মিনহাজুল ইসলাম মাসুম
মন টানে দাম্মামে :
২০২২ সালে প্রথমবার যখন দাম্মাম এসেছিলাম তখন রমজান মাস ছিল। মদিনা থেকে বাই এয়ারে। দূরত্ব প্রায় ১২৫০ কি.মি। মদিনায় ওমরাহ্ হাজিদের কাজ শেষ করে এসেছিলাম। বাকি দিনগুলোর জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলাম বন্ধুবর মোহাম্মদ তারেক শাহকে। আগেই কথা হয়েছিলো দাম্মামে থাকা তালত গিয়াস উদ্দিনের সাথে। গিয়াস ভাই গাড়ি পাঠিয়েছিলো এয়ারপোর্টে কাশেম ভাইকে দিয়ে। নেমে দেখলাম বিশাল এয়ারপোর্ট। আয়তনের দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এয়ারপোর্ট। বিমানে যাত্রী ছিল প্রায় সৌদি নাগরিক। কয়েকজন অন্যদেশের। বিমান থেকে নেমে একটু ঘুরে ফিরে দেখলাম। কল করতেই রাঙ্গুনিয়ার আবুল কাশেম ভাই হাজির! কুশল বিনিময় শেষে গাড়িতে উঠলাম। কাশেম ভাই ড্রাইভ করছেন। ইফতারের সময় হওয়াতে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছেন। আমি স্বভাব সুলভ আস্তে চালাতে বলি। ঠিক ইফতারের সময় কাতিফে আসি গিয়াস ভাইয়ের বাসায়। সবাই ইফতার করতে বসছেন তালত গিয়াস, মহসিন ও কাউসার মামা এবং আরও অনেকে।
রাতে গিয়াস ভাই দাম্মামের সবজি মার্কেট সওক ধ্বলি বা টয়োটাতে পৌঁছে দেয় ইমাম ও মহিউদ্দিন ভাইয়ের দোকানে। হারাম প্লাজার পাশে তালত জসিম ও নাসির ভাইয়ের দোকান আছে। আমার ভগ্নিপতি ইমামসহ আপন পাঁচ ভাই দাম্মাম থাকেন। পাইকারি ব্যবসায়ী। নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করেন এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বেশ বৈষয়িক উন্নতি সাধন করেন। তারা সৌদিতে আছেন প্রায় তিন যুগ ধরে। জসিম ভাইকে জিজ্ঞেস করলে তিনি আটত্রিশ বছর হয়েছে বলে জানান। পুরো জীবনটাই প্রবাসে কাটিয়ে দিয়েছেন একেক জন। আসলে তাদের সফলতার পেছনে রয়েছে আল্লাহর রহমত, মেধা এবং পরিশ্রম। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সৌদি আরবসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধার মাথার ঘাম পায়ে ফেলা এবং রক্ত পানি করা কষ্টে দেশের উন্নতি সাধিত হচ্ছে। সৌদির সব শহরে পর্যাপ্ত বাঙালি ব্যবসা করছেন। আসলে ব্যবসায় রয়েছে বেশি বরকত। আমাদের নবিজি (সা.)ও ব্যবসায়ী উৎসাহিত করেছেন।
রাত ১০টার দিকে আহল্লার আবদুর রহিম ভাইকে কল দিই। রহিম ভাই বলেন, ‘আমি আসছি, আপনি ওখানে থাকেন।’ রহিম ভাই এসে আমাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়। রাতে তার বাসায় নিয়ে গেলে দেখি পূর্ব ধোরলার আজিজুল হক ভাই। দুইদিন রহিমের এখানে থাকি। এদিকে হাজিরা ফোন করতে থাকেন। দেশের যাওয়ার সময় পরশু দিন। সবাই ব্যাগ-ব্যাগেজ বেঁধে প্রস্তুত। সাধ্যমতো শপিং করেছেন হাজিরা। সবচেয়ে প্রিয় খেজুর ও জম জম। আত্মীয়দের বিলাতে হবে। আমিও চলে আসি মদিনায় ফ্লাই নাসে বাই এয়ারে।
