছে। ১৯৭১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশদের থেকে কাতার স্বাধীনতা লাভ করে। বিশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্তও এটি একটি তুলনামূলকভাবে দরিদ্র দেশ ছিল। ঐ সময় দেশটিতে পেট্রোলিয়ামের খনি আবিষ্কৃত হয় এবং এর উত্তোলন শুরু হয়। বর্তমানে মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে কাতার বিশ্বের ধনী দেশগুলির একটি। ২০২২ সালে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত বিশ্বকাপ ফুটবল সফলভাবে আয়োজন করে অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়। এ বিস্ময়কর উত্থানের পেছনে আল থানি পরিবারের যোগ্য নেতৃত্ব প্রধানত ভূমিকা রেখেছে!

 

ক্লান্তিকে পাশ কেটে ঘুরতে বের হলাম:

দোহার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য যেন আমাকে ডাকছে! বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার সময় কাতারে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। অফিশিয়াল ব্যস্ততার কারণে যেতে পারিনি। ইউসুফ ভাইয়ের পরিকল্পনায় প্রথম দিন রাত ৯টার দিকে দোহা সিটি সেন্টার এবং লুসাইল সিটি ঘুরতে বের হলাম। একে একে বিভিন্ন স্থান, স্থাপনা, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বর্ণনা করে চলেছেন তিনি। আজিম ভাই ড্রাইভ করছেন। ইউসুফ ভাইয়ের শ্যালক। পথঘাট তার নখদর্পণে।

লুসাইল সিটিতে মুন টাওয়ার্স অবস্থিত। বাঙালিদের দেয়া নাম মুন টাওয়ার। প্রকৃত নাম কাতারা টাওয়ার্স। এটি একটি অনন্য স্থাপনা, যাতে শপিং মলসহ ৭ তারকামানের বিলাসবহুল হোটেল আছে। টাওয়ার্সের কাছে যাই আমরা তিনজন। অনেকক্ষণ সময় ধরে কাটাই। ছবি তুলি এবং দূর আকাশের লালিমার পানে তাকিয়ে রই। সামনে পারস্য উপসাগরের অথৈ স্বচ্ছ পানি। টলমল করছে। হাতে নিয়ে মুখে দিন, প্রচ- লবণাক্ত এ পানি! মাঝে মাঝে আজিম ভাইয়ের কল আসায় কিছুটা ছেদ ঘটছে বেড়ানোর। টেনশনে আছেন তিনি। মাস খানেক পূর্বে দেশে তার কেনা অস্ট্রেলিয়ান গাভির বাচ্চাটা মারা গেছে। গাভিটাও অসুস্থ। ফলে তিনি চিন্তায় অস্থির সময় পার করছেন!

অনতিদূরে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম (খঁংধরষ ওপড়হরপ ঝঃধফরঁস) অবস্থিত। এ স্টেডিয়াম ক্রীড়ামোদীদের সবার চেনাজানা। সেখানে বিশ্বকাপ-২২ এর ফাইনালসহ অনেকগুলো খেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেসি এমবাপ্পের যাদুকরী ফুটবল শৈলী উপভোগ করেছিলো বিশ্ববাসী। আমরা স্টেডিয়ামের পাশে গিয়ে স্মৃতির ফ্রেমে বন্দি হই। এভাবে প্রথম দিনে অনেককিছু দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন হয়। ইউসুফ ভাইয়ের মতে আমি নাকি সৌভাগ্যবান। স্বল্প সময়ে অনেককিছু দেখার সুযোগ পেয়েছি!

