এখন সময়:সন্ধ্যা ৭:১৬- আজ: শনিবার-১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

এখন সময়:সন্ধ্যা ৭:১৬- আজ: শনিবার
১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

নববর্ষ ও ঈদ সংখ্যার কবিতা

দ্রোহনিনাদ

মোমির মিলন খান

 

সময় এসেছে আবার ভেবে দেখার

কি কর্তব্য বেহুলা প্রণয়িনী এবার তোমার

জানো তো বাসর ঘরে ঢুকলে নাগিন

অচিরেই প্রণয় লগন হয় বিষে বিলীন

দেবতাদের মঞ্চে প্রেমিকের জীবন ভিক্ষা রত

নাচবে কি আবার বেশ্যার মতো?

নাকি ভাবছো ছিদ্র রইবে না এবার বাসর ঘরে

কালনাগিনীর প্রবেশ রহিত হবে চিরতরে

বেহুলা তোমার এমন ভাবনা সঙ্গত নয়

বিশ্বাসঘাতকেরা যুগ যুগান্তরে ঠিকই সক্রিয় রয়

এবার বলি শুনো কর্তব্য কথন

প্রথমে করতে হবে বিশ্বাসঘাতক দমন

অতপর কালনাগিনীর গুরুর ঘটাও মহাপ্রয়াণ

এবার নির্ভয়ে গাও প্রণয়ের গান।

=========================

 

 

কল্প গল্প

রুহু রুহেল

 

তোমাকে নিয়ে কিছু স্বপ্নের  কথা বলি

ভেবেছিলাম দু’জনার একটা ছায়া হবে

সরগমের সপ্তস্বরকে একসুরে বাঁধবো

দুজনে বসে রাতের আকাশে তারা গুনবো

ঘোর অন্ধকারেও জোছনার স্নিগ্ধ আলো হবে।

আমি হবো সরল গরল উন্মুখ জোছনাবিলাসী যুবক!

 

ভেবেছিলাম তোমাকে আমার গ্রামের নিসর্গ দেখাবো

ওই নিসর্গে বিকেল আর সন্ধ্যার মিলনটা কত সুন্দর!

মন, ফেরাতে মন চাইবে না।

দেখলে বুঝতে; সবুজ শ্যামলিমার অপরূপতায় বিমুগ্ধ মোহনে তৃপ্ত

নিশ্চিত বলবে; রাতটুকু না হয় জোছনার সাথে এখানেই কাটাবো!

 

এ নিসর্গকে ঘিরে গেল  শতকের শেষ দশকে প্রথম গড়ে উঠল সুদীর্ঘ পাহাড় ও বিচিত্র প্রাণির সমারোহে অভয়ারণ্য।

ভেবেছিলাম একেবারে মনের গহীন স্তর হতে তোমাকে আমার প্রাণভোমরার সম্রাজ্যের অতুলনীয় মক্ষিকা বানাবো।

ইচ্ছে ছিল সারা রাত দুজনার দুটো পথকে এক মোহনার বন্ধন বানাবো।

কিছুই হলো না।  আমি আমার পথে চললাম  তুমি তোমার পথে-

 

জানো? আজো  সে পথের  দিকে চেয়ে চেয়ে আমার দিন কাটে  রাত- কাটে

এক নৈঃসঙ্গের মাদুলি বাজিয়ে তানপুরার স্বরে এখন বেহাগির সুর বাঁধি

সকাল সন্ধ্যা ভোর।

 

আমি ছাড়া কেউ জানে না তুমি হেলেনের চেয়েও অপরূপা

বনলতার চেয়েও বেশি সুন্দর

লাবণ্যর চেয়েও লাবণ্যময়

মাধবীর চেয়ে তুমি ভীষণ মাধুরী

বিমলা অচলা নয় তুমি হিরণ¥য় অপ্সরা

মার্গারিটও তোমার কাছে নস্যি।

তুলনা আর বাড়াবো না, মোহনা;

তুমিই শুধু তোমার তুলনা।

 

=========================

 

চুম্বক বর্ণনা

তোফায়েল তফাজ্জল

 

