পাঁচ.
ঝিনুকের জলাশয়ে আমার আবাস
মিয়ার দালানে মিয়া-মহাজন নেই
ঝিনুক। ঝিনেদা। পায়রা চত্বরে দেখি
কতিপয় ভিক্ষুকের দুঃখপ্রাপ্ত মুখ।
দুদ্দু শাহ। পাঞ্জু শাহ। লালনের গ্রাম
সিরাজ সাঁইজি ঘুমায় হরিশপুরে।
বিশ্বনবী। গোলাম মোস্তফা। শুকুরজি
নবগঙ্গা। এপারে-ওপারে দেবালয়।
ক্ষেতের ফসল ছোঁয় বাঘা যতীনের
হাত। বিপ্লব, বিদ্রোহ ইতিহাসে আছে।
বহু রত্ন পথে-ঘাটে, সড়কের নাম…
এখানে পায়রা ওড়ে, পাগলা কানাই…
ছয়.
সময় অভাবে ভালোবাসা দেখাতে পারিনি
ঘরভর্তি বই, বইয়ের স্তুপ
কবিতার প্রজাপতি মধ্যরাতে টেবিলে ঘুমায়
আমার কোনো পুকুর নেই
জলাশয়ে নামতে নারাজ
পাখি এলে তার সঙ্গে কথা বলি রোজ
পাখির বন্ধুরা আসে , ভরে যায় পাড়া
আমার কোনো বাড়ি নেই
চাল-চুলোহীন
তবু বেশ ভালো আছি
শিথানে গোলাপ ফুল
পাপড়িতে জল
সাত.
কোথাও অসুখ নেই। নৃত্যের মহড়া…
ছায়া, তুমি নৃত্য করো ফসলের ক্ষেতে।
এ গাঁয়ে জোছনা নেই। আঁধার রয়েছে।
সন্ধ্যায় মেঘের উপরে রক্তিম পাখি।
জলে ভেসে যায় আদর, সোহাগ , চুমু…
শিশিরের জলে স্নান করে সাদা ভোর।
রাত্রি নামছে মাঠের শেষে, ফসলের
ক্ষেতে। অদূরে সবুজ , শস্যের সন্তান।
ক্ষেতের ভেতরে সকাল। দুপুর নামে
রোদ্দুরের তপ্ত দেহে। বিকালের ক্ষেতে
সূর্যের উত্তাপ নেই। বাতাসে আঁধার।
কোথাও মানুষ নেই, শূন্য লোকালয়।
আট.
সংবাদটি পৌঁছে দিয়ো
বাসর রাতের আঁধার আলোর অধিক
মায়াবতী, কোথাও যেয়ো না তুমি
প্রতিশ্রুতি রক্ষা করো
দেবীকে চেনে না কেউ
নরম বাতাসে নৃত্য করে দেবতার জলসায়
ছেলেবেলা হারিয়ে গিয়েছে
এখন যৌবন
মনঃকষ্টে ভেসে আছি যমুনার জলে
সংবাদটি পৌঁছে গেছে
অতঃপর , কী হবে সেটাই ভাবার বিষয়