 

পরের দিন দোহা স্পোর্টস সিটিতে গমনের জন্য দুপুরের পরপরই রেডি হই। আজিম তালত আসতে দেরি হলে ইউসুফ ভাই তাকে ফোন দেয়। তার মনটা ভালো নেই অসুস্থ গাভিটার জন্য। আজিম ভাই এলে আমরা বের হই। আজ সে ড্রাইভ করছে না, ইউসুফ ভাই করছেন। স্পোর্টস সিটিতে আল খলিফা স্টেডিয়াম তৈরির কারুকার্য দেখে অভিভূত! বিশ্বকাপ-২৩ হয়ে যাওয়া ৮টি স্টেডিয়াম এক কথায় অসাধারণ! আল খলিফা স্টেডিয়ামের পাশে রয়েছে আরেক বিখ্যাত টাওয়ার। নাম টর্চ টাওয়ার। এটি আল খলিফা টাওয়ার নামেও পরিচিত। এ টাওয়ারটি গঠনশৈলী ও নান্দনিকতা অপূর্ব! স্পোর্টস সিটিতে সব ধরনের খেলার মাঠ রয়েছে। ইনডোর-আউটডোর সব। দেখতে দেখতে মাগরিবের সময় হয়ে এলো। অজু করে পাশে এসিওয়ালা মসজিদ ‘হিলাল বিন জিহাম আল কুয়ারি মসজিদে’ সালাত আদায় করলাম।

কাতার মিউজিয়াম ও মেট্রোরেলে চড়ার অপূর্ব অভিজ্ঞতা:

আগের দিনের পরিকল্পনা মোতাবেক দুপুরের আগেই লাঞ্চ সেরে ফেলি। আজ কাতারের দুটি মিউজিয়ামের যেকোনো একটিতে যাব। এরকম ভাবনা ছিলো। ওল্ড গনিমের ন্যাশনাল মিউজিয়ামে হেঁটে হেঁটে চলে যাই আমরা। গাড়ি নেয়া হয়নি আজকে। মেট্রোরেলেও ঘুরাঘুরি হবে তাই। মিউজিয়ামের বাইরের সৌন্দর্য অবলোকন করেই আপাতত কাজ সারি। হয়তো কোনো কারণে ভেতরে যাওয়ার কোনো তাগিদ অনুভব হয়নি ইউসুফ ভাইয়ের। আমার মনে প্রচ- আকুলতা ছিল। কিন্তু প্রকাশ করিনি। বাইরে ওয়েস্টার্নের কিছু দর্শনার্থী দেখা যাচ্ছে। ছবি তোলা ও পাশে সী বিচ দেখে সফরে স্বাদ গ্রহণ করি।

কাতার ন্যাশনাল মিউজিয়ামের পাশে মেট্রোরেলের স্টেশন। আমরা এস্কেলেটর দিয়ে ভূগর্ভস্থ স্টেশনে নেমে যাই। এ আরেক অভাবনীয় সৌন্দর্যময় জগৎ! টিকিট কাটেন ইউসুফ ভাই। রেলে উঠি আমরা! আমাদের গন্তব্য হলো কাতার মল। চলছে ট্রেন, হঠাৎ টিটির দেখা! তিনি আন্তরিকতা নিয়ে সবার টিকিট চেক করলেন। আমরা ভুল করে ভিআইপি বগিতে ছিলাম। টিটি সংশোধন করে দিলেন। মুশাইরেব স্টেশনে নেমে আরেকটা বগিতে উঠি। প্রায় ৩০ মিনিট চলার পর সোজা কাতার মলে এসে হাজির মেট্টোরেলটি। এ মলটি আরেক বিস্ময়কর ভাবে তৈরি করা হয়েছে! আমরা ঘুরে ফিরে মল দেখতে লাগলাম।

রাত আটটার দিকে হঠাৎ অনুজপ্রতীম ইরফানের ফোন। আমরা তখন মেট্টোরেল ভ্রমণ শেষে ফিরে আসছিলাম। ইরফানকে বললাম ‘গ্রান্ড লিগ্যাল হোটেল’- এ অপেক্ষা করতে। আমরা ন্যাশনাল মিউজিয়ামের স্টেশনে চলে আসলে মেট্টোরেল থেকে বের হয়ে হাঁটতে থাকি।

 

সওক ওয়াকিফ ঐতিহ্যধারক অনন্য বিপণী:

দোহায় যেখানে গিয়েছি প্রায় হোটেলে সিসার শপ রয়েছে। আমরা আঞ্চলিক ভাষায় যাকে হুক্কা বলি। ইউসুফ ভাইয়ের চমৎকার একটা সিসার শপ রয়েছে গ্রান্ড রিগাল হোটেলে। ‘লুলু ডেজ ক্যাফে’ শপের নাম। একদম প্রাইম লোকেশানে রয়েছে ক্যাফেটি। উনার বড় ছেলে জালাল উদ্দিন ও পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবসা দেখে থাকে। ইরফানের সাথে আসিফ ও ফরহাদ নামে আরও দুজন বন্ধু অপেক্ষায় ছিল ক্যাফেতে। আমাকে নিয়ে বেড়াতে চায় তারা। যেহেতু আগামীকাল ৬টায় আমার কাতার যাপনের শেষ দিন। এলাকার বড় ভাই হওয়ায় আমাকে সময় দিতে তারা ব্যাকুল! আমি প্রথমে রাজি ছিলাম না। পরে কেন যেন রাজি হয়ে রিসেপশন থেকে বেরিয়ে এলাম।

হালকা নাস্তা করছি একটি রেস্টুরেন্টে। এমন সময় আমার মোবাইল বেজে উঠলো। এটেন্ড করে কথা বলছি একটু জোরে শব্দ করে। পাশের টেবিলে বসা কাতারি লোকটি বিরক্ত প্রকাশ করলেন। জোরে কথা বলা, হৈ চৈ এবং উচ্চৈ:স্বরে কথা বলা পছন্দ করে না আরবরা! মাইকের আওয়াজ, গাড়ির হর্ন ও কোথাও কোনো হৈ চৈ হাঙ্গামা নেই। শব্দদূষণ ও পরিবেশদূষণ মুক্ত সর্বত্র।

ইরফান বলল, ভাইয়া একটু আস্তে কথা বলুন। বলে আমাকে ইশারায় লোকটিকে দেখিয়ে দিলেন। তাবুক এয়ারপোর্টেও এ ধরনের সিসুয়েশনে পড়েছিলাম! ওজন একটু বেশি হওয়ার কারণে! অফিসার মুখে আঙুল দেখিয়ে রীতিমত শাসিয়ে দিয়েছিলো আমাকে!

ইরফান বলল, ‘ভাইয়া আমরা হেঁটে হেঁটে দোহায় ঘুরে বেড়াবো।’ আমিও সায় দিলাম। যেতে যেতে আমরা ‘আল শেখ আবদুল্লাহ বিন আল মাহমুদ ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে’ আসি। রাত হওয়ায় কালচারাল সেন্টার বন্ধ ছিলো। সেখান থেকে ইরানি মার্কেট খ্যাত সওক ওয়াকিফে (ঝড়ঁশ ধিয়রভ) আসি। আরবিতে মার্কেটকে সওক বলে। আশ্চর্যজনক এ মার্কেটটি! সমস্ত দোহার মানুষগুলো যেন এ মার্কেটে জড়ো হয়েছে। আমরা একটা শপে হালকা নাস্তা করি। পথ চলতে চলতে আর্ট কালচারের বিশাল এক ভবনে যাই। সেখানে কাতারের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা পেইন্টিং শোভা পাচ্ছে। আসিফ বলল, আসুন এবার আমরা ডাউনটাউন নামের আরেকটা সাজানো গোছানো সিটিতে যাই।’ ওকে, না বলে উপায় নেই! দূর থেকে ট্রাম দেখা যাচ্ছে। চড়তে আগ্রহী সবাই। ট্রাম আসলে সেখানে উঠি। ডাউনটাউনে এক রাউন্ড দিয়ে নেমে গেলাম সবাই।

 

 

সাগরের বুকে রাতনিশিতে:

কাতারে তিনদিকেই আরব সাগর। অন্যদিকে সৌদি আরব। আমরা হাঁটার মধ্যে আছি। এক পর্যায়ে  কাতারের সংসদ ভবন এলাকায় আসি। সেখান থেকে সাগর দেখা যাচ্ছে। সাগরের চারদিকে স্পিড বোট, জাহাজ, সারি সারি বাঁধা। কিছু কিছু চলমান ছিলো। যাত্রী উঠানামা করছে। আমরা চালকের সাথে কন্টাক্ট করে স্পিড বোটে উঠি। বোটটি মাঝদরিয়া চলে আসে। সেখান থেকে সিটি সেন্টারের সুউচ্চ ভবনগুলো আকাশের বুকে যেন রঙ বিলি করছে।