খাড়া চৈত্রে বন-বনানী, পাহাড় মানুষকে দেয়

নিঃসঙ্গ থাকার তিক্ত-জ্ঞান।

তা থেকে রেহাই দেয়, চেনা স্পর্শ, ওষ্ঠদ্বয়ে ফুটতে না ফুটতেই

ইচ্ছেপূরণের সব জাতের ব্যবস্থা।

নয়ন সৌন্দর্যে ডুব দিয়ে পায় নাতিশীতোষ্ণ;

দরদের জল পক্ষপাত যতœ নেয়

অনাবৃষ্টির ছোবল দেয়া মৃত্তিকার অবয়বে।

ফড়িং ছটফট মন শান্ত হয় প্রজাপতিদের উড়তে থাকা

ঝিঙেফুল নরম বাতাসে।

 

না, এসব চুম্বক বর্ণনা সবই জলে হাবুডুবু খায়

যখন অন্তর বয়ে বেড়ায় কেবল

ঝলসে যেতে থাকা হতাশার শিক-কাবাবের মাংস খ-;

ব্রিটিশ থেকেও চৌদ্দগুণ বেশি ধার মাথা ভোঁতারূপে

ধৈর্যের গাড়ির যেই জ্বালানি ফুরিয়ে-

অথচ সম্মুখে মরুভূমি কেলায় দু’পাটি দাঁত।

এমতাবস্থায়, বর্তমান করণীয়

বা বেহাল  দশা  থেকে  সৈকতে ওঠার শুদ্ধি-পথ?

 

 

=========================

 

 

 

 

মৌতাত

শফিউল আজম মাহফুজ

 

পাহাড়ি এইসব উঁচুনিচু পথ

সরীসৃপ বানিয়ে দেয় আমাদের

আমাদের গোপন সাপের জিহ্বা লক লক করে।

এমনই মায়া তোমাদের শরীরের।

 

পাহাড়ি উঁচু-নিচু টিলা আমাদের আদিম করে তোলে

আমাদের বন্য হতে বাধ্য করে।

আমরা কখনো জংলী লতা-গুল্ম ভেবে

আঁকড়ে ধরি তোমাদের এলোমেলো চুল।

কখনো শিশু হয়ে মুঠোয় ধরে রাখি জোড়া বল।

 

রাজ্যের ভয় ভুলে গিরিখাতে আটকে রই সমস্ত রাত

সব ভয় ভুলিয়ে দেয় মৃদু আর্তনাদ!

প্রবল তৃষ্ণা শুষে নেয়ে ভীষণ জলপ্রপাত ,

জড়িয়ে যেন এক নয়া মৌতাত।

 

=========================

 

 

চলে গেলে

শাহানা সিরাজী

 

ঘরে কেন ফিরবো

ফিরবো কেন ঘরে

অবসাদ বিছানো পথ ক্রমশ দীর্ঘ  হোক

চোখ দুটো অস্তায়মান সূর্যের আগুনরূপে হোক

আরো আরো মুগ্ধ।

 

সূর্য  সারাদিন সমস্ত চরাচরকে বুঝিয়ে

শেষে একা খুব একা

ক্লান্তির ডানা মেলেছে

নিষ্প্রভদিনের আকুতি…

 

চোখ ক্লান্ত নয় তবু আলো নিভে যাচ্ছে

ধীরে ধীরে সব আঁধারে  গেলো ছেয়ে।

 

কেন ফিরবো ঘরে

আঁধারের টইটম্বুর পুকুরে সাঁতার কেটে কেটে

অসহ্য বিরাম চিহ্ন এঁকে বুকে

কেন ফিরবো ঘরে

আঙুলে আঙুল ছুঁয়ে

যখন চলে গেলে বহুদূরে….

