এখন সময়:বিকাল ৫:৫৪- আজ: সোমবার-২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল

এখন সময়:বিকাল ৫:৫৪- আজ: সোমবার
২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল

সেকাল ও একালের চট্টগ্রাম

মুহাম্মদ ইদ্রিস আলি

 

নদী—পাহাড়—সাগর, অবারিত মাঠ, সবুজ— সোনালি ফসলের ক্ষেত, বৃক্ষরাজি আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রাকৃতিক ভান্ডার—শ্বাশত বাঙালিয়ানার অফুরন্ত উৎস।

সকালের সোনা মাখা হলুদ নরম রোদ, শিশিরের মুক্তো মায়াবি স্নিগ্ধতা, কুয়াশার কাশ মোড়ানো মায়ায় জড়ানো কুহেলিকা, বৃষ্টির ঝংকার, পরদেশি ছেড়া মেঘের উদাসি নিরুদ্দেশে যাত্রা। অথবা বন্য ফুলের  প্রাকৃতিক সুগন্ধ, সুগন্ধের প্রাকৃতিকতা, ভোমরার ফুলে ফুলে মধু আহরণ, পতঙ্গের কুঞ্জন, পাখির গান, নদীর কলকাকলি, উদাসী মৃদুমন্দ বাতাসের সোহাগি পরশÑ ঘন সবুজের আচ্ছাদন। একাদশীর জ্যোৎস্না ঝরা রাত আমাদের অনুভূতি আর অস্থিত্বকে সংবেদনশীল, সহমমীর্ আর অনিবার্য  করে তুলে। এভাবেই আমরা সমৃদ্ধ হয়েছি। আমাদের সংস্কৃতি, সামাজিকতা, সভ্যতা হয়েছে সমৃদ্ধ। জীবনধমীর্ হয়েছে আমাদের প্রতিবেশ—পরিবেশ।  জীবনাশ্রিত হয়েছে আমাদের পারিপার্শ্বিকতা, বোধ ও মনন।

হাজার বছরের বাঙালি—ঐতিহ্যের পথ পরিক্রমা এ ভাবেই। বাঙালিয়ানার সমৃদ্ধি এ রকমেই। মাঝির ভাটিয়ালি, রাখালের রাখালি, গৃহিনীর পৌষালি, ঋতুবৈচিত্র্যের পাঁচমিশালি  আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধি দিয়েছে বহুকাল ধরে। পৌষ—পার্বণের পিঠা, বৈসাবি, হেমন্তের নবান্ন— এমনি বার মাসে তের পার্বণ আমাদের চিত্ত ও চেতনাকে সজীব রেখেছে। রেখেছে বিত্ত ও বৈভবকে জাগ্রত। আমাদের সামাজিকতা, লৌকিকতা, আতিথেয়তা আমাদের অহংকার, আমাদের অলংকার।

সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। পৃথিবী এগোচেছ। সময়ের সাথে আমরাও এগোচ্ছি। দ্রুত এগোচ্ছি। পরিবর্তন আমাদের নতুনের সন্ধান দিচ্ছে। আমরা পরিবর্তিত হচ্ছি। পৃথিবীর দেশে দেশে, অঞ্চলে অঞ্চলে কালাশ্রিত পরিবর্তন আমাদের অন্তর ও বাইরে পরিবর্তিত করছে। পরিবর্তনকে আমরা শর্তহীনভাবে গ্রহণ করেছি। পরিবর্তন হচ্ছে সংস্কৃতিতে, ঐতিহ্যে, অহংকারে, চেতনায়। পরিবর্তন হচ্ছে শিকড় থেকে শিখরে। পরিবেশ ও প্রতিবেশে, ব্যক্তি ও সমাজে পরিবর্তন হচ্ছে। সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে পরিবর্তন হচ্ছে। লোকাচার ও লৌকিকতায় পরিবর্তন হচ্ছে। সেকাল ও একালে পরিবর্তন হচেছ।

ষাটের দশকে আমাদের এ ভূখণ্ডে জনসংখ্যা ছিল সাত কোটি। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জনসংখ্যা ছিল  তিন লাখ। নদীমাতৃক বাংলাদেশে সে সময় নদী ছিল হাজারটি। নৌকা ছিল, মাঝি ছিল, ভাটিয়ালি ছিল। পুবালি বাতাস ছিল। বাতাসে ছন্দ ছিল, গন্ধ ছিল। মানুষের অন্তরে অগাধ—অবাধ প্রেম ছিল। সে সময় শুকনো মৌসুমে সারা দেশে জল পথের দৈর্ঘ্য ছিল পঁচিশ হাজার কিলোমিটার। হাওড়—বাওড়, বিল—ঝিল, পুকুর—দীঘির জীব—বাস্তুতান্ত্রিকতার জীবনচঞ্চল নান্দনিকতা জীবনকে ছুঁয়ে যেত নির্মলভাবে।  জীবনের কাছে জীবন ছিল সবচেয়ে নিরাপদ।

