এখন সময়:বিকাল ৩:০০- আজ: মঙ্গলবার-২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-বসন্তকাল

এখন সময়:বিকাল ৩:০০- আজ: মঙ্গলবার
২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-বসন্তকাল

হাসান আজিজুল হকের গল্পের আখ্যানে দেশভাগ

আশরাফ উদ্দীন আহমদ : হাসান আজিজুল হক (১৯৩৯-২০২১), নামেই যাকে চেনা যায়। কোনো ভূমিকার প্রয়োজন নেই। গল্পের রাজপুত্র বলে কেউ কেউ, করোটির ভাঁজে-ভাঁজে ছোটগল্প সংস্পৃক্ত হয়ে আছে। হাসান আজিজুল হক শুধু একটি নামই নয়, একটি মহাকাল একটি অধ্যায় সৃষ্টি করেছেন তিনি। বাংলা ছোটগল্প তাকে ছাড়া কল্পনা করা যায় না। বিশেষ করে ষাট দশকের পুরোভাগ জুড়ে তিনি আলোছায়া ফেলেছেন, ঋদ্ধ করেছেন বাংলা সাহিত্যকাশ। আমাদের চেনা ছকের ভেতরেই নতুন আরেক ধুমকেতু হাসান আজিজুল হক। জমাট বুননের যে গল্পশৈলী ইতোমধ্যে তিনি নির্মাণ করেছেন তার ভাষাবিন্যাস-বাকপ্রতীক-শব্দচয়নে এনেছেন অনন্য সাধারণ শৈল্পিক উৎকর্ষ। শব্দের সঙ্গে শব্দের, বাক্যের সঙ্গে বাক্যের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে গড়ে তুলেছেন আখ্যান প্রতিমা। তার গল্পের ভাষা বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন-স্বতন্ত্র। কারো অনুসরণ বা অনুকরণের ধারে কাছে না গিয়ে নিজের একক বৈশিষ্ট্য প্রতিষ্ঠা করেছেন গল্পসাহিত্যে। ছোটগল্পের ধারণাকে তিরোহিত করে নতুন সম্ভবনার দ্বার উন্মেচিত করেছেন এবং সেখানে সীমান্তের ঘেরাটোপ  উপড়ে ফেলে আপন মহিমায় শিরদাঁড়া উঁচু করে দাঁড়িয়ে থেকেছেন।

বিষয়ের নেই কোনো ঘনঘটা, সমস্ত সত্যকে দাঁড় করিয়ে প্রস্তরখন্ডের মতো একের পর এক গেঁথে গেছেন লালিত্যময় বাক্যশৈলী। জীবনের স্পন্দনে নিজেকে সংম্পৃক্ত করেছেন, এগিয়ে গেছেন স্বর্ণালি স্বপ্নের নকশাকাঁটা জাজিমে। মধ্যবিত্তের যে হাহাকার কষ্ট আনন্দ ভালোবাসা আর যন্ত্রণার নীল বিষ তা হাসান অনুধাবন করেছেন মুখোমুখি বসে, অনেকটা আপনের মতো আপন হয়ে। রোদে পোড়া বৃষ্টিভেজা যে কঠিন জীবন যে ভয়াবহ দৃশ্যাবলী তা ধরার অভিপ্রায় খেকে তার প্রত্যয়। কথনে-বর্ণনায় কোনো নাটকীয়তা নেই। চরিত্রাবলী অনাড়ম্বর জনসাধারণের কাছ থেকে ধার করে নেওয়া তার কাহিনি উপাখ্যান। কৃত্রিমতাকে বরাবরই পরিহার করেছেন। কখনো তিনি অনিন্দ্যসুন্দর স্বপ্নরাজিকে আশ্রয় দেননি মনের আবেগে।‘ আত্মজা ও একটি করবী গাছ’  ‘পরবাসী’ গল্পে দেখা যায় পোড় খাওয়ার সেই চিরপরিচিত মানুষ। যারা শুধু দিতেই জানে, দিতে-দিতে নিঃস্ব হতেও জানে কিন্তু বেঁকে দাঁড়াতে পারে না, প্রতিবাদের ভাষাও ভুলে যায়। যেন প্রতিবাদ হয়ে যায় উড়োখড়। সেই খড়ের ভেতর আটকে আছে দিনরাত্রির খেরোখাতা- দিনলিপি। এভাবেই জীবন্ত এবং রক্তমাংসের মানুষগুলো বুক টান করে দাঁড়ায়, কিছু বলতে চায় কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারে না। প্রতিবাদের ভাষা তো তারা শেখেনি শুধুই মার খেতে শিখেছে, প্রতিবাদহীন জৌলুসহীন ফ্যাঁকাশে বিবর্ণ-বিমর্ষ মানুষদের জীবন নিয়েই গল্পের কাঠামো, গল্পের মানচিত্র। গল্পের স্বপ্নবীজ রোপিত হয়েছে ফুলকাননে।