দাম্মাম সৌদি আরবের প্রধান সমুদ্রবন্দর এবং অন্যতম বৃহৎ সিটি। পারস্য উপসাগর বেষ্টিত অপরূপ সিটি! দাম্মাম আসলে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী। এ প্রদেশের বিচারবিভাগীয় ও প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং বিভিন্ন সরকারি কার্যালয় ও বিভাগের প্রধান শহর এটি। পূর্ব প্রদেশের মধ্যে দামাম হলো সবচেয়ে বড় শহর এবং রিয়াদ, জেদ্দা, মক্কা, মদিনা, তাইফ এর পরে পুরো সৌদি আরবের মধ্যে ষষ্ঠ বৃহৎ শহর। সৌদি আরবের অন্যান্য ১২টি প্রদেশের রাজধানীর মতো এর গভর্নর নেই। এর পরিবর্তে রয়েছে মেয়র।’ (সূত্র: উইকিপিডিয়া) প্রদেশের অন্যান্য শহরগুলো হচ্ছে: আল হাসা, ক্বাতিফ ক্বারইয়াত আল উলাইয়া, খাফজি, খারখির, আল খোবার, জুবাইল, নাইরিয়া, বুক্বাইক্ব বা আবকিক, রাস তানুরা বা রহিমা এবং হাফার আল বাতেন। আমি দাম্মাম, আল খোবার, জুবাইল, কাতিফ এবং রাস তানুরা গিয়েছি মাত্র।
বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর দাম্মাম:
আয়তনের দিক দিয়ে ‘কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর। সৌদি আরবের ২৭টি বিমানবন্দরের মধ্যে ৪টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। এগুলো হচ্ছে রিয়াদ, জেদ্দা, মদিনা ও দাম্মাম। অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোও আন্তর্জাতিক মানের। কিং ফাহাদ বিমানবন্দর দাম্মাম শহরে অবস্থিত। বিমানবন্দরটির মোট আয়তন ৭৭ হাজার ৬০০ হেক্টর। বিমানবন্দরের তালিকায় অন্যদেশের তুলনায় বেশ বড়সড়। আয়তনে দ্বীপরাষ্ট্র বাহরাইনের চেয়েও বড়। তবে এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বন্দরটির মাত্র ৩ হাজার ৬৭৫ হেক্টর এলাকা ব্যবহৃত হচ্ছে যা বন্দরটির মোট আয়তনের ৫ শতাংশেরও কম। যদি কার্যকর, জাঁকজমক ও বিমান চলাচলের কথা হিসাব করলে বিমানবন্দরটি তালিকার অনেক নিচে নেমে আসবে। ১৯৯৯ সালের নভেম্বর মাসে দাম্মাম বিমানবন্দর চালু হয়। এর আগে আল খোবারের নিকট দাহরানে ছিল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরটি। কিন্তু ১৯৯০ সালের ইরাকের কুয়েত দখলকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ইরাকের ওপর হামলার সময় এটি সরিয়ে আনে। যেহেতু সৌদি আরব ছিলো মার্কিন জোটে, ফলে ইরাকের স্কাড ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা থেকে রক্ষায় এ বিমানবন্দর সরিয়ে আনা হয়েছিলো। বিশ্বের সেরা অন্যান্য বিমানবন্দরগুলো হচ্ছে: ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যুক্তরাষ্ট্র। ডালাস বিমানবন্দর বা ফোর্ট ওর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন ডুলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যুক্তরাষ্ট্র। কানসাস সিটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যুক্তরাষ্ট্র। সাংহাই পুডোং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চীন। কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মিশর। সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর, থাইল্যান্ড। শাল দে গোল বিমানবন্দর, ফ্রান্স। সল্ট লেক সিটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যুক্তরাষ্ট্র। দাম্মাম বিমানবন্দরের জন্য রয়েছে সৌদি আরবের বিশাল প্ল্যান। ভবিষ্যতে এর ব্যস্ততা আরও বহুগুণ বাড়বে নিশ্চিত বলা যায়।
জুবাইল, আল খোবার এবং রাস তানুরায়:
