এখন সময়:রাত ৩:০৭- আজ: বৃহস্পতিবার-২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল

এখন সময়:রাত ৩:০৭- আজ: বৃহস্পতিবার
২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-গ্রীষ্মকাল

অন্ধ হলে প্রলয় বন্ধ হয় না

শোয়েব নাঈম

শব্দের মধ্যেই থাকে জীবনের আসল দর্শন। শব্দের কারণেই মানুষ হয় নির্বাসিত। এখন মঙ্গলের অমরতায় ঘামছে গ্রীষ্মের বৈশাখ মাস। মঙ্গল এই শব্দবোধে যতটা কল্যাণ অনুভূত হয়, সামাজিক ভাবাদর্শের বিস্তার হয়, লোকজ উৎসবের প্রণালী অন্তর্ভুক্ত হয়, সামগ্রিকতার দার্শনিকতা যতখানি শুভকুশলে গতিময় এবং মঙ্গল শব্দটি অতিশয় বাচিকতায় যতটা বিস্তীর্ণ হয়; আনন্দ এই প্রবোধ শব্দে এমন ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’- এর ব্যাপকতা কখনো ধারণ করে না। তত্ত্বগত দিক থেকে এবং পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণে মঙ্গল শব্দে ধারণের অসীমতা যতটা বেশি,  আনন্দ হচ্ছে অনুভবে সীমাবদ্ধ এবং সীমিত এক স্থিতি। মঙ্গল কোনো বিন্দু নয়, কোনো শূন্যস্থান নয়, উপলব্ধি থেকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে জন্ম নেওয়া ঝরণাধারা। মঙ্গলের উপলব্ধিতে এই পৃথিবীতে যাপন করা যায় অনেককাল। উপলব্ধি হলো মনের এমন এক ক্রিয়াশীলতা, যখন নীচের দিকে তাকিয়ে হাঁটলে ঘাস হয়ে যেতে ইচ্ছে করে, আবার উপরের দিকে তাকিয়ে হাঁটলে গাছ। বিবিধ চিন্তা বিস্তারে মঙ্গল শব্দ একটি শক্তিশালী কেন্দ্র তৈরি করে। ব্যক্তিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় পথ-প্রদর্শনে এই কেন্দ্রের প্রভাব অধিকতর বেশি।

আনন্দ শব্দবোধে জিজ্ঞাসা-ঋদ্ধ শক্তিতে যেমন অনেক দুর্বল, তেমনি ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রসংক্রান্ত ভাববীজ তৈরিতে অনুর্বর। আনন্দ যতটা স্নায়ুবিক, মঙ্গল এরচেয়ে অধিক আত্মার আত্মিক। মঙ্গল হচ্ছে বোধের একটি সরলরেখা, আনন্দ হচ্ছে সেই রেখার কিছু বিন্দু। সেই সরলরেখা দিয়ে যতকিছু সৃজন করা যায়, আনন্দ হচ্ছে সেই সৃজনের কিছু অনুভূতি। অসংখ্য বিন্দুর ওপর দিয়ে যখন যায়, আসলে সরলরেখার ওপর দিয়ে যায়। সরলরেখার ওপর দিয়ে যখন যায়, আসলে সংস্কৃতির রেললাইনের ওপর দিয়েই যায়। মঙ্গলের গতি এবং আনন্দের স্থিতি এখন বাংলা নববর্ষের উদ্যাপনে সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ বার্তা দিয়ে যাচ্ছে। আগে আনন্দ ছিল মঙ্গলের আশ্রিতবান্ধব, মঙ্গলের প্রতি এখন শুরু হয়ছে আনন্দের রাজনৈতিক হামলা। আক্রমণীয় বাণীতে লেখা আছে— আনন্দের তাপসনিশ্বাসবায়ে মঙ্গলেরে দাও উড়ায়ে। এ বছর বাংলা নববর্ষ চিরচেনা পহেলা বৈশাখের মতন নয়, চাকু আর ক্ষুরের মতন। ১৪৩২ সাল স্তব্ধ এবং ভয়ার্ত। চাকু এবং ক্ষুর লোহার বিস্তার মনে হলেও তবে কখনোই তা লোহার দোষ নয়। সাম্প্রদায়িকতা এবং উগ্রবাদীতা অন্ধকারের বিস্তার হলেও এখানে দোষ নেই সঞ্চিত আধারের, তবে এখানে দায়বদ্ধতা আছে যারা মুক্ত চিন্তা ও সাংস্কৃতিক চর্চা চিন্তা করেন, তাদের।

