এখন সময়:বিকাল ৩:০৩- আজ: মঙ্গলবার-২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-বসন্তকাল

এখন সময়:বিকাল ৩:০৩- আজ: মঙ্গলবার
২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-বসন্তকাল

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম এবং  তাঁর মানবতত্ত্ব

এস ডি সুব্রত

বাউল গানের অন্যতম কিংবদন্তি  লোকায়ত ধারার সাধক বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম। তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন তার ঘটনাবহুল প্রায় শতবর্ষী জীবন। অভাবের সংসারে  বেড়ে   উঠেছেন বাউল আব্দুল করিম । নিত্য টানাটানির সংসারে হাল ধরতে গিয়ে গ্রামের গৃহস্থের বাড়িতে গরু রাখালের কাজ করেছেন কিশোর বয়সে বাউল  সাধক শাহ আবদুল করিম । লোক   সংস্কৃতির আধার হাওর কন্যা সুনামগঞ্জের  দিরাই উপজেলার ধল আশ্রম গ্রামে ১৯১৬ খ্রি. এর ১৫ ফেব্রুয়ারি  (বাংলা ১৩২২ সালের ফাল্গুন মাসের প্রথম মঙ্গলবার)  জন্ম গ্রহন করেন বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম । পিতার নাম ইব্রাহিম আলী এবং মাতার নাম নাইওরজান বিবি  । পরবর্তীতে ধল আশ্রম গ্রামের   পার্শ্ববর্তী উজান ধল গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন । নিজ গ্রামের নৈশ বিদ্যালয়ে মাত্র আট রাত্রি পড়াশোনা করেছেন তিনি । ছিলেন সংসারের বড় ছেলে । দিনে কাজ শেষে রাত্রিবেলায় বাউল গান আর যাত্রা পালা শুনতে যেতেন  গ্রামে গ্রামে  । নসীব উল্লাহর কন্ঠে বাউল গান শুনে কিশোর আব্দুল করিম বিমুগ্ধ হন এবং আস্তে আস্তে বাউল গানের ভুবনে জড়িয়ে পড়েন । সাধক করম উদ্দিন ও রশীদ উদ্দিনের সান্নিধ্যে বাউলতন্ত্রে মনোনিবেশ করেন।

 

বিভিন্ন জায়গায় আমন্ত্রণ পেয়ে গান গাইতে যেতে থাকেন। আব্দুল করিম থেকে শাহ আব্দুল করিম হয়ে উঠেন মানুষের ভালবাসায়।

বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম মানবতত্ত্ব নিয়ে সব সময় ভাবতেন । মানবজীবনের গুঢ রহস্য নিয়ে তার ভাবনা ছিল প্রবল । মানবজীবন নিয়ে তিনি বরাবরই আগ্রহী ছিলেন । মানবজীবনের মাহাত্ম্য উপলব্ধি করতে গিয়ে তিনি বলেন —

“মানবতত্ত্বের কী মাহাত্ম্য

বোঝে কয়জনে

মানবতত্ত্ব প্রকাশিল

অতি সন্ধানে ।”

শাহ আবদুল করিম বাংলার অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির প্রতি ছিলেন অত্যন্ত আস্থাশীল। তিনি তাঁর এবং তাঁদের বাল্যের অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে স্মরণ করে বর্তমান কালের সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন দৃষ্টে ব্যথিত হয়েছেন। সে বেদনাকে তিনি প্রকাশ করেছেন তাই গানের বাণীতে, ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম। গ্রামের নও-যোয়ান হিন্দু-মুসলমান/মিলিয়া বাউলা গান, ঘাটুগান গাইতাম/আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম\”

আমাদের সাধের মানবজীবন অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী । আমরা এখানে ক্ষণিকের অতিথি মাত্র । এ পৃথিবীর  রুপ রস ও সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ অত্যন্ত সীমিত । চলতে চলতে অনিবার্য সমাপ্তির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের সকলকেই ।  শাহ আবদুল করিম তাঁর গানে এর  প্রতিফলন ঘটিয়েছেন এভাবে —

