এখন সময়:রাত ৯:০০- আজ: শুক্রবার-৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:রাত ৯:০০- আজ: শুক্রবার
৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

২০২৪ সালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী কে এই হান ক্যাং ?

( ২০২৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন উপন্যাসিক, শিশু সাহিত্যিক, কবি ও সৃজনশীল লেখালিখি বিষয়ের অধ্যাপক হান ক্যাং। হান ক্যাং এশিয়ার প্রথম নারী লেখক যিনি সাহিত্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই পুরষ্কার লাভ করেন। কোরিয়ার অন্যতম দৈনিক দ্য কোরিয়া টাইমস- এ প্রকাশিত ২০২৪ সালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী হান ক্যাং কে?- লেখাটি বাংলায় তর্জমা করেছেন অনুবাদক ও শিক্ষক আলমগীর মোহাম্মদ। )

কোরিয়ার ইতিহাসে সাহিত্যে প্রথম নোবেলজয়ী হান ক্যাং ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। গোয়ানজু শহরে । উপন্যাসিক হ্যান সিইউং-ওন তার বাবা। ইয়ুন্সী ইউনিভার্সিটি থেকে ক্যাং কোরিয়ান ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৯৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে হান ক্যাং কবি হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। “লিটারেচার এন্ড সোসাইটি” নামের একটি পাক্ষিক ম্যাগাজিনের শীতকালীন সংখ্যায় চারটি কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে তাঁর সাহিত্যযাত্রা শুরু হয়। সে সময় তিনি একটি সাংস্কৃতিক ম্যাগাজিনে রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন।

পরবর্তী বছর হান কাং কোরিয়ার সাহিত্যে উপন্যাসিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। “ রেড এংকর” নামে তাঁর একটি ছোটগল্প লিখে সিইউল শীনমুন পত্রিকা আয়োজিত সাহিত্য প্রতিযোগীতায় পুরষ্কার লাভ করে।

“ দ্য ফ্রুট অব মাই উইম্যান” , “ ইউর কোল্ড হ্যান্ডস” , “ ব্ল্যাক ডিয়ার” , “ দ্য উইন্ড ইজ ব্লোয়িং” এবং “ গ্রীক লেসন্স” প্রভৃতি উপন্যাস প্রকাশের মাধ্যমে পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যে তিনি কোরিয়ান সাহিত্যের অন্যতম লেখক হিসেবে নিজে তুলে ধরেন। উপন্যাস ছাড়াও ক্যাং শিশু সাহিত্য ও কবিতা লেখায় আত্মনিয়োগ করেন। “ আই পুট দ্য ইভনিং ইন দ্য ড্রয়ার” নামের একটি কাব্যগ্রন্থ ও “মাই নেইম ইজ সানফ্লাওয়ার” ও “ টিয়ার বাক্স” নামে দুটি শিশুসাহিত্যেরও রচয়িতা তিনি।

“ দ্য ভেজিটেরিয়ান” উপন্যাসের জন্য হান ক্যাং ২০১৬ সালে ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল পুরষ্কার লাভ করেন। এই প্রাপ্তি তাঁকে খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছে দেয়। “ ক্রিয়েশান ও ক্রিটিসিজম” নামক একটি পাক্ষিক পত্রিকায় এই উপন্যাসটি ২০০৪ সালে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। ২০০৭ সালে এটি কোরিয়ায় বই আকারে প্রকাশিত হয়।

সিউল ইন্সটিউট অব আর্টস-এ তিনি উঠতি লেখকদের ২০০৭-২০১৮ সময়কালে ফিকশন লেখার কলাকৌশল পড়ান। শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত এই লেখক সম্পর্কে বলা হয় ‘ তিনি এমন একজন অধ্যাপক যিনি সংবেদনশীলতা ও ব্যক্তিত্বের নৈপুণ্যে শিক্ষার্থীদের মুগ্ধ করেন’।