অজ্ঞতার’ও একটি সংস্কৃতি আছে। অজ্ঞতার সংস্কৃতিজীবীরা বহুত্ববাদী চর্চায় তাদের যে জড়ত্ব আছে তা’ দিয়ে বাংলাদেশের বহুত্ববাদী পরিচয়ের চিন্তা থেকেও তারা অগ্রসরমান থাকতে চায়। অজ্ঞতার সংস্কৃতিজীবী হচ্ছে তারাই, যারা সাম্প্রদায়িকতা এবং  মূর্খতার মাধ্যমে একটি বহুত্ববাদী সমাজকে উগ্রভাবে আক্রমণ করে। আর বহুত্ববাদী সংস্কৃতির স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, যৌক্তিক প্রক্রিয়ায় এবং ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে অজ্ঞেয় চেতনাকে দূরীভূত করা। বাংলাদেশে বহুত্ববাদী চর্চায় সংস্কৃতির স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যৈর মধ্যে একটি হচ্ছে, প্রতিবছর বাঙলা নববর্ষ উদ্যাপন। আর অজ্ঞেয় চেতনাকে যৌক্তিক প্রক্রিয়ায় নিবৃত্তি করার আরেকটি কার্যকারী মাধ্যম হচ্ছে, বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র আয়োজন। শোভাযাত্রার মোটিফে উঠে আসে আয়োজকদের চিন্তার বহুরুপতা। বাংলাদেশের গভীরতর সমস্যা লুকিয়ে আছে ইতিহাসের শিক্ষা বিষয়ক অজ্ঞতার কারণে। লোক সংস্কৃতিজাত মোটিফের বৈশিষ্ট্যৈর কাছে অজ্ঞরা প্রত্যাখ্যান হতে-হতে ক্ষোভ, রাগ এবং ঈর্ষার মিথস্ক্রিয়ায়, অজ্ঞ সংস্কৃতিজীবীরা এখন উগ্রসাম্প্রদায়িক ধারায় চলে গেছে। অজ্ঞদের কর্মফল এখন ধর্মফলে রূপান্তরিত। ধর্মীয় ফলগুলি চোখ রাঙিয়ে যায় চোখে চোখ রেখে। চিরটাকাল বামনদের মতো চিন্তা করতে করতে বেঁকে গেছে তাদের কশেরুকা। ইতিহাস-বিচ্ছিন্ন এই দেশে অজ্ঞতার স্তূপ উগ্রবাদীরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দিন-দিন আরও পুষ্টিলাভ করছে। অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকার হচ্ছে অতি-ডানপন্থী রাজনীতির জোরালো সমর্থক এবং বলিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’য় তুলে ধরা হয় যেসব লোকসংস্কৃতি এবং লোকজ উপাদানে ঘনিষ্ঠ শিল্পবোধ, সেখান থেকে প্রতিফলিত হয় বিশাল সৃজন এবং চিন্তার বিদ্যুৎ। আর ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’য় তুলে ধরা হচ্ছে একধর্মমুখী রাজনৈতিক বার্তা, যেখানে তুলে ধরা হচ্ছে বিশাল বাহুর পেশল বিদ্যুৎ। পাশবিক হুকুমের মতন নতুন করে নামকরণ করা হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’য় ছিল সকল ধর্মের অংশগ্রহণের বার্তা, আর ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’য় সংখ্যাগরিষ্টের ধর্মের বার্তাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এই যে বর্ষবরণে সংখ্যাগরিষ্টকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে এমন শোভাযাত্রায়, এটাই হয়ে উঠেছে সংখ্যাগরিষ্টদের আনন্দ শোভাযাত্রা। এরা যে ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে বেরিয়ে একক ধর্মের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে, এটাই তাদের আনন্দ। এখন তাদের থাবা বিস্তার করবে, লেজের আঘাতে উড়িয়ে দেবে এদেশের বৈচিত্র্যভরা ঝোপঝাড়। তাদের নখের আঁচড়ে এখন টের পাবে বাংলাদেশ— হিংস্রতা কাকে বলে। রক্তক্ষরণ ঘটানো ছাড়া আঁচড়ের আর ভবিতব্য কী?

