সোনালু ফুলের রেণু
এক.
সংবাদটি পৌঁছে দিয়ো
বাসর রাতের অন্ধকার আলোর অধিক
নক্ষত্র এখানে একা নয়
তার সঙ্গে ছায়াপথও আছে
মায়াবতী, কোথাও যেয়ো না তুমি
মনঃকষ্টে ভেসে আছি যমুনার জলে
দেবীকে চেনে না কেউ
অলৌকিক বাতাসে ঘুঙুর বাজে দেবতার জলসায়
ছেলেবেলা হারিয়ে গেছে
এখন যৌবন
মায়াবতী, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করো
ভাতের ভেতরে ছাই
ফরসা বাতাসে উড়ে যাচ্ছে মায়াবী সংসার
সংবাদটি পৌঁছে গেছে
অতঃপর, কী হবে সেটাই ভাবার বিষয়
দুই.
দেখা হবে মেঘনার কূলে
চরের শরীরে কাশের বন
সাদা ফুলে ছেয়ে আছে চরের যৌবন
বিচ্ছেদের নূপুরে বাজে কোকিলের গান
বিছানা কখনো আপন হয় না
আমার কোনো বিছানা নেই
সাতপুরুষের বাস্তুভিটা ছেড়ে চলে এসেছি নদীর কূলে
এখানে সুখ ও অসুখ আছে
বড্ড ক্লান্ত
ঘুমিয়ে যাচ্ছে চোখ
মেঘনার কূলে যাচ্ছি
আঁধারে হারিয়ে যাবে কাশবন
হারিয়ে যাবে উচ্ছ্বসিত জোছনার আলো
তিন.
ভয়-ভয় করে
শূন্য-শূন্য লাগে
কী যেন নেই
কী যেন নেই
অস্থির সকাল
কেউ কিছু বলতে চাইলে বোলুগগে
সবটুকু অনাগ্রহ
প্রজাপতি উড়ে-উড়ে হারিয়ে যাচ্ছে
ঘাসের যৌবন ফেরে অশান্ত দুপুরে
বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামছে
সামনে আঁধার
মধ্যরাত
শেষ রাতে শেষ হবে ভয়-ভয় খেলা
শেষ রাতে শেষ হবে শূন্য,-শূন্য খেলা
চার.
নদী ও নদের সঙ্গে আদরে কাতর হয়
মাঝে-মাঝে ভুলে যায় নদীটি তার নিজস্ব মোহনা
বাবা নদীতে মাছ ধরতে যেতেন
কাদাজলে ভিজে যেত বুকের জমিন
বাবা নেই
নদীটি শুকিয়ে গেছে
মা এখনো অপেক্ষা করেন
নদী থেকে মাছ আসবে
কর্জ চালের সঙ্গে হেরে যাবে ক্ষুধা
বাবা নেই
নদীটিও থাকবে না, এটাই সত্য