কথাশিল্পী আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের গল্পে যেমন মানুষের কষ্টের ছবিটাকে অনুধাবণ করা যায়, টুকরো-টাকরা সময়ের মেঘগুলোকে একত্রিত করে যতোই তিনি সাজিয়ে তুলুন, মূলত ইলিয়াস মানুষের কষ্টের-যন্ত্রণার ছবিকে অংকন করেছেন। মাহমুদুল হক বা শওকত আলী লেখাতে জীবন যাপনের নিষ্ঠুর কষাঘাতেরই  ছবি তুলে এনেছেন। জ্যোতিরিন্দ নন্দী বা নরেন্দ্রনাথ মিত্রের গল্পের যে মূগ্ধতা অবলোকন করা যায়, কাহিনি বা বিষয়ের চেয়ে জটিল জীবনের অংকটাকে সাহিত্যে বড় করে ফুটিয়ে তোলার পেছনে আছে গভীর মমত্ববোধ। আছে জীবনের প্রতি জিজ্ঞাসা। জীবন যেন পিচ্ছিল বিড়ম্বনা, সেই বিড়ম্বনার ভেতর দিয়ে দিনযাপন রাত্রিযাপন, স্বপ্নের মধ্যে স্বপ্নকে দৃশ্যমান করা।

দেশভাগ নিয়ে তার যে যন্ত্রণা, কান্না, তা হাসান বয়ে বেড়ান, সীমান্তহীন কাঁটাতারহীন মানচিত্র তিনি কল্পনা করেন, যা কখনো সম্ভব হয়নি। বৃহৎ মানুষের আকাক্সক্ষার ফসল যে সাতচল্লিশের দেশভাগ বা একটা স্বাধীন মানচিত্রের, সেখান থেকে যোজন-যোজন দূরে দাঁড়িয়ে হাসান নিজেকে প্রত্যক্ষ করেন। হয়তো সেটা কারো সাথে মিলতে না পারে কিন্তু তিনি বাস্তবে তা অবলোকন করেন। ‘ফেরা’ গল্পে হাসান হিন্দু পরিবারটির দেশের মাটি ছেড়ে চলে যাওয়ার যে ছবি অংকন করেছেন তা মারাত্মক। ফিরে যেতে চায়, কোথায় ফিরে যাবে, মানুষ কি কখনো ফিরতে পারে, বারেবারে নিজের ভেতরে প্রত্যাবর্তন করে, সেই প্রত্যাবর্তনের ভেতরেই বেঁচে থাকা। ফিরতে চাইলে কি আর ফিরে যাওয়া যায়! হিন্দু মধ্যবিত্তের এই ভাঙাগড়া-কান্নার মধ্যে হাসান আজিজুল হক নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন। তার গল্পের কাকুতি মানবতা সর্বপরি চিন্তার যে সংমিশ্রণ ফুটে ওঠে, সেখানে তিনি নিজেকে আটকে রেখেছেন। আটকে রেখেছেন গভীর আন্তরিকতায়, হাসান প্রতি গল্পে জীবনের চলমান ছবিটাকে বেশ গতিশীলতার মধ্যে রেখেছেন বরাবরই। সেখানে কোনো রোমাঞ্চ বা রহস্য নেই, নেই শুকনো-ভেজা ভালোবাসার গন্ধ, সবখানে আছে চলমান নদীর মতো জীবনের কঠিন বাস্তব রহস্য, সে রহস্যের চোরাবালির মধ্যে মুখ ডুবিয়ে হাসান খুঁজে যান নিজেকে। মধ্যবিত্তের হাহাকার লেজে গোবরে হওয়া জীবনের কঠিন গল্পটা শেষঅবধি বলে যান তিনি অবলীলায়।