চারুকলার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ হচ্ছে এক সাংস্কৃতিক বিদ্রোহ, লোকজ শিল্প ও ঐতিহ্যের জাতীয় মেটাফোর, ঢাকার রাজপথে ধ্বনিত এক সৃষ্টিশীল চিৎকার। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রে এক অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান সৃষ্টি করে আছে। বহুত্ববাদী বাংলাদেশের এক অন্যন্য প্রতিচ্ছবি এই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’, যেখান থেকে ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের একটি শক্তিশালী ধর্মনিরপেক্ষ কেন্দ্র তৈরি করা যায়। এখান থেকে দেশবাসীকে সাম্প্রদায়িকতার বিপরীতে সর্বস্তরে মানবিক চিন্তার আহবান জানানো যায়। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ এই সংবেদনের বাহনে আছে মুক্তিযুদ্ধের যে দার্শনিকতার ভিত্তি, এখানে আছে সেই প্রজ্ঞার বিস্তার। এই মানবিক ভাবুকতাকে বৈশ্বিক মাত্রায় উত্তীর্ণ করে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে যেভাবে প্রসার ঘটিয়েছে, চারুকলার শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীল শিল্প, লোকজ সংস্কৃতির প্রতীক, আর শত সহস্র মানুষে মিলে-মিশে যে শুভবোধ জাগ্রত করেছে, কল্যাণ, সুন্দর আর মানবিক জীবনের প্রত্যাশা নিয়ে রাজপথের এ এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়ে উঠেছে। এই শোভাযাত্রা ইতিহাসের ‘সোনালি অধ্যায়’-এর অংশ হয়ে গেছে । ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা অন পহেলা বৈশাখ’— ২০১৬ সালে বাংলা বর্ষবরণের আয়োজনটি ইউনেস্কোর অপরিমেয় বিশ্ব সংস্কৃতি হিসেবে স্বীকৃতির সনদে এভাবে উচ্চতা পায়। এখন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ এমবোশ হয়ে ওঠা গর্বের সোনালী অক্ষর। এদেশের গাছ, মাছ, পাখি, প্রাণী, পতঙ্গ, সবজি সবাই এখন বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের কথা জানে। কিন্তু সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী গোষ্ঠীদের ব্যবহার করে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীরা নানা কূটকৌশলে এই নামকরণ পরিবর্তন করে বহুত্ববাদী বাংলাদেশের ফাটল ধরাতে এখন অনেকবেশি তৎপর। তারা ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’র নামে দেশের মধ্যে ঘৃণা এবং বিদ্বেষের চাষ শুরু করেছে। তাই বাংলা নববর্ষের উদ্যাপনে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামকরণ মুক্ত ও বৈচিত্র্যভরা সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য এক অশনিসংকেত। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বাংলাদেশের মূলধারার চেতনাকে যেভাবে ধারণ করে আছে, নতুন নামকরণে আছে সেই চেতনাকে হরণের বিধিবদ্ধ সম্ভোগউৎসব। এবারের বাংলা নববর্ষের উদ্যাপনে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ যতটা না প্রাণের, এরচেয়ে অধিক হয়ে উঠেছে পলিটিক্যাল। বাঙালীর প্রাণের বৈশাখী আয়োজনে তারা এখন অদৃশ্য শিকল পরাতে চায়। রাষ্ট্র যখন সর্ব প্রণোদিত হয়ে ঘৃণা প্রকাশ করতে চায়, এমন আয়োজনের শোভাযাত্রা তখন মঙ্গল তো অনেক দূরের কথা, আয়োজকরা শোভাযাত্রার অবনতি ছাড়া সামন্যতম আনন্দও প্রবাহিত করতে পারে না।

