এখন সময়:রাত ৯:৫৬- আজ: রবিবার-৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

এখন সময়:রাত ৯:৫৬- আজ: রবিবার
৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

পদাবলি – আগস্ট ২০২৪ সংখ্যা

দ্রোহের আগুনে পুড়ে

রূপক বরন বড়ুয়া

 

আমার ডান হাতে সূর্য বাম হাতে চন্দ্র

বুকে আগ্নেয়গিরি দুচোখে ধেয়ে আসে

কেবল অন্ধকার। আমি আলোক চেয়েছি

কারা যেন ডেকে আনে রাজ্যের গ্রহণ!

 

আমি দু’হাত তুলে নিটোল শব্দ এনেছি ধরে

বলতে চেয়েছি কবিতারা বসে যাও

যার যার ঘরে ঘরে। জানি কতদিন তোমরা

গৃহহীন! বীজতলা, সবল গেরস্থালি বেড়ার ফাঁক গলে

দন্তহীন হেসেছে বারবার, আমি ফিরে গেছি

শূন্যতায় ডুবা একাকী ডাহুক! সদ্য গৃহহারা

শেওলা পাতায় পায়ের ছাপ রেখে

ডুবে যাই মৃতের বিবরে।

 

আমারও তো কথা ছিল গল্পের মতো

প্রকাশ্যে শব্দ উড়াবো ছুড়ে দেবো মুক্ত আকাশে

কথাগুলো উড়ে যাবে পাখির ডানায়

তোমাদের কানে কানে শুনাবে উজ্জীবনের গান।

কিছুই হলো না শুধু গোঙানির সুর

মাটিতে পতনের শব্দ বিদীর্ণ করে গেল

একরোখা মাটির বুক।

 

দ্রোহের আগুনে পুড়ে

সুন্দরেরা বুঝি ধীরে আসে জমিনের আলে

রক্তরং মেখে, শুয়ে থাকে অবশেষে

তোমার আমার বুকের পাঁজরে।

 

 

 

 

প্রমত্ত কণ্ঠস্বর

আশীষ সেন

 

প্রতিবাদ প্রতিবার ব্যর্থ ব্যর্থ হলো?

চক্ষু তুলে নাও, চোখের জলের ধারা

রক্ত লিপ্ত হলো

বক্ষ দীর্ণ করো, বুকের রুধির ধারা

আরো লাল হলো

 

কখনো মরিনা, মাটিতেও মিশছি না

খাঁচার গুহায় বাস, বন্দী পাখিও না

আগুন না, নেভালেও নিভছি না

প্রমত্ত কণ্ঠস্বর আমার ঠিকানা।

 

 

 

আবু সাঈদ

নাজিমুদ্দীন শ্যামল

 

আবু সাঈদ বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলো।

মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে

শোষনমুক্তির স্বপ্নগুলো

বুকের মাঝে জমা রেখে

সাহস নিয়ে বেঁচে ছিলো।

মানুষ মানুষ বলতে বলতে

মানবতন্ত্র বুনেছিলো রাজপথে।

 

তবুওতো কারা যেন অন্ধকারেক

পোষা কুকুর লেলিয়ে দিলো তার পেছনে।

মিছিল নিয়ে ছুটতে ছুটতে

আবু সাঈদ মোচড় দিলো।

সাহস নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলো গনপথে।

বুকের পাজর মেলে ধরে

অন্ধকারকে রুখে দিলো।

বুলেট এসে বিঁধে গেলো বুকের মাঝে”

 

শাটের রং লাল হলো রক্তে রক্তে

গণপথে রক্ত ঝরলো অকাতরে

মুক্তিযুদ্ধের এই স্বদেশে

মুক্তি কিনতে রক্ত দিলো আবু সাঈদ।

বোবা দেশের সবাক তরুণ

আবু সাঈদ —আবু সাঈদ ।

 

 

 

 

 

ইতিহাসের পরম্পরা

হো সে ই ন  আ জি জ

 

আমার দাদিমা ‘ঠাকুরমার ঝুলি’র গল্প জানতেন না

জানতেন বিপ্লবের গল্প, ভারতবর্ষের ইতিহাস

শোনাতেন সুভাষ’র বীরত্বকাহিনি, ক্ষুদিরাম’র আত্মত্যাগ

“হাসি হাসি পরবো ফাঁসি, দেখবে ভারতবাসী”

