এখন সময়:দুপুর ২:০৩- আজ: মঙ্গলবার-২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-বসন্তকাল

এখন সময়:দুপুর ২:০৩- আজ: মঙ্গলবার
২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-বসন্তকাল

শিক্ষার মানোন্নয়নে স্মার্ট ক্লাশ

আবু তৈয়ব:

তথ্য ও অর্থের আদান প্রদানের গতি  সর্বোচ্চ  ও সহজলভ্য করে  মানুষের  জীবনমান আরও উন্নত ও স্বস্তিদায়ক করা সম্ভব। সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করার জন্য ২০০৮ সালে গৃহীত ‘ভিশন-২০২১’-এর প্রধান অংশ ছিল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সফলতা  আমরা এখন ভোগ করে যাচ্ছি। যা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অতিমারির সময় শিক্ষায়, অর্থ ও তথ্য আদান-প্রদানে প্রতিফলিত হতে দেখছি। বিশেষ করে এই অতিমারির সময়ও দেশ ডিজিটালাইজড হওয়ার কারণে শিক্ষায় অগ্রগতির ধারা রুদ্ধ হতে পারেনি বলে বিশ্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। শিক্ষা দাতা-গ্রহীতা সংশ্লিষ্টদের ডিজিটাল সচেতনতা ও সক্রিয়তার কারণে।

মানুষ বর্তমান অবস্থা নিয়ে সন্তোষ্ট থাকতে পারে না,স্বস্তিতে থাকতে পারে না। বর্তমানের চেয়ে আরও একটু আরামে, স্বস্তিতে ও উন্নত মানের জীবন যাপনের ব্যবস্তার জন্য তাড়না অনুভব করে। এখানেই মানুষের বিশেষত্ব, মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। সেই তাড়নায় প্রচেষ্টা না চালালে দেশ পিছিয়ে যায়। এই জন্য দেশ ডিজিটিলাইজড হওয়ার পর উন্নত দেশের কাতারে সামিল হতে পারার জন্য, প্রজন্মকে বিশ্বনাগরিক হওয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ২০২২-এ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করলেন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়।

যা ‘বাংলাদেশ ভিশন -২০৪১’ এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যার লক্ষ্য মাত্রা ২০৪১ এর মধ্যে অর্জন করা।  এখন সেই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ অর্জন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এখন তথ্য আদান প্রদান গত ১০ বছরের চেয়ে ৪ গুণ  বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।

জীবনকে বর্তমানের চেয়ে আরও সহজ ও স্বস্তিদায়ক করার জন্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা সম্ভব হলে আমাদের ভোরবেলা শুরু হতে পারে কেমন করে দেখা যাক।

‘স্মার্ট’ হল একটি জগত। এই জগত এমন জগত যেখানে বস্তুরও ‘অনুভূতি’ থাকে। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সহজেই একটি বস্তু অপর একটি বস্তুর সাথে যোগাযোগ করে নিজের বর্তমান  অবস্থান জানান দিতে পারে,স্বকাজ শুরু করে দিতে পারে। স্মার্ট সেন্সর ও ইন্টারনেট এবং  আরও অনেক মাধ্যমে ডিভাইস সহজে  দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। এতে কীভাবে আমাদের জীবন সহজ হয়ে ওঠে দুই একটি উদাহারণ সামনে আনা যেতে পারে। আমরা ইন্টারনেট অব থিংস এর মাধ্যমে সকালবেলা আরামদায়ভাবে স্বস্তির ভেতর দিয়ে ঘুম থেকে উঠতে পারি। আবার স্মার্ট ক্লাশরুমেও পাঠদান সহজ ও গুণগত মানের করতে পারি।