“আমি আছি আমার মাঝে

আমি করি আমার খবর

আমি থাকলে সোনার সংসার

আমি গেলে শূন্য বাসর” ।

শাহ আবদুল করিম তাঁর সঙ্গীত জীবন সম্পর্কে বলতে  গিয়ে বলেছিলেন, “প্রথম থেকেই আমার গানের প্রতি টান। হিন্দু মুসলমানের দেশ গানের একটা পরিবেশ ছিলো। দাদা সারিন্দা নিয়ে গান গেয়ে বেড়াতো।

‘ভাবিয়া দেখো মনে

মাটির সারিন্দা বাজায় কেমনে\”

গানটা একেবারে ছোটবেলাতে শাহ আবদুল করিমের মনে গভীর দাগ কাটে । তারপর দিনে দিনে তিনি একসময় কেবল গানের সুর-বাণীতেই নিজেকে সমর্পিত করেন। এ কথাটি তিনি তাঁর গানেই প্রকাশ করেছেন সুর ও বাণীর যুগল সম্মিলনে,

“আর কিছু চায় না মনে গান ছাড়া।” তবে, একথাও ঠিক যে, শাহ আবদুল করিমের গান বিনোদনধর্মী কোনো গান নয়। তাঁর গানে বিভিন্ন তত্ত্বকথা ও জীবন দর্শন যেন একাকার হয়ে আছে।  তিনি বলেছিলেন, “দেহতত্ত্বের সাথে দেহ শব্দটি আছে। আর এই দেহ তো শরীর। এর মধ্যে কী কী বস্তু আছে। দেহের মধ্যে চক্ষু আছে, কর্ণ আছেৃ এ সমস্ত আর কি। আমি এসব বুঝি বলে, মানুষে আমাকে পীর বলে মানে। আসলে, দেহ সম্পর্কে যারা ভালো জানেন তাদেরকেই পীর বলা হয়। এই ধারায় আমার মুর্শিদের নাম মওলা বক্স। মানুষের জীবনে পীরদের ভজতে হয়। আর পীর ভজলেই তত্ত্ব কথা পাওয়া যায়। দেহের মধ্যেই সকল সত্য নিহিত  থাকে । দেহ আত্মা ইত্যাদির তত্ত্বই দেহতত্ত্ব। পঞ্চেন্দ্রিয়যুক্ত দেহই যে সকল শক্তির আধার এবং ইহাই যে আধ্যাত্মিক সাধনার একমাত্র পথ- এসব বর্ণনাই দেহতত্ত্ব গানের উদ্দেশ্য।  শাহ আবদুল করিমের দেহতত্ত্বের একটি উল্লেখযোগ্য গান —

“আগে দেহের খবর জানগেরে মন,

তত্ত্ব না জেনে কি হয় সাধন ।

দেহে সপ্তস্বর্গ সপ্ত পাতাল

চৌদ্দ ভুবন কর ভ্রমণ।।

দেখনা খুঁজে কোথায় বিরাজে

তার পরম গুরু আত্মারাম ।।”