 

 

=========================

 

 

ভুল ঠিকানার ছবি

হাসান ওয়াহিদ

 

তোর হাতটা একবার দে

লাল প্রিন্টের বর্ডারে লিখে দেব

কৈশোরের দুষ্টুমিগুলো

পুকুরপাড়ে খেজুর পাতার সকালবেলা

এনে দেব তোর হাতে

 

তোর হাতটা একবার দে

কানামাছি খেলার সেই সুরটা কানে কানে বলে দেব

 

খুব করে পেতে চাই বাল্যের দিনগুলোকে

পেয়ারা গাছে ওড়না রেখে

কাগজের পদ্মফুল হাতে কাছে এসেছিলি

ভুল ঠিকানার ছবি বার বার মনে পড়ে

হৃদয়ে জেগে ওঠে জ্যোৎস্নাকুমারীর

আজন্ম শত পাপ

তোর হাতটা একবার দে

 

=========================

 

 

তারপর আর তার দেখা মেলেনি

অনন্যা জান্নাত

 

ফিরে গেছে শামুকের মতো গুটিয়ে

সমূহ হৃদয় চোরাবালির মতো

গেঁথে থাকা জন্মান্তরের অভিমানে।

 

ফিরে গেছে অন্ধকার রাত্রির ভেতর দিয়ে

কী ভীষণ নির্জনতায়,

বুনোফুলের মতো চেয়ে থাকা কী

ভীষণ অসহায়ত্বে!

 

অথচ কথা ছিল একসাথে হাঁটবার,

মুখোমুখি দাঁড়াবার

ডাহুক চোখে চেয়ে বিলোবার

এক পৃথিবীর নয়নতারা প্রেম।

 

কিন্তু সে আর কখনও পিছু ফিরে চায়নি,

মুহুর্তেই শেষ হয়ে গেছে যেন তার দেয়াশলাইয়ের মতো

জ্বলজ্বল চোখে তাকানো সমস্ত অপেক্ষা।

 

এই যে এখন ভীষণ কাতরে মরি

তারে ছাড়া জলছাড়া মাছের মতো,

এই যে বুকের কার্নিশে নিভৃতে পুষে রাখি

একঝাঁক গহীন নীরবতার পাখি,

কতো অজস্র

নিদ্রাহীন রাত্রি কাটিয়ে দেই

তারে না পাবার,

দূরত্বের যন্ত্রণা বুকে নিয়ে

সে কি তা জানে?

 

কখনও কি ভুলেও নিয়েছে তার খোঁজ!

নিয়েছে?

নাহ নেয়নি তো !

কখনো তো ছুঁয়েও দেখেনি অনুভবেব পালক মেলে

চিবুকের কাছে জমেছে আক্ষেপের

কী থমথমে গাঢ় রোমশ নিথর অন্ধকার!

 

অথচ আমি আজও তার পথপানে দাঁড়িয়ে –

অজ¯্র রাত্রি শেষে একটুকরো

ভোর নামবার অপেক্ষায়……

 

একবার ছুঁয়ে দিলেই ভুলে যাব পাঁজরে ধুলোর মতো

জমে থাকা সহ¯্র শতাব্দীর অবহেলা,

গাম্ভীর্যের অহম ভেঙে জড়িয়ে নেব পূর্ণিমার চাঁদের মতো গলে গলে পড়া

মোহনীয় মধুর টালমাটাল

ভালোবাসার শীতল চাদরে।

 

তারপর আর তার দেখা মেলেনি,

মেলেনি, মেলেনি;

ফিরে গেছে শামুকের মতো গুটিয়ে সমূহ হৃদয়

চোরাবালির মতো গেঁথে থাকা জন্মান্তরের অভিমানে……….

=========================

 

 

অসম্পূর্ণ

বিদ্যুৎ কুমার দাশ

 

রুপোলি নারীর সাথে দেখা-

আলোর ভেতর কালো নারী

আবেগ আবেগ সুর লাগানো

পেছনে হাওয়া হাওয়া বাড়ি

সামনে নদী পথের তরবারি

 

=========================

 

গুপ্তধন

শারাবান তহুরা

 

ভালোবেসে তোমাকে আলোর অধিক

কৃষ্ণগহ্বরে গভীরতায় ডুবে কালোর দখলে

জেনেছি ঝুলে থাকা ছুরি বিভাবে মুহুর্তে ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে

বুঝেছি অমৃত মধু ক্ষণিকেই হয়ে ওঠে বিষ

ভালোবেসে তোমাকে ত্রিশূল বিনাশী

কীভাবে জ¦লে ওঠে আমার বুকে

বেদনার বোবা তাচ্ছিল্য কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে মনে।