আমার মা ভুলে বসেছিলেন স্বগোত্রীয় স্নেহলতা’র নাম

মনে রাখেননি প্রফুল্ল, সূর্যসেন, প্রীতিলতাকেও

অথচ, তিনিই তাঁর নাতি—নাতনিদের শুনিয়েছেন ছয় দফার গল্প

সাত মার্চের ভাষণ- “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম”

আমার স্ত্রী যেনো নিদেনপক্ষে হেঁটে আসে উনিশশো বায়ান্ন থেকে

হেঁটে আসে বাষট্টি, ছেষট্টি, উনসত্তর, সত্তর, একাত্তরের পথ ধরে

আর জেনে আসে বাঙালির স্বাধিকারের উন্মেষ, স্বাধীনতার ইতিহাস

সে যেনো নাতি নাতনিদের শোনায়Ñ বাঙালির নায়ক, জনক মুজিবের কথা।

 

 

 

হাসিগাছ

আসিফ নূর

 

আমার নিঃসঙ্গ ব্যালকনির ভাঙাচোরা টবের মরুতে

অবশেষে অভূতপূর্ব আশ্চর্য এক হাসিগাছ জন্মেছে।

আমারই ছিটানো জলের আদরে দ্রুত বেড়ে ওঠা

তার ডালপালাময় ফুটেছে যেসব আজব ফুলÑ

তারা ভিন্ন ভিন্ন গন্ধ, রং, আকার ও আকৃতির।

 

অভিনব অদ্বিতীয় এই গাছটিকে একনজর দেখতে

আমার ঘরে উৎসুক লোকজনের ভিড় জমেছে।

মনুষ্যসমাগম দেখে গাছটি পরমানন্দে দেহমন দুলিয়ে

অদ্ভুত সুরেলা ধ্বনিতে হেসে ওঠে আর সাথে সাথে তার

ব্যতিক্রমী ফুলের পাপড়িগুলো প্রজাপতি—পাখার উড়–ক্কু মুদ্রায়

নাচতে নাচতে সব অচিন সৌরভের গৌরব ছড়ায়।

দর্শনার্থী সবারই এক কথা-আমি অনন্য সৌভাগ্যবান, কেননা

এমন হাসিগাছের দেখা রূপকথার গল্পেও পায়নি কেউ।

 

এ—তো গেলো দিনের চিত্র, রাতের গল্প ভয়ঙ্কর ভৌতিকÑ

সন্ধ্যার অন্ধকার ঘন হতে হতে লোকজন চলে গেলে

হাসিগাছের ফুলগুলো সব বিষশালী সাপের ফণা হয়ে

হিসহিস শব্দে লকলকে জিহ্বার নাচে তাণ্ডব শুরু করে।

রাতের সাথে পাল্লা দিয়ে ফেঁাসফাঁস সন্ত্রাস বাড়তে থাকলে

অবাক আতঙ্কে আমি এইকক্ষ ওইকক্ষ ছুটোছুটি করি।

নিশিরাতে হাসিগাছ ঠাট্টাছড়ানো অট্টহাসিতে ফেটে পড়লে

প্রায়শই ঘর ছেড়ে হাঁটতে থাকি রাস্তার অন্ধকারে একা।

 

হাসিগাছের দিন ও রাতের রূপভেদে ছারখার আমি

ভুতুড়ে সত্যের কথা কাউকে বলি না, কেননা শুনলে ওরা

বিশ্বাস তো করবেই না; উল্টো আমাকে খেতাব দেবে ‘পাগল’।

 

তারা আসিফের ছাত্র

রফিক আনম

 

আমার দেশের ভূমি প্রতিরক্ষা কৌশল দুর্ভেদ্য

শত্রুদের ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই হয়ে যায় ধ্বংস

আমাকে সবাই ডাকে সী—মার্শাল সমুদ্র বিজয়ী

আমার সাধের নৌকা সাগরের ঢেউ পানে ছুটে

এই দেশ স্বপ্নে বোনা, এই মাটি একান্ত আমার

আমার মদদে চলে রাষ্ট্রযান কড়া নিয়ন্ত্রণে

মিডিয়ায় স্তুতি পাঠ; রাজপথে অনুগত দাস

আমার বাবার দেশে চোখ তুলে কথা বলে কারা?