শাহ আবদুল করিমের জন্মের মাত্র বছর দুই আগে দেহ রাখেন বাউল সাধক কুষ্টিয়ার ফকির লালন সাঁই। সুনামগঞ্জ অঞ্চলের অন্যান্য সাধকগণ হলেন হাসন রাজা, শীতালং শাহ, রাধারমণ, দূরবীণ শাহ প্রমুখ। তাঁদের সবার গান ও জীবন দর্শনে শাহ আবদুল করিম স্পষ্ট ধারণা রাখতেন।  লালন ফকিরের গান সম্পর্কে তিনি বলতেন –আমি লালন ফকিরের গান শুনেছি, গেয়েছি, তাঁর গান মূলত তত্ত্বগান। রাধারমণের গানের সঙ্গে নিজের গানের মিল-অমিল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শাহ আবদুল করিম বলেছিলেন, রাধারমণের গানের সাথে আমার গানের বেশ মিল আছে। ছোট বেলা থেকে তার গান শুনে আসছি। তাঁর অনেক তত্ত্ব গান আছে, যা হিন্দু মুসলমান সবাই পছন্দ করে। তবে, খুব গভীর তত্ত্ব নাই। তাঁর গানের মধ্যে রাধা-কৃষ্ণের ভাবধারার গান বেশি। আর আমি দেহতত্ত্বকে বেশি ভালোবেসেছি। দেহের মাঝেই সবকিছু আছে। শাহ আবদুল করিম একই সঙ্গে ভক্তিবাদী এবং যুক্তবাদী। ভক্তিকে তিনি যুক্তির নিরিখে বিচার করে নিতেই পছন্দ করতেন। তাঁর সাহসী উচ্চারণ  তাই গান হয়ে উঠেছিল–

‘দেখাও দাও না কথা কও না

আর কত থাকি দূরে।

মুর্শিদ শোনো হে কেমনে চিনি তোমারে।’

ঈশ্বর সম্পর্কে তাঁর সরল ও দৃঢ় যুক্তিবাদী উচ্চারণ ছিল–

‘শুনি উনি আছেন। দেখি নাই তো কোনোদিনৃ।’

যুক্তিবাদী বিবেচনার ভেতর দিয়ে তিনি প্রকৃতিবাদী এবং সর্বপ্রাণবাদীর মতো কথা বলতেন ।শাহ আবদুল করিম বাংলার অন্যান্য সাধকদের থেকে ছিলেন একেবারে ব্যতিক্রম। তিনি সাধনসঙ্গীতের পাশাপাশি রচনা করেছিলেন জনমানুষের অধিকার আদায়ের গান ‘গণসঙ্গীত।’ শাহ আবদুল করিমের  গণচেতনা বাংলাদেশের শহুরে শিক্ষিত সঙ্গীত বিশেষজ্ঞদের কাছে  সমাদৃত ছিল । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক ড. মৃদুলকান্তি চক্রবর্তী বলেন , ”ভাষা আন্দোলন নিয়ে শাহ আবদুল করিমের গান আছে। এদেশের বাউল সাধকদের মধ্যে শাহ আবদুল করিম যে গণচেতনা প্রকাশ করেছেন তা সত্যি অন্যরকম একটা ঘটনা। এছাড়া, তাঁর প্রেমের গানগুলোও অকৃত্রিম যা শহরের আধুনিক শিল্পীদের অবলম্বন বা ভরসার আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে দেখে আনন্দই লাগে।’

ব্যক্তিজীবনে শাহ আবদুল করিম ছিলেন সহজ সরল। সহজ সরলতার পাশাপাশি তিনি ছিলেন তাত্ত্বিক। তাইতো তার কন্ঠে ধ্বনিত হয় – মানবদেহের হাত ও পায়ের বিশ আঙ্গুলের কথা ।  তিনি বলেছেন এভাবে  –“আজব রঙের ফুল ফুটেছে

মানবগাছে

চার ডালে তার বিশটি পাতা

কী সুন্দর আছে ।।”

দেহ তত্ত্ব নিয়ে বাউল সম্রাটের ভাবনা ছিল অতি সুক্ষ্ম। তিনি বলেন —

” গাড়ি চলে না , চলে না

চলে না রে

গাড়ি চলে না।।”