‘আগুনপাখি’ উপন্যাসেও নিজের ভাব-ভালোবাসাকে বেশ পরিপাটি করে সাজিয়ে তুলেছেন। সেখানেও তিনি কোনো লুকোছাপা করেননি। বাস্তবতার নিরিখে কষ্টের মহাসিন্ধুকে কলমের আঁচড়ে বয়ান করেছেন। প্রধান চরিত্র মেজোবউ (মিতবৌ), সে যেন দেশভাগবিরোধী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করেছে সমস্ত উপন্যাসজুড়ে। তার ভেতরের আমি’কে হাসান নিজের আমি’র সঙ্গে সংমিশ্রণ ঘটিয়ে বাস্তব একটা মানচিত্রে দাঁড় করিয়েছেন। আগুনপাখিকে তিলে-তিলে গড়ে তুলে তার মুখের ভাষাকে শাণিত করেছেন। দিয়েছেন চরম শক্তি, বুদ্ধির সীমাহীন ভা-ার। অন্ধত্বকে বিতাড়িত করেছেন, জুগিয়েছেন সাহস ভালোবাসার মিনার। তারপরও আগুনপাখি নিজের খোলসের ভেতরে আবদ্ধ থেকেছে। জগতটাকে দেখা হয়নি, দেখবার সে চোখ যেন অন্ধ হয়ে গেছে, তবে যেটুকু দেখেছেন তাতেই আনন্দ।

হাসান আজিজুল হক উপন্যাসটিকে একটা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে নিজের যাবতীয় প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন। সাতচল্লিশের দেশভাগকে শুধু যে বাংলাভাগ বা ভারতভাগ ছিলো না, তা ছিলো ভারতবর্ষের মুসলমানদের মান-ইজ্জতের প্রশ্ন। কোনো একক ব্যক্তির আকাক্সক্ষার ফসল নয়। একশত বিরানব্বই বছরের ক্ষোভ আর যন্ত্রণা এবং অধিকার না পাওয়ার ফসল দেশভাগ। ভিন্ন একটা মানচিত্র। ভারতবর্ষকে যারা নিজের সম্পত্তি বা সম্পদ মনে করতো, তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে আনার এক বাস্তব খতিয়ান দেশভাগ। হাসান সেখানে দাঁড়িয়ে বলতে চেয়েছেন, কিসের দেশভাগ, কেনো আমি নিজের ভিটে ছেড়ে অন্য দেশে যাবো… আগুনপাখিতে দেখা যাচ্ছে মেজো বউয়ের ছেলে,মেয়ের জামাই ভিন্ন দেশে গিয়ে ভালো চাকরি করছে, স্বামী-সন্তান নিয়ে সবাই সে  দেশে ভালো আছে। কী আছে সে দেশে, শান্তি-নিরাপত্তা নিশ্চিত একটা পরিপাটি জীবন। যে জীবন একশত বিরানব্বই বছরে পাওয়া যায়নি, সাতচল্লিশের দেশভাগের পর হাতের মুঠোয় তা চলে আসে, একেই তো বলে নিশ্চিত জীবনের হাতছানি। কিন্তু হাসানের চোখে তা ছিলো কেবলই ব্যক্তিস্বার্থের ফুলঝুড়ি! সেখানে যে তার অধিকার প্রতিষ্ঠার ফসল, সেটাকে হাসান বরাবরই রাজনৈতিক নেতাদের উচ্চবিলাস বলতে চেয়েছেন। যে জাতি নিরন্ন নিঃস্ব ছিলো, প্রতিমুহূর্তে জর্জরিত হয়েছে সমাজ এবং রাষ্টের কাছ থেকে, সেই জাতি একদিন মাথা তুলে দাঁড়ানোটা কি বিজয় নয়— কিন্তু হাসান বাবংবার সেখানে আঘাত করেছেন। নিশ্চিত একটা বিজয়কে কেনো নেতাদের হটকারি সিদ্ধান্ত বলা হবে,তাতো বুঝলাম না। সাতচল্লিশের দেশভাগের হাত ধরেই তো একাত্তরের মুক্তিসংগ্রাম। তবে কি বাঙালির মুক্তিযুদ্ধকে আমরা অস্বীকার করবো!