প্রথমবারে আমার দৌড় ছিলো দাম্মাম সিটি ও আল খোবার পর্যন্ত। এবারে জুবাইল এবং রাস তানুরায় গিয়েছি। এতো সুন্দর দাম্মাম সিটি যেদিকে যাবেন সি বিচ আর সি বিচ (ংবধ নবধপয)। সাগরের আরবি বাহার বা বাহরা। বাহরা থেকে বাহরাইন। এখানকার লোকেরা কর্ণিশও বলে। আল খোবারে আছে পারস্য উপসাগরীয় সি বিচ। এর উপর নির্মিত হয়েছে সৌদি-বাহরাইন ব্রিজ। সেকথায় পরে আসবো। জুবাইল, আল হাসা এবং রাস তানুরায় আছে সি বিচ। জুবাইলে যাওয়ার সময় কানুনগোপাড়ার সেলিম ভাইয়ের সাথে দেখা হলো সিকোতে। উনি গাড়িতে থাকায় তাড়াহুড়ো করে বিদায় নিলেন। ভগ্নিপতি ইমাম উদ্দিন ভাই জুবাইলে যাওয়ার গাড়ি ঠিক করে দিয়ে কর্মস্থলে চলে গেলেন। আমি গাড়িতে বসে সেলিম ভাইকে ফোন দিই। ফোন রিসিভ করে বললেন, ‘আমি তো জুবাইলের পথে। চলে এসেছি বেশ কিছু দূর! আপনি চলে আসেন, সেখানে দেখা হবে।’ এ কী শুনলাম হায়! হায়! আমিও তো জুবাইল যাওয়ার জন্য সিকোতে আসা। মনটা একটু খারাপ হলো! কল কেটে দিই। গাড়ি ছাড়তে দেরি দেখে আমি চলে আসি।
এই গাড়িটা চলতে থাকে। আমাদের এলাকার অনুজ মনসুরকে ফোন দিই। সে আমাকে গুগল লোকেশান দেয়। গাড়ি জুবাইল সেন্টারে এসে পৌঁছলে তাকে জানাই। সে বলে, আপনি অপেক্ষা করেন আমি বিশ মিনিটের মধ্যে চলে আসবো। এরপর পশ্চিম পটিয়ার নজরুল ভাইকে কল দিই। তিনি বললেন, ‘আমি অসুস্থ মাসুম ভাই। কিন্তু বিকেলবেলা আসবো দোকানে। দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। যথাসময়ে মনসুর এসে হাজির।
তখন দুপুরবেলা। মনসুর বলে আসুন আগে খেয়ে দেয়ে নিই। বললাম, একটু ওয়াশরূমে যাব। সে আমাকে দ্রুত তার বাসায় নিয়ে যায়। ফ্রেশ হয়ে জোহরের সালাতটা আদায় করি। মজার ব্যাপার! দাম্মামে ভোর সাড়ে চারটার সময় ফজর, বেলা সাড়ে এগার সময় জোহর, বিকেল পৌণে তিনটার সময় আসর এবং পাঁচটার সময় মাগরিব এবং সাড়ে ছয়টার এশার সালাত আদায় করা হয়। মক্কা-মদিনার সাথে সময়ের পার্থক্য এক ঘন্টা। ফলে নতুন যারা দাম্মামে যায় তারা কিছুটা অবাক হন!
মনসুরের সাথে দুপুরের লাঞ্চ সারি একটি পাকিস্তানি রেস্টুরেন্টে। চমৎকার এরাবিয়ান খাবার! এরপর জুবাইল রয়েল কমিশনে তার প্রতিষ্ঠানে যাই। মনসুর বলে, এটা সংরক্ষিত এরিয়া। এখানে আরামকো (অজঅগঈঙ)র তেলের বড় বড় রিজার্ভার রয়েছে। রাতে এ এলাকায় কোনো আজনবি থাকতে পারে না। সন্ধ্যা পর্যন্ত তার সাথে ছিলাম। সেলিম ভাই ফোন করলে মনসুর গাড়িতে করে আমাকে জুবাইলে পৌঁছে দেয়। এরপর সে চলে যায়। পশ্চিম পটিয়ার নজরুল ভাইয়ের সাথে দেখা করি। কথা হয়, ব্রোস্ট সমভিব্যবহারে আপ্যায়ন করায় নজরুল ভাই। এভাবে ঘন্টাখানেক কাটিয়ে সেলিম ভাইয়ের গাড়ি করে দাম্মামে চলে আসি। আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল আজিজুল হক ভাই, ফখরুদ্দিন ভাই, কাজী উজ্বল ভাই, আবদুর রহিম ভাই, নিজাম উদ্দিন ভাই, ছগির ভাই, উসমান ভাই এবং আরও অনেকে।
আল খোবারের তোকবাতে গিয়াস উদ্দিন আহমেদ মামা থাকেন। নায়কোচিত ফিগার, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ এবং সবসময় স্মার্টলি জীবন-যাপন করেন। গত বছর উনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন জেদ্দার মামুন মামা। আমাদের বোয়ালখালীর জামাই। গিয়াস মামা উমরাহ করতে গিয়েছিলেন। পরে জেদ্দায় মামুন মামার বাসায় উঠেছিলেন। তিনি একটা কোম্পানির ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন। আমি তোকবাতে আসার সিদ্ধান্ত নিই। লিমুজিন নিয়ে একদিন সন্ধ্যায় সোজা চলে আসি। তিনি আমাকে রিসিভ করেন এবং অফিসের সবার সাথে পরিচয় করে দেন। তোকবাতে প্রচুর বাঙালি প্রবাসী। সৌদিও প্রত্যেক শহরে একখ- আপনি বাংলাদেশ পাবেন। কলোনীয়েল সিস্টেমে সবাই একতাবদ্ধভাবে থাকেন। সেখানে গিয়াস মামা তার অফিসের সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর আল খোবার বিচে যাই। সেখান থেকে ফিরে রাতে গিয়াস মামাসহ ডিনার করি।