 

তারা আসিফের ছাত্র অগ্নিশিখা পরমাণু বোমা

মৃত্যুঞ্জয়ী, ডানপিটে, সর্পগ্রাসী ভয়ংকর বিচ্ছু

স্বৈরাচার তাড়াতেই মাতোয়ারা বন্য ভীমরুল

ঝাঁকে এসে ঘিরে ঘিরে হুল ছুড়ে হুলুস্থুল পলে

গুলির সামনে গিয়ে অকাতরে চিতিয়ে দাঁড়ায়

রক্তের জোয়ারে ভেসে বিজয়ের মোহনায় ভিড়ে

 

 

 

বিশাল বেড়ের বৃক্ষ  

তোফায়েল তফাজ্জল

 

শাখা—প্রশাখা ছড়ানো এক বিশাল বেড়ের বৃক্ষ, বঙ্গবন্ধু।

তুচ্ছজ্ঞান করে এর ছায়া মাড়িও না;

ঝুরিটাও নাড়তে বা নাড়াতে সামনে বাড়িও না ঝোঁকের মাথায়,

মৌমাছি ছড়িয়ে পড়বে বিমান হামলার গতিবেগে।

পিছে এসে যোগ দেবে ভিমরুলের ঝাঁক।

যে চেহারা দেখে দরদী মায়ের মন হয়ে উঠবে

ফোড়া টনটন কিংবা বড়শি—ঝোলা মাছ।

হ্যাঁ, ঝুরিকে দোলনা বানিয়ে যে কারো শৈশবের রাঙা দিনগুলো

দুলতে পারবে- সুখানুভূতির ভাগ নিতে মানা নেই।

 

একা কেন, হাজার মিলেও মহীরুহকে

এদিক সেদিক করতে পারবে না একচুল!

মিছে কেন সময় পচাও, পা বাড়াও জন্ম বেঠিকের পথে ?

ভেতরে দীনতা দেখা দিলে পাখিদের কানে তুলে

ছায়ায় শীতল হও,  ফলে মুখ দাও,  গলা ছেড়ে গেয়ে যাও

পড়ে থাকা বাঁশিটা উঠিয়ে আগের দিনের রাখালের সুরে,

না ছিঁড়ে গাছের পাতা, না খুঁচিয়ে বের করে আঠা।

কেননা, এসব নুন খেয়ে গুণ না গাওয়ার জ্যান্ত আলামত।

 

না, এখানে ইতি নয়, তাঁর শক্তিসামর্থ ও দূরদর্শিতার স্তর আরো ঊর্ধ্বে।

তাই, জগৎ বিখ্যাত বিপ্লবী নেতার অবিনাশী উচ্চারণ,

‘মুজিবকে দেখেছি, দেখিনি হিমালয়।’

অথচ দেশেই তাঁকে তুলে ধরা হয় ক্ষীণকণ্ঠে, ভাঙা স্বরে।

শীর্ষস্থান থেকে টেনে—ছেঁচড়িয়ে নামিয়ে জীবনের ছাড়গুলো

সলিল সমাধি করে বানরের হাসি হাসতে চায় কুলাঙ্গার।

কবে হবে এসবের মাটি, কবে পাবে যথা মূল্য ?

 

 

 

 

পাথরের ফুল

শাহীন মাহমুদ

 

জুরহুমের এক নারী

দরজায় সীমানা আঁকে

সম্মুখ থেকে ফিরে যায় ইব্রাহিম

সাফা মারওয়াহ নিমিষে হয়ে যায়

কালো পাথর।

 

একদল পশু রোজ বিলীন হয়

বিশ্বাসের পাহাড় নড়েচড়ে উঠে

ধর্ম আর বিজ্ঞানের বেওয়ারিশ এলাকা

লিজ হয়ে যায় নাম মাত্র মূল্যে।

 

 

সূর্য হনন

নুসরাত সুলতানা

 

এক ঘন অমাবস্যা রাতে;

ইতর দস্যুরা কেটে ফেল্ল

বাংলার, কাদা, মাটি আর জলকে

আশ্রয় দেয়া বিশাল বটবৃক্ষটিকে

তার সাথে সাথে উপড়ে ফেল্ল;

আরও  অনেকগুলো ছোট, বড়,মাঝারি

ফলবান বৃক্ষ, উপড়ে ফেল্ল লাল

টকটকে একটা গোলাপের চারা।

সাথে  সাথে অন্তর্ধান হল;