হাসান আজিজুল হকের গল্পে এবং উপন্যাসে মানবিক দিক সুস্পষ্ট ফুটে উঠেছে। জগতে তিনি সবার ওপরে মানুষকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। মানুষই তার রচনার প্রাণ। মানুষের মাঝে যে মানুষ এবং তার ভেতরের হাহাকার পাওয়া বা না পাওয়ার  যন্ত্রণা কষ্ট, তারই রূপায়ণ করেছেন সাহিত্যে।  আর জন্যই দেখা যায়, মানুষের রাজনৈতিক-সামাজিক বা আত্মসামাজিক দিক বিবেচনা না করে তিনি শুধু তার ভেতরের মনুষত্ব ও মমত্ববোধেকে জাগ্রত করতে চেয়েছেন কারণে-অকারণে। হাসানের গল্পের যে বিষয় তা বাস্তব জীবনের ¯িœগ্ধ একেকটি মুর্ত ছবি। পরীক্ষিত মানুষের ভেতরের গনগনে আগুনের শিখা।

শওকত আলী যেমন দেশভাগের মর্মকথাকে একভাবে প্রকাশ করেছেন তেমনি হাসানও তার নিজের দৃষ্টিভঙ্গিতে স্বতন্ত্রভাবেই পর্যাবেক্ষণ করেছেন। দেশভাগ বা বাংলাভাগ নিশ্চিত একটি সত্যের ওপর দাঁড়ানো ভিত্তি। সেটাকে কোনোভাবেই দমানো সম্ভব নয়। কারণ মুসলমানের না পাওয়ার যে ক্ষোভ, দীর্ঘকালের বঞ্চনার ইতিহাসটাকে মোক্ষমভাবে নাড়া দেওয়ারই হাতিয়ার, সাহিত্যিক বা ঐতিহাসিক অথবা বুদ্ধিজীবী সমাজ যতোই কান্নাকাটি করুক না কেনো, দেশভাগের মতো অনিবার্য সত্যকে কোনোভাবেই প্রতিহত করা সম্ভব ছিলো না। বিশাল জনসংখ্যার মতামতের ভিত্তিক যে দাবি, তাকে কোনোভাবেই নিশ্চিহ্ন করা যায় না। হারানো ঐতিহৃ বা গৌরব ফিরে পাওয়ার মধ্যে যে আনন্দ তাই দেশভাগ।

