এখন সময়:রাত ৩:৫৮- আজ: বৃহস্পতিবার-২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল

এখন সময়:রাত ৩:৫৮- আজ: বৃহস্পতিবার
২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল

সংশোধনের অতীত, বহুমাত্রিক কামনার বৃত্তে হাবুডুবু খাওয়া একজন ফরহাদ মজহার

নজরুল ইশতিয়াক

ফরহাদ মজহারের জন্য কষ্ট লাগে। সারাজীবন গাধার মত খেটেও কোন ওয়াসিল নাই। এত্তো এত্তো জানেন, অথচ মানবজনমের সত্য জানেন না। এত্তো এত্তো পাণ্ডিত্য অথচ নিজ জীবনের অমাবশ্যায় পূর্ণিমার উদয় হয়না।” নিজে কানা পথ চেনে না পরকে ডাকে বারেবার এসব দেখি কানার হাটবাজার-/ গেল গেল ধন মাল সব/ খাজনার দায় যায় লাটে-সাঁইজী”।

 

ফরহাদ মজহার একজন বুদ্ধিবৃত্তিক বেশ্যা। যার নিজ জীবন-অস্তিত্বে, দেশ- সংস্কৃতি – মানুষের প্রতি ভালোবাসা নেই। জীবন- জগতের আন্তঃসম্পর্কে পরিস্কার কোন ধারণা নাই। নেই মানব জনমের এই বর্তমান নিয়ে উপলব্ধি।

 

ঐক্য, বন্ধুত্ব, পারস্পরিক সহানুভূতিশীল সমাজ সৃষ্টির কোন তাগিদ নেই তার লেখায়-বলায়।

 

বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষরার দেশে, এই বিপন্ন বসন্তের দেশে তিনি বসন্তের কোকিল বনে গেছেন। ধর্মভীরু সাধারণ সুন্দর মানুষের দেশে তিনি চতুরতার আশ্রয় নিয়ে বিরাট মজমাদার বনে গেছেন। সরলপ্রাণ মানুষদেরকে বহুমাত্রিক প্রতারণায় বেঁধে ছিনিমিনি খেলছেন। গায়ে মানে না আপনি মোড়ল। সংশোধনের অতীত তিনি। রুচিহীন, প্রতারকও বটে।

ফরহাদ মজহার সাঁইজী লালন ফকিরকে আর্দশিক ভক্তি- ভালোবাসার মহান পুরুষ মনে করেন। অথচ লালন ফকির সম্বন্ধে তার ন্যুনতম উপলব্ধি নেই। লালন ফকির কেমন দেশ,কেমন মানুষ, কেমন ধর্ম-চিন্তার কথা বলে গেছেন তা ফরহাদ মজহার ধরতে পারেননি। “মানুষতত্ত্ব যার সত্য হয় মনে / সে কি অন্য তত্ত্ব মানে কিংবা নদীয়ায় এলো নতুন আইন কিংবা বিনা কার্যে ধন উপার্জন কে করিতে পারে/ বাংলা কিতাব কতজন পড়ে/ কোন কূলেতে যাবি মনরায়” লালন ফকির এর পদগুলো থেকে নেয়া এসব কালামের ভেদ কবি ফরহাদ মজহার জানেন না।

আত্মতত্ত্বেই মুক্তির পথ সাঁইজী লালন ফকির এর এই ভেদের কথা না বুঝে গোলমাল পাকিয়ে গেলেন আজীবন। সাঁইজী লালন ফকির এর নামাজ, হজ্ব, যাকাত দর্শনের ভেদ ফরহাদ মজহার ধরতে পারেননি। পারলে এমন প্রতারণাপূর্ণ জীবন বেছে নিতেন না।

“এক চাঁদেতে জগত আলো / এক বীজে সব জন্ম হলো”- এই কথার ভেদ কোন দিন উন্মোচন করতে পারেননি।

 

লালন ফকির এর প্রেম, কূপমন্ডুকতা মুক্ত,  মানবিক সমাজের ধারণা তিনি জানেন না। দেহ নিরীক্ষা,দেহ পাঠের হিসাব নিকাশ আদৌও যে জানেন না সেটা ফরহাদ মজহার সাহেবের আচরণে স্পষ্ট। অথচ লালনপ্রেমী হিসাবে ভেক ধরেছেন।

 

ফরহাদ মজহার নদীয়ার ধর্ম চৈতন্যের কথা বলেন, শ্রী চৈতন্যের দেখানো পথের কথা বলেন। অথচ ফরহাদ মজহারের নিজ কর্মকাণ্ডে ন্যূনতম প্রভাব নেই চৈতন্যের।

নদীয়ার ভাব ভালোবাসা তিনি জানেন না। শুধু মনগড়া কিছু কথার মারপ্যাচে নিজেকে প্রকাশ করেন। পাণ্ডিত্য আর সাধনা এক নয়। লক্ষ যোজন দূরত্ব।

 

এসব জানলে এমন নিরস, ছলাকলার বাজারে মাততেন না।” চটকের বাজারে সওদা করতেন না। এই কামনার, লোভ, আসক্তির সাগরে ডুবে যেতেন না। তার উচিত ছিল কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ার কোন একজন সাধকের সান্নিধ্য নেয়া। গুরু সেবা করে করণ শেখা। অথচ তিনি সুন্দরের পথ ছেড়ে বাটপারীর দোকান খুললেন।

ইদানীং লক্ষী,স্বরসতীর বাহনে ফরহাদ মজহাকে দেখেছি। হাস্যকর নির্লজ্জ।

 