আমাদের এই উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক কিংবা মৌলবাদী ধ্যান ধারণার গভীরে অনুসন্ধান চালালে পাশ্চাত্যের দিকেই অভিযোগের তীর ধাবিত হবে । তবে সেক্ষেত্রে নিজেদের দায় দাযত্বি পুরোপুরি অস্বীকার করার উপায় নেই । ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দু মুসলিম সাম্প্রদাযকিতার জন্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পাশাপাশি  সে সময়ের উচ্চবিত্তরা  দায়ী ছিল বহুলাংশে।  সেদিনের  হিন্দু  উচ্চবিত্তদের লাগানো আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছিলেন মুসলিম উচ্চ বিত্তরা নিজেদের স্বার্থ আর আধিপত্য কায়েমের জন্য।  বাউল  বা  লোকায়ত ধারায় প্রেম ভালোবাসার মাধ্যমে পরকে আপন করার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। বাউল সাধক ও বাউল গীতিকবিদের সাথে সমাজের নিম্নবর্গের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের একধরনের সহমর্মিতা সব সময়ই লক্ষ্য করা যায়।  তারা অতি সহজেই সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখের অংশীদার  হয়ে উঠেন। তারা অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারনা নিয়ে চলতে পছন্দ করেন।  বাংলার  মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে  যেমন বিভিন্ন ধর্মমত গ্রহন  করেছেন আবার, আবার সময়ের খাতিরে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ধর্মের কঠোরতাকে গ্রহণ না করে গ্রহন করেছেন উদারতাকে  এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের এ অঞ্চলে বিকাশ লাভ করেছে বাউল সাধনা।  মাটি ও মানুষের জীবন একাত্ম হয়ে গেছে বাউলের ডেরায়। বাউল একটি জীবন দর্শন। এখানে সাধনা হয়। এখানে চর্চা হয় মানবতার গান, মানুষের গান, অসাম্প্রদায়িক চেতনার গান। অন্যান্য বাউলদের থেকে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমও ব্যাতিক্রম নন।  বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম মানুষের জীবনের সুখ দুঃখ প্রেম ভালোবাসার পাশাপাশি গেয়েছেন অসাম্প্রদাযকি চেতনার গান। দুঃখী মানুষের মনের কথা বলেছেন অন্তর দিয়ে। তার লেখা ও গাওয়া গানে এবং কর্মে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বারবার। আজীবন তিনি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছেন  দেড় হাজারেরও বেশী গানের গীতিকার বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম তার গানে তুলে ধরেছেন শোষন বঞ্চনার কথা, অসাম্প্রদাযকি চেতনার ধারনা। আজ থেকে একশো বছর আগেও  হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ ও হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক  বিরাজমান ছিল। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল গুলো ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য আবাস। এধরনের মনন ও চিন্তার নিদর্শন পাওয়া যায় বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের লেখা ও গাওয়া গানে —–

“আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম

গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান

মিলিয়া বাউলা গান ঘাটুগান গাইতাম

………….. ।”

বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের কাছে সব মানুষ ছিল সমান , এক মায়ের সন্তান । তাইতো তিনি অবলীলায় বলতে পেরেছেন ….

” এইসব নিয়ে দ্বন্দ্ব কেন

কেউ হিন্দু কেউ মুসলমান

তুমিও মানুষ আমিও মানুষ

সবাই এক মায়ের সন্তান ।”

বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে ছিলেন সব সময়ই সোচ্চার । সেটা তিনি প্রকাশ করেছেন তার লেখা গানে। তাই তো তিনি বলতে পেরেছিলেন —

“বাউল আব্দুল করিম বলে সূক্ষ্ম রাস্তা ধরো,

শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে বাঁচার উপায় করো”।

( বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম।

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সংগঠিত করার জন্য সকল ধর্মের মানুষকে আহবান জানিয়েছেন বাউল  সম্রাট শাহ আব্দুল করিম।