দেশে সবুজ পাহাড় ছিল। চট্টগ্র্রামের উঁচু পাহাড়ের উদারতা এ অঞ্চলের মানুষের মন ও মননকে উদার রাখত সব সময়। মাছে—ভাতে বাঙালির ঐতিহ্য ছিল আকাশ ছোঁয়া। সবুজ উদার ফসলের মাঠ, খাল—বিল, হাওড়ের সাথে নিবেদিত মানুষ ছিল প্রকৃতি আশ্রিত, প্রাকৃতিক। কোনো বৈরিতা ছিল না মানুষের সাথে প্রকৃতির। প্রকৃতির পরশে মানুষ ছিল প্রাকৃতিক। প্রকৃতি ছিল জীবন্ত, মানুষ ছিল প্রাণবন্ত। এ জনপদ ছিল ঈর্ষণীয় পারিবারিক, সামাজিক আতিথেয়তার চারণ ,লালন, ধারণক্ষেত্র। তখনও বর্ষা আসত রিমঝিমিয়ে Ñ ক্ষেতে, খামারে, ফসলের উদার মাঠে। প্রাণের স্পন্দন নিয়ে, জীবনকে স্পর্শ করে। হেমন্তের শিশির ভেজা ঘাসে সারা রাতের স্বপ্নগুলো ভাসতো। শীতের হিমেল পরশ, খেজুরের মিষ্টি মধুর রস অশান্ত জীবনকে শান্ত করে দিত। হেমন্তের উৎসব—আচার, পৌষের পিঠা—পার্বণ, শীতপিঠার মনমোহিনী চিরায়ত আকর্ষণ বাঙালির অন্দর ও অন্তরকে সর্বজনীন করে দিত। সাম্পান মাঝির গানের বাণে কুলবধূর ব্যাকুলতা আর অস্থিরতা, দিনরাত কল্পনায় অবগাহন করা, ভাবনায় আচ্ছন্ন থাকা ছিল আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অমূল্য সম্পদ।

এখনও হেমন্ত আসে এই জনপদে। সংকুচিত ধানক্ষেতে, দূষিত বাতাসের ব্যথিত আকাশে কার্বনের বিষ মাখা সাদা মেঘ উড়ে যায়, উড়ে আসে  অম্ল বৃষ্টির মৃত্যুবার্তা নিয়ে। ঢেঁকিতে তৈরি চালের আটার পিঠা এখন গ্রামে—গঞ্জে আর দেখা যায় না। পিঠা আছে, ঢেঁকি ও নারীর পরশ নেই। শীতের কুয়াশা এখন ধেঁায়াশা হয়েছে। কৃষকের সম্ভার শাক—সবজি এখন রাসায়নিকের দূষণে দুষ্ট। সার ও কীটনাশকের অবাধ, অনিয়ন্ত্রিত প্রয়োগ ভূমির ওপর, ফসলের উপর স্বাস্থ্যহানির বিষ মিশাচ্ছে। প্রতিমুহূর্তে মানুষকে জীবনের ঝঁুকি নিয়ে জীবনাচার করতে হচ্ছে। কীটনাশকের বিষে নদী, খাল—বিল, জলাশয়ে মিশ্র ও মিঠা পানির অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়েছে। এভাবে মাছ,পতঙ্গ,ব্যাঙ, পাখি— শূন্য হয়ে যাচ্ছে মুক্ত জলাশয়,খাল—বিল, নদী—নালা। নদীপথ সংকুচিত হয়ে ভরা বর্ষায় এসে ঠেকেছে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটারে। ছোট—বড় মিলে দেশে তিন শতের বেশি নদী নেই। তাও আবার সবগুলো সুস্থ নয়। নদী—নালা, খাল, জলাশয় বহুমাত্রিক জাতীয় এবং বিজাতীয় আগ্রাসনের শিকার। এসব কারনে বন্ধা হয়ে যাচ্ছে জীব—বাস্তুতান্ত্রিকতা। বিভিন্ন প্রকার দূষণ মানুষের চিন্তা ও চেতনাকে এমন পযার্য়ে নিয়ে গেছে যে, তা সহজেই আক্রান্ত করছে আমাদের দেহ ও মননকে। আমরা সাংস্কৃতিকভাবে দীন হয়ে যাচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস আক্রান্ত হচ্ছে। মরে যাচেছ পরিবার ও সমাজ থেকে। ভঙ্গুর বিশ্বাসের দেয়াল গুঁড়িয়ে আকাশ সংস্কৃতি, বাতাস সংস্কৃতি, ইথার বা ভিনদেশি সংস্কৃতি আমাদের সহজেই আক্রান্ত করছে। আমরা স্বকীয় সংস্কৃতিহীন, শিকড়হীনতার দিকে ধাবিত হচ্ছি।