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠা- ইন্টারনেট অব থিংস এর সহায়তায়।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠলে আমাদের হাতে থাকবে এক ধরনের ‘স্মার্ট ব্রেসলেট’। এই স্মার্ট ব্রেসলেট হাতে লাগানো থাকায় তা আমাদের শরীরের রক্তচাপ, হার্টবিট, সুগারের মাত্রা সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে যাবে। কিন্তু ব্রেসলেটের এই পর্যবেক্ষণ ও তথ্য দেয়ার জন্য স্মার্ট ব্রেসলেট নয় বরং ঘরের অন্যান্য জিনিসের সাথে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেটার সাথে যোগাযোগ থাকার কারণেই তাকে স্মার্ট ব্রেসলেট বলা হচ্ছে। এটা স্মার্ট ব্রেসলেট হওয়ায় ইন্টারনেট অব থিংস এর সহায়তায় ঘরের অন্যান্য ডিভাইস যেমন অ্যালার্ম ঘড়ি, লাইট, ফ্যান, গ্যাসের চুলা ইত্যাদির সাথে যোগাযোগ থাকে। সকালে আপনার উঠার সময়ে তখন বিরক্তকর অ্যালার্ম ঘড়ির ডিংডং শব্দ শুনতে হবে না। উঠার সময় হলে ব্রেসলেটকে শুধু একটা সিগন্যাল দেবে। সেই সিগন্যাল পেয়ে তা আপনার হাতে ভাইব্রেট বা মৃদুভাবে কম্পন দিয়ে আপনার হাতকে নাড়াবে। যার ফলে সকালে সঠিক সময়ে আপনার ঘুম ভেঙ্গে যাবে। আর যখন অপর হাত দিয়ে সেই ভাইব্রেট বন্ধ করে দেয়া হবে তখন ব্রেসলেটটি নিশ্চিত হবে যে আপনি ঘুম থেকে জেগে উঠেছেন। সেই সময় ব্রেসলেটটি সিগন্যাল পাঠাবে ঘরের লাইটিং সিস্টেমে। সেই সিগন্যাল পেয়ে শোবার ঘরের লাইট আপনা থেকে জ্বলে উঠবে। আর সেখান থেকে সিগন্যাল পেয়ে আমাদের প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবহার্য জিনিস বা ডিভাইসগুলোও আমাদের প্রয়োজন মেটাতে সক্রিয় হয়ে উঠবে। এখান থেকে ক্লাস ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার মানোন্নয়নে কীভাবে স্মার্ট ক্লাস কার্যকর তা অনুধাবন করা সহজ হবে।

স্মার্ট ক্লাসরুম

আমাদের সকলের পরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসরুম নিয়েই চিন্তা করি। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে আমেরিকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি ৫ মিনিটের মাঝে ১ মিনিট নষ্ট হয় পড়ালেখার বাইরের বিভিন্ন কাজে। এই কাজগুলোর মাঝে পড়ে রোল ডাকা, কাগজ আদান-প্রদান করাসহ অন্যান্য ব্যাপার। আরও একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ক্লাসের তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, শিক্ষকের গলার স্বরের তারতম্য না ঘটা এসব জিনিসও শিক্ষার্থীদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ইন্টারনেট অব থিংস কীভাবে এর সমাধান দিতে পারে তার একটি উদাহরণ এমন হতে পারে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসের সিটে বসার সাথে সাথেই তাদের উপস্থিতি চলে যাবে কম্পিউটারে। এটি করা যেতে পারে এনওয়াই এময়াই এর মতো হাতে পড়ার উপযোগী ‘স্মার্টব্যান্ড’-এর মাধ্যমে। এই স্মার্টব্যান্ড ইসিজি পেটাম এর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি এটি পরে আছে তা জানান দিতে সক্ষম। শিক্ষার্থীরা সিটে বসলেই এটি সিগন্যাল পাঠিয়ে দেবে, যার ফলে সেই শিক্ষার্থীর উপস্থিতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যাবে। ইইজি টেকনোলজি ব্যবহার করে নিউরোসেন্সরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনিটর করা হবে, ফলে শিক্ষক সেন্সরের রেজাল্ট দেখেই বুঝতে পারবে কোন শিক্ষার্থী তার মাথা বেশি খাটাচ্ছে। ফলে শিক্ষক সহজেই বুঝতে পারবেন যে কোন শিক্ষার্থীর পড়া বুঝতে কষ্ট হচ্ছে, ফলে তিনি সেই সকল শিক্ষার্থীকে বেশি সময় দিতে পারবেন। অনেক দুর্বল শিক্ষার্থী সবার সামনে নিজের প্রশ্নটা বলতে পারে না, তাই তাদের জন্য এই প্রযুক্তি খুবই উপকারী। শিক্ষার্থীদের মনোযোগ নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন শিক্ষক! ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে কথা বলছে? সবার সামনে তাদের ধমক না দিয়ে তাদের হাতে পরা ব্যান্ড বা সামনে থাকা ট্যাবলেটে ‘হ্যাপটিক’ ভাইব্রেশন পাঠাতে পারবেন শিক্ষক- যা অনেকটা আমাদের মোবাইলে নোটিফিকেশন আসার মতো। ইন্টারনেটের মাধ্যমে একে অপরের সাথে সংযুক্ত ডিজাইনের

 