“কৃষক মজুর ভাই, হিন্দু-মুসলিম প্রভেদ নাই

বাঁচার মতো বাঁচতে চাই সবাই বলরে” । সিলেট অঞ্চলে একটি আন্দোলন হয়েছিল  ১৯৫৪ সালে। সিলেটের হরিপুরে আবিষ্কৃত হয়েছিল তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র। সেই তেল গ্যাস ক্ষেত্রে জমি  অধিগ্রহণ করার স্বার্থে দেশীয় দালাল গোষ্ঠীর সাথে আঁতাত করে সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর অপতৎপরতা শুরু হয়েছিল।  তখন দেশের প্রগতিশীল নাগরিক এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন। সেই সময় সিলেটের সুনামগঞ্জের বাউল শাহ আব্দুল করিম  “তেল চোরা” দের নিয়ে একটি গান লিখেন এবং বিভিন্ন জায়গায় গানটি ছিল এরকম —

“ হরিপুরে হরিলুট কেন, দেশবাসী কি খবর জানো;

তেলচোরা তেল নিল শোন, এদেশকে করতে চায় শ্বশান ।”

শাহ আব্দুল করিম জীবদ্দশায় পেয়েছেন একুশে পদক ২০০১ ,রাগিব রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার ২০০০, লেবাক এওয়ার্ড ২০০৩, মেরিল প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা ২০০৪, সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড আজীবন সম্মাননা ২০০৫ সহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা । গ্রাম বাংলার সহজ সরল নির্মল পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন শাহ আব্দুল করিম । একদিকে বিশাল হাওরের থৈ থৈ জলরাশি , অন্যদিকে হাওরের দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ তার মনের জগৎকে সমৃদ্ধ করেছে দারুনভাবে। নন্দিত এই বাউল সম্রাট ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর  ৯৩ বছর বয়সে সিলেটের নূরজাহান পলি ক্লিনিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি চলে গেছেন কিন্তু রেখে গেছেন তার লেখা ও গাওয়া অনেক জনপ্রিয় গান যা মানুষের মনকে নাড়া দেয় তুমুলভাবে।

 

এস ডি সুব্রত, প্রাবন্ধিক ও গবেষক (হবিগঞ্জ)

লাহোর প্রস্তাব বিকৃতির কারণে একাত্তর অনিবার্য হয়ে ওঠে

হোসাইন আনোয়ার ২৩ মার্চ ১৯৪০। পাকিস্তানিরা ভুলে গেছে ২৩ মার্চের ইতিহাস। একটি ভুল ইতিহাসের উপর ভিত্তি করেই ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস পালিত হয় সমগ্র পাকিস্তানে।

ইফতার পার্টি নয়, সেদিন যেন তারার হাট বসেছিল পিটস্টপে

রুহু রুহেল সমাজ ও সংস্কৃতির বড় পরিচয় সম্প্রীতির অটুট বন্ধনে সামনের পথে অবিরাম এগিয়ে চলা। সাম্য সুন্দর স্বদেশ গঠনের জন্য প্রয়োজন বিবিধ মত ও পথকে

নভোচারী সুনিতা মহাকাশে ফুল ফোটায় পৃথিবীতে নারীর পায়ে শেকল পরায় কে?

প্রদীপ খাস্তগীর চমৎকার একটি সফল মহাকাশ সফর শেষ হয়েছে গত ১৮ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৭ মিনিটে। গত বছরের ৬ জুন মাত্র ৮ দিনের

দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ: দর্শনের বিজ্ঞান

রাজেশ কান্তি দাশ দর্শনের ক্ষেত্রে বস্তু ও ভাবের দ্বন্দ্ব অতি প্রাচীন। খ্রিষ্টপূর্ব সময়ের। বস্তুবাদী দার্শনিকেরা মনে করেন বস্তু থেকে জাগতিক সব কিছুর উৎপত্তি। গ্রীক দার্শনিক

মানুষ ও মঙ্গল মানব

সরকার হুমায়ুন দুজন মহাকাশচারী- একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা মঙ্গল গ্রহ অভিযানে গেলেন। তারা নিরাপদে মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করেন। সেখানে তাদেরকে অতিথি হিসেবে মঙ্গলবাসীরা সাদরে