এমনি পথ ধরে চাষের মাটি গেছে। কৃষাণির ঢেঁকি গেছে। সাম্পান মাঝির  পেশা গেছে। বদলে গেছে তার মন। নদীর বুকে পাল তোলা নৌকা নেই। ভাটিয়ালি গান নেই, পল্লীবধূর অভিমানের অপেক্ষা নেই। রাত জেগে দূর বাসী, পরবাসী স্বজনের কাছে চিঠি লেখার তাড়না নেই। ভালোবাসার প্রেরণা নেই। অবসর,অবসন্ন, উদাসীন অপেক্ষার ধারণা নেই। জারি, সারি, পালা, যাত্রাগান হারিয়ে গেছে। সারা বিশ্বে এখন সবচেয়ে আলোচিত সংকট জলবায়ু সংকট। পৃথিবীর উঞ্চায়ন সংকট।

পৌষের আবেদন আমাদের চেতনাকে আর বেশি আকৃষ্ট করে না। ঋতুবৈচিত্র্যে আমাদের নিবোর্ধ চেতনা জাগতে চায় না। বর্ষার ছন্দ, মাটির গন্ধ, উদাসী বসন্ত, সবুজ অনন্ত ব্যর্থ হয় আমাদের জাগাতে। যন্ত্রসভ্যতা আমাদের যন্ত্র বানিয়ে ফেলছে। সকল বিশ্বাসের ক্রমান্বয়ে মৃত্যু ঘটছে। বৈরী আজ বসন্ত—শীত—হেমন্ত। বর্ষার প্রাণোচ্ছ্বাস নেই। বৃষ্টিতে বিলাস নেই। সবুজে সুরভি নেই। পৈছাল—পুবালি বাতাসে জীবনের গন্ধ নেই। মাটিতে মায়াবি পরশ নেই। সারা দেশে নদী খালের করুণ মৃত্যু আমাদের রক্তে শিহরণ তোলে না। প্রকৃতি সাথে আমাদের শত্রুতা যেন আজন্মের। আমরা পাহাড় খেকো, নদীহন্তা, জল—বায়ূ —মাটি দূষক। আমাদের চারপাশের ভুবনে তাকিয়ে আমরা দেখি,আমরাই প্রকৃতি প্রতি সবচেয়ে নির্মম স্বেচ্ছাচার, স্বৈরাচার। আমরা আমাদের অস্তিত্বের সাথে লড়াই করি। জীবনের  সওদাগরি করি। জীবনকে পণ্য বানাই।

সারা দেশের মতো চট্টগ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী অনেক পাহাড় বিলুপ্তির বিহ্বলতায় দারুণভাবে কাতরাচ্ছে। এক সময়ের শতাধিক নান্দনিক পাহাড়ের চট্টগ্রাম অনেক পাহাড়কে ইতোমধ্যেই হারিয়ে ফেলেছে। গত শতাব্দির শুরুর দিকের অনেক পাহাড়ের মাথায় বা বুকে গড়ে ওঠে সরকারি অফিস—আবাসিক ভবন। এ সবে যে ঐতিহ্যের চর্চা হওয়ার কথা, তা কিন্তু বাস্তবে অনুপস্থিত। উল্টো পাহাড়গুলো ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। শতবর্ষী বৃক্ষগুলো পরিচর্যা ও তদারকিহীন। ঐতিহ্য আমার, ধারণ এবং লালনও করতে হবে আমাকেইÑ এ বিশ্বাস কিন্তু আমরা লালন করি না। অপরিকল্পিত শিল্পের দূষিত তরল ও কঠিন বর্জ্য শহর ও শহরতলিকে বিষময় করে তুলছে। পয়:বর্জ্যহীন ব্যবস্থাহীন  চট্টগ্রাম ওয়াসা ষাট লাখ মানুষকে কঠিন পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। নগরীর দুই তৃতীয়াংশ পয়:বর্জ্যকে ধারণ করতে হচ্ছে দেশের প্্রাণপ্্রবাহ নদী কর্ণফুলিকে। দেশের অর্থনীতির এ চাকাকে সচল, প্রাণবন্ত রাখতে আমাদের উদাসীনতার পরিসীমা নেই ।