যথাযথ ব্যবহার করে। আমরা আমাদের ক্লাসরুমের অনেক কাজ সহজ করে ফেলতে পারি।

“স্মার্ট ক্লাসরুম’ বলতে কী বোঝায় তা এখান থেকে একটু ধারণা পাওয়া গেল। স্মার্ট ক্লাসরুম বলতে বোঝায় আধুনিক প্রযুক্তি অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ইন্টারনেটভিত্তিক ক্লাসরুম যেখানে সকল শিক্ষার্থী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা লেকচারের কতখানি বুঝতে পেরেছে তা অনেক শিক্ষকই জানতে চান। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে লেকচারের সময় সাধারণত প্রতি ১০ মিনিট পর পর শিক্ষার্থীরা মনোযোগ হারাতে থাকে। যার ফলে দেখা গেছে যে শিক্ষার্থীরা লেকচারের প্রথম ১০ মিনিটে দেওয়া তথ্যের মাঝে প্রায় ৬৫ শতাংশ মনে রাখতে সক্ষম হয়। কিন্তু শেষের ১০ মিনিটের লেকচারের মাত্র ২৫ ভাগের মতো মনে রাখতে পারে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় উন্নতির জন্য শিক্ষকদের এমনভাবে লেকচার দেওয়া উচিত যাতে শিক্ষার্থীরা সহজে মনোযোগ না হারায়। ইন্টারনেট অব থিংসের মাধ্যমে আমরা শিক্ষকদের কাছে তথ্য পৌঁছে দিতে পারি কখন তার শিক্ষার্থীরা মনোযোগ হারাচ্ছে। এটা করা সম্ভব শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর, নড়াচড়া, কথাবার্তা, ভাবভঙ্গি ইত্যাদি বিশ্লেষণের মাধ্যমে। শিক্ষককে পড়া বোঝানোয় ব্যস্ত থাকতে হয়, তাই এই বিশ্লেষণের কাজ করবে বিভিন্ন যন্ত্র। তারা বিশ্লেষণ করে ফলাফল শিক্ষককে পাঠাবে, যার ফলে একজন শিক্ষক বুঝতে পারবেন যে তার লেকচারের কোন সময়ে শিক্ষার্থীরা মনোযোগ হারিয়ে ফেলে।

ইন্টারনেট অব থিংসের মাধ্যমে আরও অনেকভাবেই ক্লাসের পারফরম্যান্স উন্নত করা যায়। তার আগে দেখে নিই যে এটি প্রয়োগের জন্য কী কী প্রয়োজন। ডাটা প্রসেস করার জন্য বেশ কয়েক ধরনের ডিভাইস প্রয়োজন। ক্লাসের ছবি এবং শব্দ রেকর্ড করা, নড়াচড়া চিহ্নিত করা এবং এই ভাটাগুলোকে তাৎক্ষণিক বিশ্লেষণ করে ফলাফল দেখানোর প্রয়োজন হবে। শিক্ষার্থীদের নড়াচড়াকে বিশ্লেষণ করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন ক্যামেরার। বিভিন্ন ছবির মাঝে ক্ষুদ্র ফ্রেমের পার্থক্য থাকবে যার ফলে তা বিশ্লেষণ করে বোঝা যাবে যে কখন শিক্ষার্থীরা বেশি নড়াচড়া করছে। সাউন্ড সেন্সরের মাধ্যমে ক্লাসের সাউন্ড লেভেলের তারতম্য বিশ্লেষণ করা হবে। সকল তথ্য যথাসময়ে শিক্ষকের কাছে পৌঁছাতে পারলে তবেই শিক্ষক সেই তথ্যের পূর্ণ সুবিধা নিতে পারবেন।  সেই সাথে আরও একটি ব্যাপার মাথায় রাখা জরুরি। সেটা হলো শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপমুক্ত রাখা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমন একটি জায়গা যেখানে শিক্ষার্থীরা একে অপরের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সারাক্ষণ নজরদারির মধ্যে রয়েছে- এই ব্যাপার কারো মাথায় ঢুকে গেলে তার পক্ষে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক আচরণ করা সম্ভব না। শিক্ষার্থীদের এই বিশ্লেষণের ব্যাপারে না জানানোই ভালো।

অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় নষ্ট হওয়া থেকে শিক্ষককে মুক্তি দিতে পারে ইন্টারনেট অব থিংস। রোল ডাকার কথাই চিন্তা করা যাক। প্রতিদিন কয়েক মিনিট ব্যয় হয় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বুঝে নিতে। এই সময় সহজে বাঁচানো সম্ভব যদি উপস্থিতি ‘অটোম্যাটিক ভাবে হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা ক্লাসের সিটে বসার সাথে সাথেই তাদের উপস্থিতি চলে যাবে কম্পিউটারে। নিউরোসেন্সরের মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্ক পরীক্ষা করা অর্থাৎ কোন ব্যক্তি বেশি মাথা খাটাচ্ছে তা নিউরোসেন্সরের মাধ্যমেই বলে দেওয়া সম্ভব। এই নিউরোসেন্সরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্ক মনিটর করা হবে শিক্ষক সেন্সরের রেজাল্ট দেখেই বুঝতে পারবেন কোন শিক্ষার্থী তার মাথা বেশি খাটাচ্ছে।