 

‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ এই নামকরণটি সম্পূর্ণ আকারপ্রাপ্ত হয়েছে সংস্কৃতিজাত শব্দমালা দিয়ে। বাংলা ভাষাযাত্রার ভিত্তি হচ্ছে সংস্কৃত। সংস্কৃত শব্দের রাজযোটক ঘটিয়েই ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামকরণে অভিব্যক্তি ঘটিয়েছেন সংস্কৃত মন্ত্রণালয়। বর্ষ= বছর— সংস্কৃত শব্দ; বরণ= সাদরে গ্রহণ— সংস্কৃত শব্দ; আনন্দ= উৎফুল্লতা— সংস্কৃত শব্দ; শোভা= ঔজ্জ্বল্য— সংস্কৃত শব্দ ; যাত্রা= অতিবাহন—সংস্কৃত শব্দ। ‘মঙ্গল’ শব্দটিও সংস্কৃতজাত এবং বাংলাদেশে সর্বস্তরের জীবনে নিবিড় এবং নির্মলভাবে ব্যবহৃত হয় এই শব্দের। ‘মঙ্গল’ শব্দটি নিয়ে এখন যে আপত্তি, এর ভিত্তি হচ্ছে মঙ্গল শব্দটি বহুত্ববাদ এবং বহুস্তর থেকে উঠে এসেছে। এই ভিত্তির ফাটল ধরাতে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীরা এখন মঙ্গলের স্থলে ‘আনন্দ’ শব্দ বসিয়েছে। আনন্দ শব্দ বসালেও মঙ্গলের মতন জনসম্পৃক্ততা এবং গূঢ়ার্থ প্রকাশে এতটা শব্দব্যঞ্জনা সৃষ্টি হয় না।

এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীদের সাথে নিয়ে এবার সাংস্কৃতিক চর্চার উপর আঁচড় বসিয়েছে। অন্ধ হলে যেমন প্রলয় বন্ধ হয় না, তেমনি ‘মঙ্গল’ শব্দ নিষিদ্ধ করলেও সমাজ থেকে অমঙ্গলের থাবা বন্ধ হয়ে যায় না। যারা সবসময় তাদের আদর্শের বাইরে অন্যান্যদের অমঙ্গলের চিন্তা বেশি করে তাদের আয়োজিত যেকোনো অনুষ্ঠানে শুধু তাদেরই আনন্দ আসবে, সমগ্রের জন্য কখনো মঙ্গল বয়ে আনবে না।  জনসংস্কৃতির ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ এখন পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শিয়াল এবং হায়নারা এবার শিকার করল ‘মঙ্গল’। এই মঙ্গল যে জনসংস্কৃতির আড়ালে বিদ্রোহ পুষে রাখে, শিয়াল এবং হায়নারা তা প্রত্যক্ষ করেছিল ১৯৫২ ও ১৯৭১ সালে।

 

শোয়েব নাঈম, সাহিত্য সমালোচক, কবি ও প্রাবন্ধিক

কাজী নজরুল ইসলাম : বাংলা সাহিত্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রাণপুরুষ

আ.ম.ম. মামুন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামই প্রথম মৌলিক কবি। রবীন্দ্র অনুবর্তী একগুচ্ছ কবির একজন তিনি নন। তিনি অন্যরকম স্বতন্ত্র। শিল্প সাধনায়,

আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথ 

প্রবীর বিকাশ সরকার ১৯২৯ সালে বহির্বিশ্বে অবস্থানকালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনে ঘটেছে যুগপৎ দুঃখজনক এবং আনন্দদায়ক কিছু ঘটনা। যা নিয়ে বাংলায় সামান্যই আলোচনা হয়েছে, অথবা

হিংস্র ও বুনো অপশক্তির বিনাশ চাই

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় গ্রীষ্মকালটা বড়ই অসহনীয় ও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে এই ঋতুটির তেজ আগে কখনও এত তীব্র ছিলো না। ইতোমধ্যেই