পশ্চিমবঙ্গে সাহিত্যসমাজ বা সচেতন বৃদ্ধিজীবি গোষ্ঠী যতোই মায়া কান্নকাটি করুক না কেনো, মূলত দেশভাগ তারাই করিয়েছে। বিশ^াস করতেই কষ্ট হলেও বলতেই হয়, একচক্ষু নীতি বা বঞ্চনার যে যন্ত্র বৃহৎ মুসলমান সমাজ প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের কাছ থেকে দীর্ঘসময় যাবৎ পেয়েছে, তারই বহিপ্রকাশ দেশভাগের মতো সিদ্ধান্ত। সাহিত্যিক সমাজ বা ঐতিহাসিকগণ যতোই বলুক না কেনো দেশভাগ ছিলো বৃটিশ বা এদেশীয় একশ্রেণির দালালের একতরফা সিদ্ধান্ত। মূলত তা ছিলো বঞ্চিতের কান্নার ছাড়পত্র। দেশভাগ অনিবার্য পরিণতির ফসল। হাসান আজিজুল হক দেশভাগের কষ্টে দব্ধ হলেও ‘আগুনপাখি’র অন্যান্য চরিত্র দেশভাগের ফলে যে আলোর বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে, তার ফল ভোগ করে। সদ্য স্বাধীন রাষ্ট পাকিস্তানের বুকে এসে, চাকরি-বাকরি ব্যবসা নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যতের যে সোনালি অধ্যয়ের সোপান তৈরী হয়, তার পরিপূর্ণ রূপ দেখতে পাওয়া যায় উপন্যাসের ছত্রে-ছত্রে। হাসান আজিজুল হক অবচেতন মনে কিন্তু তারও একটা চিত্র চমৎকারভাবে অংকন করেছেন।

অর্থাৎ বৃটিশ বা এদেশীয় দালালদের দিকে দোষের আঙুল না তুলে নিজেদের  চেহারা আয়নায় দেখা দরকার। আমাদের প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের চরম অবহেলা বা উদাসিনতা অথবা ছি-ছিক্কুরের কারণে মস্ত একটা ভুলকে আমরা ফুল ভেবে গলায় তুলতে বাধ্য হয়েছি, তাতে পরিপূর্ণ লাভটি আমাদেরই হয়েছে বলতে কোনো দ্বিধা নেই এবং এটাই চরম বাস্তবতা।

 

আশরাফ উদ্দীন আহমদ, প্রাবন্ধিক ও গবেষক, রাজশাহী

লাহোর প্রস্তাব বিকৃতির কারণে একাত্তর অনিবার্য হয়ে ওঠে

হোসাইন আনোয়ার ২৩ মার্চ ১৯৪০। পাকিস্তানিরা ভুলে গেছে ২৩ মার্চের ইতিহাস। একটি ভুল ইতিহাসের উপর ভিত্তি করেই ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস পালিত হয় সমগ্র পাকিস্তানে।

ইফতার পার্টি নয়, সেদিন যেন তারার হাট বসেছিল পিটস্টপে

রুহু রুহেল সমাজ ও সংস্কৃতির বড় পরিচয় সম্প্রীতির অটুট বন্ধনে সামনের পথে অবিরাম এগিয়ে চলা। সাম্য সুন্দর স্বদেশ গঠনের জন্য প্রয়োজন বিবিধ মত ও পথকে

নভোচারী সুনিতা মহাকাশে ফুল ফোটায় পৃথিবীতে নারীর পায়ে শেকল পরায় কে?

প্রদীপ খাস্তগীর চমৎকার একটি সফল মহাকাশ সফর শেষ হয়েছে গত ১৮ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৭ মিনিটে। গত বছরের ৬ জুন মাত্র ৮ দিনের

দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ: দর্শনের বিজ্ঞান

রাজেশ কান্তি দাশ দর্শনের ক্ষেত্রে বস্তু ও ভাবের দ্বন্দ্ব অতি প্রাচীন। খ্রিষ্টপূর্ব সময়ের। বস্তুবাদী দার্শনিকেরা মনে করেন বস্তু থেকে জাগতিক সব কিছুর উৎপত্তি। গ্রীক দার্শনিক

মানুষ ও মঙ্গল মানব

সরকার হুমায়ুন দুজন মহাকাশচারী- একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা মঙ্গল গ্রহ অভিযানে গেলেন। তারা নিরাপদে মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করেন। সেখানে তাদেরকে অতিথি হিসেবে মঙ্গলবাসীরা সাদরে