ভালোবেসে তোমাকে

তৃষ্ণায় জ¦লে ওঠে আমার ক্ষত উপত্যকা

তোমার অহংকারে তুমি অন্ধ তীরন্দাজ

ভালোবেসে তোমাকে

বুকফাটা হাহাকার বিদগ্ধ নীরব শব্দহীন কান্না

আগলে আছি গুপ্তধনের মতো।

 

=========================

 

শিরোনামহীন

কামরুল কাদের চৌধুরী

 

অভিশপ্ত আকাশই জানে, সারা ভুবন জুড়ে

বিষাক্ততার পরিমাপ।

বিষাক্ত বাতাসের দম বন্ধ করা হুংকারে,

আলোরাও কেঁপে কেঁপে ওঠে।

দুলতে থাকে, দুলে দুলে জ্বলে।

ছায়ারাও হাসে অট্টহাসি।

চাপা দিতে চায় চেপে চেপে।

নিশি নেমে আসতে চায় তাড়াতাড়ি। চাঁদও শুষে

নিয়ে আলো, ভূতদের পাহারায় রেখে শূন্য কলসি

বাজায় উচ্চঃস্বরে।

জোনাকিরাও আলো নিভিয়ে পথ চলে গোপনে,

নীরবে।

সূর্য হারায় তার আলোর তেজ।

অগুনতি তারারা লুকিয়ে থাকে চুপিচুপি।

মেঘেরাও তৈরি করে চাপা চাপা কান্না,

মলিন কান্নার করুণ সুরে তৈরি হয় অভিশাপের

গোপন অর্কেস্ট্রা।

অভিশপ্ততার সিম্ফনির নতুন নতুন কম্পোজিশন,

আলোছায়ার খেলা তৈরি করে যায়, অকারণে।

=========================

 

 

বিজয়া আমি দুঃখিত

মনোজ কুমার মন্ডল

 

বিজয়া আমি দুঃখিত!

তোমার স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় আমারও খুব কষ্ট হয়!

কত প্রতিশ্রুতির ডালিতে মন্ত্রমুগ্ধ করেছি তোমাকে!

সুখ দেবো! শান্তি দেবো! দেবো আঁধারে আলো

অনন্ত সম্ভাবনা দেবো তোমার সন্তানে;

হাজারো প্রতিশ্রুতি এমন! সে কথা রাখতে পারিনি।

অনিবদ্ধ অন্ধকারে তাই কাঁদে তোমার প্রহর

জানি, অনিঃশেষ যন্ত্রণায় তুমি দগ্ধ হও অবিরত।

বিজয়া আমি দুঃখিত।

 

এখনও রাতের আঁধারে নাচে হিংস্র হায়েনা।

এখনও লকলকে জিহ্বা আর দাঁতে

প্রার্থিত শান্তির কালে অশুভ সংঘাতে

ছিঁড়ে ফেলে সভ্যতার রক্ত- মাংস- মজ্জা।

অথচ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম -তুমি এলে ঘরে

অন্তরে লালিত হবে প্রেম আর মানবিক যাপন,

সোনালি দিনের স্বপ্ন এঁকেছিলাম তোমার দু’চোখে।

বিজয়া! তুমি একদিন অসীমের স্বপ্ন বুকে নিয়ে

নতুন উজ্জ্বলতা এনে দিলে

তোমার উপস্থিতি এনে দিল সোনালি সমৃদ্ধি।

কিন্তু প্রতিশ্রুতি! আমরা বেমালুম ভুলে গেলাম।

তোমার জয়োৎসবে আজও নামে অশুভ ছায়া।

লাল সবুজের টিপ মুছে দিতে চায় কালো হাত।

কুটিল হায়েনা ছক কষে হানে শকুনির প্রত্যাঘাত।

মানচিত্রে বসাতে চায় কদর্য নখরের ক্ষত।

বিজয়া আমি দুঃখিত।

 

