শ্লীলতার লেবেনচুষ
অকস্মাৎ ঘূর্ণিবাত্যা ঝড়ে, চতুষ্পাটি তছনছ – নির্মাণের খুঁটি
যায় ধসে, খুটিনাটি তাণ্ডব-উৎসব ।
কম্পমান লোকালয় দাউ দাউ।
জান্তব দাহন,
বজ্রাঘাত, রাক্ষুসী বিদ্যুৎজিহ্বায়।
গ্রামগঞ্জ উতরোল শহর মাতাল।
পেটের ভেতর তখন বুকেরও ভেতর
হু হু কান্না, সামুদ্রিক ঢল।
এতিমখানায় কাঁদে রোদসী বকুল।
কোলাহলে গুঞ্জরণে কোকিলা বিকেল পাত পাতে দ্বিচারিতা, দেয় হামাগুড়ি
গেরামে গঞ্জের পেটে গুজবের চাষে,
তরাসের হাম্বারবে প্রগতিরা ধায়।
সুশীল শ্লীলতা চাষে লেবেনচুষ চোষে!
বৃষ্টি
বৃষ্টি বিরাম শব্দটা ভুলে গেছে, ঝরছে অবিরাম। উথাল হাওয়ার তোড়ে
মাঝে মাঝে আহ্
নীপবনের নীবিবন্ধন – ‘খুলু খুলু যায়’।
দৌড়। দে দৌড়, দে দৌড় – দৌড়
কে ওই, ছুঁয়ে দেবে, ছুঁয়ে দিতে চায়!
চমরী গাই-এর মতো চারিদিকে সঘন
আঁধার,
অঝোরে দুগ্ধ ঝরে মেঘমল্লারের তান।
দার্জিলিং চা-এর ওষ্ঠে মগ্ন মৃদু চুম,
মুখর বাদর দিনে। রবীন্দ্র সঙ্গীত
মনে পড়ে? আরও কিছু স্মৃতিময় উম।
দেশ
অবশেষে, সপ্তস্বরে বাজে রুদ্রবীণা
বাজিল মত্থিত করে মগজে সেতার,
তুফান তুফান তোলে তবলার বোল।
থমকায় ঘুণপোকা, দাঁতের রাগিণী।
অন্তরে বেজে ওঠে ওঙ্কারের ধুন,
আগুন আগুন।
ধুম রান্নাবান্না হবে মাটির চুলায়,
পৌঁছে যায় স্বাদু ঘ্রাণ পাখীর কুলায়।
এ আমার বাংলাদেশ, এ আমার দেশ।
হ্যালো, হেলিস না
হ্যালো হ্যালো হ্যালো,
হেলিস না আর কেলো।
কথায় কথায় হেলাফেলায়
হেলবি কিরে হেলবি কি?
রাধা গেলো, তুই কি জানিস
হেলতে হেলতে হেলসিংকি!
দেখ সাবধান, পিছন ফিরে
ধুম মচায়ে ভাঁজলো চিঁড়ে
খুললো মাথার খুলি,
অনেক হেলাফেলা ছিলো
বানভাসিতে রোদ চমকালো
উড়িছে বুলবুলি।
পোস্তাগোলা পগারপাড়
নোতুন দিনটা সামনে কার,
মোগলটুলী পাঠানটুলী
একসারিতে খায় খাবার।