সেকালের চট্টগ্রামের তুলনায় এ কালের চট্টগ্রামে মানুষের জীবনযাত্রায় আধুনিকতার অনুষঙ্গ বেড়েছে। দারুনভাবে কমেছে, প্রাকৃতিকতা, সংবেদনশীলতা, নাড়ির টান। জীবন ও সমাজের বিভিন্ন স্তরে মৌলিকতার সংকটও কম বাড়েনি। বিশুদ্ধ পানের পানির সংকটে তাড়িত হচ্ছে মানুষ। যান্ত্রিকীকরণ ভূগর্ভের পানির স্তরকে দ্রুত নিচের দিকে নামিয়ে দিচ্ছে। স্বল্প সময়ে বেশি বৃষ্টিপাত, জলাবদ্ধতা, জলমগ্নতা, অপরিকল্পিত উন্নয়ন নগর ও জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যস্ততা মানুষকে সঙ্গীন সংস্কৃতিহীন করে তুলছে। মানুষ আর যন্ত্রের পার্থক্য ঘুচে যাচ্ছে।

প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, সংস্কৃতিহীন জীবন চর্চার সমাজে বসন্ত, হেমন্ত, পৌষ কোনো অর্থ বয়ে আনতে পারে না। সংস্কৃতিকে আমরা পণ্য বানিয়েছি। সামাজিকতাও পণ্যময়। প্রকৃতির অমূল্য নির্ভরতাগুলো আমরা এক এক করে বিষময়—বিপন্ন করে তুলছি। এ ভাবেই আমাদের স্বপ্নগুলো পণ্য হয়ে যাচ্ছে। আমরা সব হারাতে বসেছি। সেকালের চট্টগ্রামের সাথে একালের চট্টগ্রামের তাই এতো বিস্তর ফারাক।

সমৃদ্ধ সাং¯কৃতিক অতীতকে ধরে রাখতে, নির্মল পরিবেশের অমূল্য সম্পদগুলো নিরাপদ করতে, হৃদস্পন্দনের  অত্যাবশ্যকীয় উপাদানগুলো চিরায়ত রাখতে, জলবায়ূ উষ্ণায়নের পাগলা ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরতে, সর্বোপরি ভাবী প্রজন্মের অধিক নিরাপদ আবাস গড়তে আমাদের জেগে ওঠা দরকার দ্রুত, অতি দ্রুত।

পরিবেশ সুরক্ষিত হলে, চেতনা জাগ্রত থাকলে সংস্কৃতিও আপদমুক্ত হবে। সামাজিকতা সমৃদ্ধ হবে, সেকাল আর একালের দূরত্ব কমে আসবে। সবুজের অভিযান, ঐতিহ্যের সুরক্ষা, উন্নয়নের অভিযাত্রা সম্মিলিতভাবে এ পথেই পরিচালিত হওয়া আবশ্যক। অত্যাবশ্যক।

 

মুহাম্মদ ইদ্রিস আলি, মুক্তিযোদ্ধা, অধ্যাপক

অন্ধ হলে প্রলয় বন্ধ হয় না

শোয়েব নাঈম শব্দের মধ্যেই থাকে জীবনের আসল দর্শন। শব্দের কারণেই মানুষ হয় নির্বাসিত। এখন মঙ্গলের অমরতায় ঘামছে গ্রীষ্মের বৈশাখ মাস। মঙ্গল এই শব্দবোধে যতটা কল্যাণ

চীনের মতো আমাদেরও ভাবা উচিত

আমির হোসেন চীনে ফেসবুক, ই’নস্টাগ্রা’ম, ইউটিউব, গুগল, গুগল ম্যাপ, হোয়াটসঅ্যাপ, এমনকি ক্রোম ব্রাউজারও ব্যান! শুরুতে শুনে বিরক্ত লাগলেও এখন বুঝতে পারছি- ওরা আসলে অনেক আগেই

গল্পশূন্য জীবনের ইতিকথা

আন্দরকিল্লা ডেক্স : আমাদের পূর্বপুরুষরা কৃষক ছিলেন, শ্রমিক ছিলেন। থাকতেন মাটির কাঁচা ঘরে। অর্থাভাবে-অন্নাভাবে কখনও-সখনও উপোসও করতেন। পরতেন মলিন পোশাকপরিচ্ছদ। আমাদের বাবারা চাইলেন আমরাও যেন

সংস্কার চাই : চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন

নিখিল রঞ্জন দাশ সম্প্রতি চট্টগ্রাম এম.এ. আজিজ স্টেডিয়ামকে আগামী ২৫ বছরের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারশনকে দেয়া হবে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজনে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের ৬০

চল্লিশ বছর পর জীবনের প্রথম প্রেম আবার ঝড় তুলল মৈত্রেয়ীর জীবনে “মির্চা, মির্চা আই হ্যাভ টোল্ড মাই মাদার দ্যাট ইউ হ্যাভ কিসড মাই ফোরহেড'”

নহন্যতে উপন্যাসে মৈত্রেয়ী দেবীর এই উক্তি টি অবশ্যই পাঠকদের মনে আছে? মির্চা এলিয়াদ আর মৈত্রেয়ী দেবীর প্রেম কি শুধুই প্রেম ছিল নাকি সেই সাথে কিছু