তোমার স্বপ্নমাখা হাতে হাত রেখে বলেছিলাম

ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে যাবো,

অথচ আজও ধর্ম নিয়ে রক্তের হোলি খেলি

ঘৃণ্য জিঘাংসালিপ্ত নির্লজ্জ পৌরুষে।

তোমার হৃদয়ে ক্ষরণের বেদনা জাগিয়ে

নারী মাতা-জায়া-কিশোরী-যুবতী-বালিকার রূপে

লাঞ্ছিত হয় যেন নিয়তির অদৃষ্ট লিখনে।

তোমার দুচোখের দুঃসহ বেদনা, ক্লান্ত ক্লিষ্ট মুখ

আমি বেদনার্ত চোখে দেখি নিরুপায়।

 

আজও ক্ষুধার যন্ত্রণা আছে

জ্বলে পুড়ে ছাই হয় স্বপ্নের নীড় হিং¯্র আক্রোশে।

আজও ঝুমলিরা চলে যায় দেশ ছেড়ে অন্য দেশে

নতমুখে বসতির পানে চেয়ে চেয়ে চলে যায়।

তোমার অশ্রুভেজা চোখে চেয়ে দেখি

অপমানের ভীষণ বেদনায় তুমি আজ নতমুখী।

আমাদের ব্যর্থ প্রতিশ্রুতি আজ কলঙ্ক তিলক।

ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে যত বিজয়া আমি দুঃখিত!

 

 

=========================

 

 

মাধবী –১৬

জাফর আলম

 

তুমি নাকি রোজ সকালে আকাশে ডানা মেলো?

এদিকে সব যে অথৈ! সব তো ডুবে গেলো !

বর্ষা তো ছিলই, বাসন্তীও কি সর্বনাশী?

আগুন কি নিভে যাবে সহসা! থামবে কি অনল বাঁশি?

 

আমি যদিও কৃষ্ণ নই! প্রেম ও পূজা এক সুরে গাঁথি!

তোমাকে দিয়েছি সব একদিন,তোমাতেই হাত পাতি!

দান তোমার আরাধনা জানি,আমি সে ভিক্ষুক নই!

ভিখারি বটে, নিজের কাঁধেই নিজের বোঝা বই।

 

পৃথিবী ছেড়ে তুমি নাকি এখন চন্দ্রে করো বাস?

ভালোবাসা তোমার উচ্ছিষ্ট, না কি? প্রেমহীন সন্ত্রাস?

রাজাধীরাজ আমি, মন্দা যুগেও ভালোবাসা আছে!

দূর থেকে আলো দেই,আগুন আমি,ডেকো না কাছে!

 

দেবতার বাঁশি বাজুক! যারা পারে পূজা দিক !

প্রেমই কি তোমার আরাধনা মাধবী, আর সব ঐচ্ছিক?

 

=========================

 

কিয়ৎ প্রহর

ওসমান গণি

 

কর্ণফুলী দৈয্যা’র মতো

অম্বধর ঠেলে লম্ফ দেয় ভানুমতি।

এখুনি দরশন কিছু দেবে, মনে হয়।

 

দুটো পানসি মুখোমুখি ভেসে আছে-

আফালের লোহিত তারা পাগলের মতো

ছোঁবে কি স্পর্শ না, ঠিক বুঝতে পারে না।

 

কিয়ৎ একটা কিছু হবে, মনে হয়

সেদিন মুহূর্ত কথারা

আটকে রইলো বন্দর আসমানে।।

আবির প্রকাশন

আপনি দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন- ঘরে বসেই গ্রন্থ প্রকাশ করতে পারেন অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে আবির প্রকাশন থেকে। আমরা বিগত আড়াই দশকে বিভিন্ন

গণতন্ত্রহীন রাজনীতির অনিবার্য পরিণতি

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বাঙালি চিরকালই বিদ্রোহী। ইতিহাসের কোনো পর্বে সে কোনো পরাধীনতাকে বেশি দিন মেনে নেয়নি। উপমহাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্র দিল্লি থেকে দূরে হওয়ায় এবং সাড়ে

বিপ্লব যাতে বেহাত না হয় ( সম্পাদকীয় – আগস্ট ২০২৪)

জুলাই মাসের কোটাবিরোধী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত আগস্টের ৬ তারিখে ১৫ বছর সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়েছে। অভূতপূর্ব এই গণঅভ্যুত্থান ইতোপূর্বে ঘটিত গণ অভ্যুত্থানগুলোকে ছাড়িয়ে