হান ক্যাং তার সাহিত্যিক পরিবারের জন্যও খ্যাত। সিইউং-উন, কোরিয়ার সাহিত্যের অন্যতম উপন্যাসিক, তার বাবা। সিইউং বর্তমানে পচাশি বছর বয়সেও লেখালিখি করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো “ ছুসা” ও “ দ্য লাইফ অভ দাসান” । এই বছরের শুরুতে তিনি “ দ্য পাথ অভ হিউম্যান্স” নামে একটি আত্মজৈবনিক উপন্যাস প্রকাশ করেছেন। প্রথম বাবা ও কন্যা জুটি হিসেবে এই উপন্যাসিকদ্বয় কোরিয়ার বিখ্যাত ইয়াই স্যাঙ সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করে দেশজুড়ে অনেক খ্যাতি অর্জন করেছেন। হান ক্যাং-এর বড় ভাই হান ডং-রিমও একজন উপন্যাসিক।

হান ক্যাং-এর সম্প্রতি প্রকাশিত উপন্যাস “ উই ডো নট পার্ট” (২০২১) কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ জেজ্যুতে ১৯৪৮ সালে সংগঠিত বেসামরিক গণহত্যার করুণ চিত্র তুলে ধরে। এই উপন্যাসের জন্য তিনি গত বছর ফ্রান্সের চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য পুরষ্কার প্রিক্স মেডিসিস লাভ করেন এবং এই বছরের মার্চে এশিয়ান সাহিত্যে আরেকটি ফরাসি পুরষ্কার এমিল গ্যুমে লাভ করেন।

সাংবাদিকদের সাথে আলাপে হান ক্যাং বলেছিলেন উই ডো নট পার্ট” (২০২১ উপন্যাসটি শেষ করতে তাঁর সাত বছর লেগেছিল। তিনি বলেন, ‘এই উপন্যাসটি শেষ করতে পারা ছিলো আমার জীবনে অন্যতম আনন্দের মুহুর্ত‘। যেহেতু তাঁর সাম্প্রতিক দুটো উপন্যাস “ হিউম্যান এক্টস” ও “ উই ডোণ্ট পার্ট” আধুনিক কোরিয়ার ইতিহাসের অন্ধকারতম দিক ও যাতনা নিয়ে রচিত, হান আরো বলেন, তিনি ঘুরে দাঁড়াতে চান এবং সামনের দিনগুলোতে ইতিবাচক ও আনন্দদায়ক কিছু গল্প নিয়ে হাজির হতে চান পাঠকের দরবারে। “ ঠাণ্ডায় ভোগার যথেষ্ট অনুভূতি আমি লাভ করেছি উই ডো নট পার্ট-এর মাধ্যমে। আমি চাইব এবার বসন্ত আসুক” তিনি আরো যোগ করেন।

 

আলমগীর মোহাম্মদ

অনুবাদক, সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ
বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, কুমিল্লা।

আহমদ রফিক: ভাষাসৈনিক থেকে সাহিত্য-গবেষণার আলোকবর্তিকা

শাহেদ কায়েস   আহমদ রফিক (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর ১৯২৯-মৃত্যু: ২ অক্টোবর ২০২৫) বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ভুবনে আহমদ রফিক একটি উজ্জ্বল নাম। তিনি একাধারে

অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

আন্দরকিল্লা ডেক্স \ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের আত্মজীবনী ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

ফেরা

সৈয়দা মাসুদা বনি   নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের কথা শোনা থাকলেও আদতেই সেটা কেমন জানা ছিল না রিশানের। এটাই তাহলে মৃত্যুর পরের জগৎ, সে ভাবে। সে ভাবতে

ফিরে যাওয়া

বিচিত্রা সেন   রুবা.. রুবা খবরদার, না খেয়ে এক পাও বাইরে দিবি না। মুশকিল হয়ে যাবে কিন্তু! মায়ের হুমকিতে অগত্যা রুবাকে দাঁড়াতেই হয়। মা যে

চিরহরিৎ বৃক্ষের গল্প

সুজন বড়ুয়া   ছাদে উঠে দেখি শানবাঁধানো উঁচু আসনে একা বসে আছেন হরিৎবরণ ঘোষাল। একটু অবাক হলাম। এ সময় তার ছাদে বসে থাকার কথা নয়।