জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সম্প্রতি আমাদের দেশসহ উপমহাদেশে যে তাপদাহ শুরু হয়েছে তা থেকে রক্ষা পেতে হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় বৃক্ষরোপণ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই আর আমাদের দেশে বৃক্ষ রোপণের উপযুক্ত সময় হচ্ছে জুন-জুলাই মাস।
আজ থেকে দু’দশক আগে থেকে বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন বিশ্বের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়াতে জমাটবাঁধা বরফ গলে সমুদ্রের পানি বৃদ্ধি পাবে। সে পানিতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বেশ কটি দেশের আংশিক অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাবে। এর প্রভাব এখন বাংলাদেশে পড়তে শুরু করেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতার ঝুঁকিতে থাকা অন্যতম তিনটি ক্যাটাগরিতে ১২টি দেশের তালিকায় বন্যায় প্রথম অবস্থানে বাংলাদেশ, ঝড়ে আছে দ্বিতীয় অবস্থানে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক প্রভাবে ইতোমধ্যে বৃষ্টিপাত হ্রাস, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, অতিঝড়, ভূমিকম্পসহ নানা দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে বাংলাদেশসহ উপমহাদেশে।
প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য বনাঞ্চল বৃদ্ধি করতে হবে। একটি দেশের আয়তন অনুযায়ী ঐ দেশের ২৪ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের দেশের আয়তন অনুযায়ী আমাদের বনভূমি আছে ১৫.৫৮ শতাংশ মাত্র। এর মধ্যে থেকেও প্রতিদিন খবরের কাগজে খবর আসছে হাজার হাজার বৃক্ষ নিধনের। এ সব বৃক্ষ নিধন কঠোর হস্তে দমন করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যৎ অমানিশার অন্ধকারে তলিয়ে যাবে।
বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে দেশকে সবুজায়ন করতে হবে। এতে শুধু নান্দনিক দৃশ্য দেখা দেবে না পাশাপাশি দূষণমুক্ত হবে পরিবেশ ও আবহাওয়া। একটি পরিপূর্ণ বৃক্ষ ১০ জন মানুষের বার্ষিক অক্সিজেনের চাহিদা পূরণ করে। এ ছাড়া ফলদ বৃক্ষ আমাদের শরীরের নানা চাহিদা মেটায়। বৃক্ষরোপণকে এখন সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তর করতে হবে।
শুধু বৃক্ষরোপণ করলে হবে না এর উপযুক্ত পরিচর্যা করে পরিপূর্ণ বৃক্ষে পরিণত করতে হবে। হারিয়ে যাওয়া সবুজাভ দৃশ্য আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন সচেতনতা ও আন্তরিকতার। এ ব্যাপারে আমাদের প্রচার মাধ্যমগুলো ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদেরও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি নেওয়া যেতে পারে। এই নিয়ে আন্দরকিল্লার চলতি সংখ্যায় ‘তাপ প্রবাহে জর্জরিত হবেন, নাকি গাছ লাগিয়ে বাঁচবেন?’ শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে, এটি লিখেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক ফজলুর রহমান। প্রিয় পাঠক এই নিবন্ধেও এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে।

লাহোর প্রস্তাব বিকৃতির কারণে একাত্তর অনিবার্য হয়ে ওঠে
হোসাইন আনোয়ার ২৩ মার্চ ১৯৪০। পাকিস্তানিরা ভুলে গেছে ২৩ মার্চের ইতিহাস। একটি ভুল ইতিহাসের উপর ভিত্তি করেই ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস পালিত হয় সমগ্র পাকিস্তানে।