ভারতীয় হিন্দুত্ববাদ, ভারতের মুসলিম শাসন নিয়ে তার করা আলোচনাগুলো চরম প্রতিহিংসাপরায়ণ,একপেশে, উদ্দেশ্য প্রনোদিত। এগুলোর ঐতিহাসিক সত্য তার উপলব্ধিতে আসেনা বলে মনগড়া কথা বলেন। যা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে নাজুক করে।

 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ৪৭ এর দেশ ভাগ নিয়েও তার দৃষ্টি ভঙ্গি খুবই নিম্ন মানের, হাস্যকর।

তিনি ৪৭ কে মানেন গুরুত্ব দেন ভূমির অধিকার প্রশ্নে,অথচ ৭১ কে তুচ্ছতাচ্ছিল্য অবহেলা করেন। জয়বাংলা তার কাছে কোন গুরুত্ব বহন করে না। অথচ তিনি সমস্ত আধিপত্যের বিরুদ্ধে কথা বলেন।

তিনি বাঙালি জাতি বিনাশী ভয়ংকর সব তত্ত্ব বলেন ধর্মের মোড়কে। অথচ তার প্রিয় মহান সাধক লালন ফকির এঁর চেতনার সাথে সেটা সাংঘর্ষিক। লালন ফকির এঁর একটি পদ এঁর সঠিক ব্যাখ্যা তিনি জানেন না। আর তার নিজ জীবনে লালন ফকির এঁর চেতনার নুন্যতম প্রতিফলন নেই। থাকলে বিভেদ-বিভাজন, অনৈক্যকে উস্কানী দিতেন না।

 

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কিংবা তৎকালীন আরবের জটিল সমাজ নিয়েও তার দৃষ্টিভঙ্গি হালকা। আদম- হাওয়া,খলিফা, পরকাল সম্বন্ধে ফরহাদ মজহারের পরিস্কার কোন ধারণা নেই। তিনি জানেনই না আদম কে,কাকে বলে।

 

ফরহাদ মজহার গ্রিক ফিলোসোপারদেরকে বাংলার বাউল সূফী সাধকদের সাথে তুলনা করেছেন। বলতে চেয়েছেন এদেরকে আমরা বাংলার সূফীদের সাথে তুলনা করতে পারি। কি হাস্যকর তার চিন্তা ভাবনা। অথচ এসব ক্ষেত্রে তুলনার সুযোগ নেই, প্রয়োজন পড়ে না।

ফরহাদ মজহার কখনো হেফাজত,কখনো জামাত, কখনো লালন ফকির,কখনো লক্ষী,কখনো সমাজতন্ত্রী। বহু পরিচয়ে বিভ্রান্ত একজন বুদ্ধিবৃত্তিক বেশ্যা।

লালন ফকির,চৈতন্যদেব সহ সব সাধু মহত ঐক্যের কথা বলেছেন। সহনশীলতা, প্রেম, ভালোবাসার কথা বলেছেন। অথচ ফরহাদ মজহার অনৈক্য, ধ্বংস, নৈরাজ্যের জন্য উসকানী দেন। বহুমাত্রিক কামনার জলে হাবুডুবু খাচ্ছেন।

সাধু মহতেরা নিজেকে ক্ষুদ্র, নত,বিনয়ী, কম জানা মানুষ হিসাবে প্রকাশ করে থাকেন। ফরহাদ মজহার নিজেকে পণ্ডিত,সবজান্তা হিসাবে জাহির করেন।

বাংলাদেশের সাধন পদ্ধতি নিয়ে তিনি বেখবর। অথচ ফরহাদ মজহার সূফী,পীর,ফকির, বাউল, বৈঞ্চব নিয়ে কত কথায় না বলেন!!! নিজ জীবন সৌন্দর্যের সন্ধান পাননি বলে এমন নির্মম নিষ্ঠুরতার পথ বেছে নিয়েছেন।

তিনি কতটা বিভ্রান্ত হলে নিজের বিচার নিজে করার ন্যুনতম সক্ষমতাও দেখাতে পারেন না। তার সাদা টুপি,সাদা আল্লখেল্লার মাজেজা তিনি জানেন না। টুপির নিচে, সাদা বসনমুক্ত ফরহাদ মজহার একজন বিকৃত, রুচিহীন লোক। যার জীবনে বসন্ত নেই, ভালোবাসা নেই। ফলে তিনি ভয়ংকর জঙ্গি মানসিকতার এক উন্মাদ। দেশ নিয়ে খেলছেন ভয়ংকর খেলা। অথচ এর পরিনতি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নন।

 

নজরুল ইশতিয়াক, প্রাবন্ধিক, ঢাকা

কাজী নজরুল ইসলাম : বাংলা সাহিত্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রাণপুরুষ

আ.ম.ম. মামুন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামই প্রথম মৌলিক কবি। রবীন্দ্র অনুবর্তী একগুচ্ছ কবির একজন তিনি নন। তিনি অন্যরকম স্বতন্ত্র। শিল্প সাধনায়,

আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথ 

প্রবীর বিকাশ সরকার ১৯২৯ সালে বহির্বিশ্বে অবস্থানকালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনে ঘটেছে যুগপৎ দুঃখজনক এবং আনন্দদায়ক কিছু ঘটনা। যা নিয়ে বাংলায় সামান্যই আলোচনা হয়েছে, অথবা

হিংস্র ও বুনো অপশক্তির বিনাশ চাই

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় গ্রীষ্মকালটা বড়ই অসহনীয় ও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে এই ঋতুটির তেজ আগে কখনও এত তীব্র ছিলো না। ইতোমধ্যেই