মন্দিরের উলুধ্বনি,

গির্জার পবিত্র সৌন্দর্য।

ি¤্রয়মাণ হল শতবর্ষী বৃদ্ধার হাসি

সুর হারাল নদীদের যৌথ গান।

হাসতে ভুলে গেল কিষাণী

ভুলে গেল আঁচলে তার

চাবির গোছা বাঁধতে

তারপর যদিবা চাঁদ উঠেছিল

জোছনাকে ঠাঁই দেয়নি নদী তাঁর বুকে।

যদিবা পতাকা উড়েছে

পতপত শব্দ হয়নি তাতে

পায়রারা উড়েছে কি  ফিরে আর!

সে রাতে ৩২ নাম্বার লেক থেকে

কিছু মাছ ডাঙায় উঠে এসে

ধিক্কার দিয়ে বলেছিল;

ওহে পিতৃ হন্তারক নরপশু শয়তান

প্রকৃতির অভিশাপে

একদিন তোদের….

তারপর যদিবা দ্বিতীয় সূর্যোদয় হল

বাংলার মাটি, জল, কাদা

কভু কি পেয়েছে আর আগের কিরণ!!

 

 

 

 

 

 

বিনষ্ট প্রহর

রুহু রুহেল

 

পৃথক শব্দটি অচিন্তাপুরেই  থাক

চতুর্ভুজে বিছানার চাদর  দৈর্ঘ্য প্রস্থ

মাপঝোঁক লীনত্বে এলোমেলো!

আমার প্রতিদিনের বদঅভ্যাস চাদর জড়িয়ে

বিছানায় কিছু পাশ ওপাশ সময় পার

বর্ষা, শরৎ,হেমন্ত অথবা শীত গ্রীষ্ম বসন্ত বিস্তর!

আমার জীবন  একটি চতুর্বাহুর সমষ্টি

কোথাও ঘুমাতে হলে বাড়ে কষ্ট দ্বিপ্রহর!

কখনো কখনো গায়ে থাকে না চাদর, খসে পড়ে না;

তবে আলগা হয় !  তীব্র ঘুম বেঘোর মুহূর্তে

রাত ভোরের সন্ধিতে ছিন্নতার পরমায়ু খোঁজে

উত্তর গোলার্ধ বলে, একুশ জুনের সূর্য বাড়ায় বেদনা

মেরুকরণ যাই হোক, দুঃখের  দীর্ঘতা বেশ দৃশ্যমান

বাড়ে চিন্তার ‘দুঃ’ উপসর্গ, কমে দূরবর্তী নষ্ট অবসর!

অকৃত্রিম মনভূমে জড়ো হয় পুরনো সম্পর্ক গাঢ়!

লাইলার আলো কিংবা শিরির ফরিয়াদ,রজকিনীর উচ্ছ্বাস,

ক্লিউপেট্রার হেম মোনালিসার অসীম রহস্যভরা হাসি

ভাবুনতো একবার ওটা ছিল মূলত প্রেমের প্রথম গোলাপ!

আমাদের মাটি আর মমতার প্রতি ভালোবাসা

বন্দিত্ব যাপন করে;  অর্থ আর ক্ষমতায়! প্রেমতো প্রলাপ!

শতাব্দী কাল সহস্র পার জীবন ঘনায় অস্তাচলে

শুনে  আসছি বারেবার;  রুপোর কাঠি সোনার কাঠি

ওদল বদল; মোহ ছাড়া কিছু নয়! বিশ্বাস করো

মোহ ছাড়া কিছু নয় ; বিনষ্ট প্রহরে কেউ কারো নয়!

 

 

সুসময়ের ঐকান্তিক প্রত্যাশা

মো. আইনাল হক

 

অনিমেষ; কথা ছিল একদিন

আমরাও দারিদ্র্যতা জয় করে জীবন যুদ্ধে জয়ী হবো

মুঠোবন্দি কুয়াশার কুহেলিকা দিন শেষে

এক চিলতে আলোক রশ্মির তাপে ভেজাবো শরীর।

কথা ছিল মানসিক বন্দিত্বের সীমানা পেরিয়ে

মুক্ত পৃথিবীর অবারিত বুকে

লাল—নীল, সাদা—সবুজ ইচ্ছে ভেলা ভাসাবো।

 

এ কি শুধুই কথার কথা, অনিমেষ?