বিশ্বখ্যাত সংবাদমাধ্যম ‘আল জাজিরা চ্যানেল’ কাতারে অবস্থিত। এই চ্যানেলের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পাশ্চাত্যের মাথা খারাপ করে দিয়েছে। মিডিয়ার ক্ষমতা দেখেছি গত কয়েক বছর পূর্বে ৪টি আরব দেশের কাতারকে বয়কটের সময়। বিবিসি ও সিএনএনের পক্ষপাতদুষ্ট নিউজগুলো মুসলিমের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে প্রতিনিয়ত। আল জাজিরা সম্প্রচারে আসার পর থেকে তাদের একতরফা সংবাদ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ছোট্ট দেশটি সৌদি আরবের মতো আঞ্চলিক পরাশক্তিকেও বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়েছিল। তুরস্ক এবং ইরান কাতারের সাহায্যে এগিয়ে আসায় অবশেষে প্রকারান্তরে আরবদেশগুলো নতি স্বীকার করে। আল জাজিরা চ্যানেলের কথা আমার মনে ছিলো না তখন। থাকলে অন্ততঃ আশেপাশে হলেও ঘুরে আসা যেত। মিস করেছি বিখ্যাত শায়খ ইউসুফ আল কারযাভী (রহ.)-এর কবর জিয়ারাহ করা থেকেও। জন্মভূমি মিশরের শাসকদের চরম চক্ষুশূল ছিলেন তিনি। কাতারে হিজরত করে মুসলিম উম্মাহর পথপ্রদর্শক হিসেবে খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন।

 

বিদায় দোহা:

কাতারের শেষদিনে আমাদের এলাকার ছেলে বোয়ালখালীর মোকতার হোসেন বাঁশি, আহল্লার জসিম উদ্দিন,  পটিয়ার কিবরিয়া ও শুভর সাথে দেখা হলো। দুপুরবেলা লাঞ্চের সময় হলো। সানাইয়া থেকে মোকতার আসলো কোম্পানির গাড়ি নিয়ে। না খাইয়ে ছাড়েনি সে। তাদের সবার কাছ একে একে বিদায় নিলাম। আরও অনেক স্বজন-পরিজনকে দেখতে পাইনি। হয়তো অন্যকোনো সময় আবার দেখা হবে। ইউসুফ ভাই ও আজিম ভাই রাজধানী দোহার ‘হামাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে’ পৌঁছে দিলেন। ইতিহাদ এয়ারলাইন্স। গন্তব্য এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি। তারা আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন এই ৩/৪ দিন। ব্যবসায় সময় না দিয়ে আমাকে দিয়েছেন। তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা নিরন্তর। কাতারে এ কয়েকদিনের স্মৃতিগুলো মন থেকে কখনো মোছা যাবে না। বিদায় জানালাম গর্বে উঁচু করে দাঁড়ানো দৌলত কাতারের রাজধানী দোহাকে।

 

মিনহাজুল ইসলাম মাসুম, কলামিস্ট ও সম্পাদক, ইদানীং লিটলম্যাগ

আবির প্রকাশন

আপনি দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন- ঘরে বসেই গ্রন্থ প্রকাশ করতে পারেন অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে আবির প্রকাশন থেকে। আমরা বিগত আড়াই দশকে বিভিন্ন

গণতন্ত্রহীন রাজনীতির অনিবার্য পরিণতি

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বাঙালি চিরকালই বিদ্রোহী। ইতিহাসের কোনো পর্বে সে কোনো পরাধীনতাকে বেশি দিন মেনে নেয়নি। উপমহাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্র দিল্লি থেকে দূরে হওয়ায় এবং সাড়ে

বিপ্লব যাতে বেহাত না হয় ( সম্পাদকীয় – আগস্ট ২০২৪)

জুলাই মাসের কোটাবিরোধী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত আগস্টের ৬ তারিখে ১৫ বছর সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়েছে। অভূতপূর্ব এই গণঅভ্যুত্থান ইতোপূর্বে ঘটিত গণ অভ্যুত্থানগুলোকে ছাড়িয়ে