অনেক বছর পর রাস তানুরা বা রহিমায় দেখা হয় সাদারপাড়া গ্রামের আরেক অগ্রজ জাহাঙ্গীর ভাইয়ের সাথে। রহিম ভাই এবং কাজী উজ্জ্বল ভাইসহ রাস তানুরার খামসিনে আবদুল করিম ভাইয়ের বুফিয়াতে যাই। সেখানে ফখরুদ্দিন ভাইসহ নুরুল হুদা তালুকদারের দোকানে দেখা হয়। অনেকক্ষণ তার দোকানে আড্ডা হয়। রাস তানুরা সি বিচে যাওয়ার সময় ফখরুদ্দিন ভাই এরাবিয়ান খাবার নিয়ে এসেছেন। আমরা বিচে অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করি এবং কয়েক ঘন্টা সেখানে কাটাই। ডিনার গ্রহণ করি এবং একথা-সেকথা নানা বিচিত্র কথায় মশগুল হই। শৈশব, কৈশোর এবং বর্তমান জীবন-যাপন নিয়ে অনেক কথা হয়।
সৌদি-বাহরাইন ব্রিজ ঘুরে আসা:
সেজ ভাই মামুন ব্যবসার সুবাদে বেশিরভাগ সময় সৌদিতে এসেছেন। দাম্মামও অনেকবার এসেছেন। ফেসবুকে সৌদি-বাহরাইন ব্রিজের পিক তুলে পোস্ট করেন। চমৎকার ছবি এবং লোকেশান! ফলে দাম্মামে আসার প্রেমে পড়ে যাই! ভেবে রাখি, যদি কখনও দাম্মাম যাই অবশ্যই সৌদি-বাহরাইন ব্রিজ দেখে আসবো। দুপুর বেলা দেড়টা বা ২টার মতো সময় হয়তো হবে। রহিম ভাই বললেন, চলুন মাসুম ভাই সৌদি-বাহরাইন ব্রিজ ঘুরে আসি। আমি ইমাম ভাইকে কল দিয়ে রেডি হতে বলি। চমৎকার শহর দাম্মাম! বেরিয়ে পড়ি রহিম ভাইয়ের কোম্পানির গাড়িতে করে বহু আকাঙ্খিত ব্রিজটা দেখতে। সৌদি আরব আর দ্বীপ রাষ্ট্র বাহরাইনের মধ্যে স্থলপথে যোগাযোগের একমাত্র পথ এ ব্রিজ (করহম ঋধযফ ঈধঁংবধিু)। দুই দেশের যৌথ অর্থায়নে এ ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। পারস্য উপসাগরের (চবৎংরধহ মঁষভ) মধ্য দিয়ে চার লেন বিশিষ্ট ২৮ কিলোমিটার লম্বা সেতু বা কজওয়ে। দুই দিকের অংশই চৌদ্দ কিলোমিটার করে। তৈরি হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। ৩৭ বছর আগে নেদারল্যান্ডের বালাস্ট নিদাম কোম্পানি এটি বানিয়ে ছিলো। খরচ হয়েছিল ৮০০ মিলিয়ন ডলার।
পারস্য উপসাগরের বুক চিরে তৈরি হয় এ ব্রিজটি। মাঝখানে পাথর দিয়ে ভরাট করে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট করা হয়েছে। সৌদিদের জন্য যাতায়াত অনেক সহজ। সৌদি-বাহরাইন দুদেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্কে। ধর্ম, সমাজ, সংস্কৃতি ও আর্থ-সমাজিক অবস্থা বেশ মিল। ব্রিজের মধ্যস্থলে স্থলভাগের পরিবেশ তৈরি হওয়ায় বিনোদন সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশুপার্ক, রেস্তোরাঁ, মসজিদ এবং আরও অনেক দোকানপাট। আমরা আসরের সালাত আদায় করলাম। ওপারে বাহরাইন দেখা যাচ্ছে। রহিম ভাই ভিডিও করতে থাকে। আমি কিছুটা ধারা বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের যাওয়াটা রমজান মাস হওয়ায় ভিজিটরস কম ছিলো। অন্যসময় লোকে লোকারণ্য থাকে। প্রবাসী এবং স্থানীয় ভ্রমণপিপাসুদের বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে প্রিয় জায়গা এখন এটি।
মিনহাজুল ইসলাম মাসুম, সম্পাদক, ইদানীং