একদিন, প্রতিশ্রম্নতির ঝাঁপি খুলে বলেছিলে

প্রতিযোগিতার এ বিশ্ব সংসারে ভালোবাসার

সুপ্ত বীজে ভ্রাতৃত্বের সবুজ বনভূমি গড়বো।

কাঁটা তারের প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে

সাম্যের জয়গানে দূরীভূত করবো সীমান্ত প্রাচীর।

বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে

পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে গড়বো প্রকাশ্য সংগ্রাম পরিষদ।

অনিমেষ; আর কত দৈন্যতা ঠেকালে সুদিন আসবে?

আর কত দু’হাত বাড়ালে,

ভগ্ন হৃদয় পোড়ালে,

রক্ত ঝরালে মানুষের সাথে হবে মানুষের সখ্যতা?

 

 

 

টুপটাপ বৃষ্টি

সত্যব্রত খাস্তগীর

 

টুপটাপ বৃষ্টি

শ্রাবনের সৃষ্টি

জনতার তুষ্টি

ঊাংলার কৃষ্টি।

 

উত্তাল মেঘনা

প্রণহানি চাইনা

আর কত ডুববে

শিশুরা যে মরবে।

 

ঝনঝন দেশটা

খাবারের তেষ্টা

বানরের ঝাপটা

হাঙ্গরের লেজটা।

 

খেলারাম খেলছে

মাথা নেড়ে দুলছে

হাড়ভাঙা সাপুড়ে

কোথা যাস বাপুরে?

 

একটু যে থামনা

গল্পটা বলনা

কোথাকার বগীর্

সগবধান খাবে কি?

 

 

 

দৃষ্টিপাত

মুহাম্মদ আস্রাফুল আলম সোহেল

 

চোখ কখনো মিথ্যা বলে না।

হৃদয়েশ্বরী এতো প্রেমে পড়েছে

আমি তার উল্লাস দেখেছি।

ঐ মেঠোপথে দুরন্তপনা।

অব্যক্ত কথাগুলোর জন্য তীব্র আকুতি।

কখনো দুঃসাহসিকতা।

অপলক চাহনির গহিনে সহস্রাব্দের নীরবতা।

কি যেনো শত জিজ্ঞাসা?

বালুকাময় সমুদ্র সৈকতে অনুরাগ দেখেছি।

কখনো তার অপরূপ সৌন্দযের্র মহিমা।

জ্যোৎস্না রাতে পূর্ণিমা চাঁদের সাথে গোপন অভিসার।

বিরহের নৃশংস দাবানলে দগ্ধ হৃদয়ের হাহাকার।

সভ্যতা নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা দেখেছি।

আবার কখনো স্পর্ধিত অহংকার।

কিংবা পরাজয়ের গ্লানিকর মুখচ্ছবি।

তবুও, তার অদম্য পথচলা।

দূরে, বহুদূরে

এক অজানা নৈঃশব্দের জগতে।

তবে কি, সে অপরাজিতা?

প্রেয়সী’র নম্র স্পর্শে উষ্ণ রক্তে উত্তাল ঢেউ উঠে।

তার প্রাণস্পন্দন আমার সত্তাকে নাড়া দেয়।

এক স্বর্গীয় অনুভূতি।

শাশ্বত ভালোবাসা।

আবির প্রকাশন

আপনি দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন- ঘরে বসেই গ্রন্থ প্রকাশ করতে পারেন অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে আবির প্রকাশন থেকে। আমরা বিগত আড়াই দশকে বিভিন্ন

গণতন্ত্রহীন রাজনীতির অনিবার্য পরিণতি

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বাঙালি চিরকালই বিদ্রোহী। ইতিহাসের কোনো পর্বে সে কোনো পরাধীনতাকে বেশি দিন মেনে নেয়নি। উপমহাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্র দিল্লি থেকে দূরে হওয়ায় এবং সাড়ে

বিপ্লব যাতে বেহাত না হয় ( সম্পাদকীয় – আগস্ট ২০২৪)

জুলাই মাসের কোটাবিরোধী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত আগস্টের ৬ তারিখে ১৫ বছর সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়েছে। অভূতপূর্ব এই গণঅভ্যুত্থান ইতোপূর্বে ঘটিত গণ অভ্যুত্থানগুলোকে ছাড়িয়ে