শিক্ষক সহজেই বুঝতে পারবেন যে কোন শিক্ষার্থীর পড়া বুঝতে কষ্ট হচ্ছে, ফলে তিনি সেই সকল শিক্ষার্থীকে বেশি সময় দিতে পারবেন। অনেক দুর্বল শিক্ষার্থী সবার সামনে নিজের প্রশ্নটা বলতে পারে না, তাই তাদের জন্য এই প্রযুক্তি খুবই উপকারী। শিক্ষার্থীদের মনোযোগ নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন শিক্ষক? শিক্ষার্থীরা ক্লাসে কথা বলছে? সবার সামনে তাদের ধমক না নিয়ে তাদের হাতে পরা ব্যা- বা সামনে থাকা ট্যাবলেটে মৃদু ভাইব্রেশন পাঠাতে পারবেন শিক্ষক। যা অনেকটা আমাদের মোবাইল নোটিফিকেশনে আসার মত মৃদু। এতে শিক্ষার্থী বুঝে যাবে যে শিক্ষক তার মনোযোগ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।

আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে দক্ষ পর্যাপ্ত জনশক্তি তৈরি করে নগর-গ্রামে তা দ্রুত ও সহজে কার্যকর করতে পারার সক্ষমতা অর্জনের মধ্যেই  রয়েছে আগামীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। যা ২০৪১ সালের মধ্যে পূর্ণতা পাবে।  বিশ্বের সমতালে উন্নত দেশের সামিল হতে দেশকে ‘স্মার্ট বিশ্বের উপযোগী করে তোলার বিকল্প অন্য কিছু নেই। বিষয়টিতে সর্বস্তরের মানুষকে যত আগে সচেতন ও দক্ষ করে তুলতে পারব ততই দেশ ভবিষ্যতে  এগিয়ে থাকার নিশ্চয়তা পাবে। তাতে আমাদের প্রজন্ম সাশ্রয়ী, টেকসই ও জ্ঞানভিত্তিক সমৃদ্ধ একটি উন্নত দেশে আরও স্বস্তিতে ও সহজভাবে জীবন যাপন করতে পারবে।

 

আবু তৈয়ব, লেখক ও শিক্ষাবিদ

অধ্যক্ষ, খলিলুর রহমান মহিল (ডিগ্রি) কলেজ, পটিয়া

লাহোর প্রস্তাব বিকৃতির কারণে একাত্তর অনিবার্য হয়ে ওঠে

হোসাইন আনোয়ার ২৩ মার্চ ১৯৪০। পাকিস্তানিরা ভুলে গেছে ২৩ মার্চের ইতিহাস। একটি ভুল ইতিহাসের উপর ভিত্তি করেই ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস পালিত হয় সমগ্র পাকিস্তানে।

ইফতার পার্টি নয়, সেদিন যেন তারার হাট বসেছিল পিটস্টপে

রুহু রুহেল সমাজ ও সংস্কৃতির বড় পরিচয় সম্প্রীতির অটুট বন্ধনে সামনের পথে অবিরাম এগিয়ে চলা। সাম্য সুন্দর স্বদেশ গঠনের জন্য প্রয়োজন বিবিধ মত ও পথকে

নভোচারী সুনিতা মহাকাশে ফুল ফোটায় পৃথিবীতে নারীর পায়ে শেকল পরায় কে?

প্রদীপ খাস্তগীর চমৎকার একটি সফল মহাকাশ সফর শেষ হয়েছে গত ১৮ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৭ মিনিটে। গত বছরের ৬ জুন মাত্র ৮ দিনের

দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ: দর্শনের বিজ্ঞান

রাজেশ কান্তি দাশ দর্শনের ক্ষেত্রে বস্তু ও ভাবের দ্বন্দ্ব অতি প্রাচীন। খ্রিষ্টপূর্ব সময়ের। বস্তুবাদী দার্শনিকেরা মনে করেন বস্তু থেকে জাগতিক সব কিছুর উৎপত্তি। গ্রীক দার্শনিক

মানুষ ও মঙ্গল মানব

সরকার হুমায়ুন দুজন মহাকাশচারী- একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা মঙ্গল গ্রহ অভিযানে গেলেন। তারা নিরাপদে মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করেন। সেখানে তাদেরকে অতিথি হিসেবে মঙ্গলবাসীরা সাদরে