এখন সময়:সকাল ৭:১৮- আজ: রবিবার-১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:সকাল ৭:১৮- আজ: রবিবার
১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

জেগে থাকুক বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনায়

স্থিতি, শান্তি, স্বস্থি, সহিষ্ণুতা, সম্প্রীতি ও শৃংখলা— একটি জনকল্যাণমুখী আধুনিক রাষ্ট্রের সার্বিক শ্রীবৃদ্ধির প্রধান উপকরণ ও উপাদান—এব্যাপারে কারো কোনো দ্বিমত থাকার অবকাশ নেই। মানুষের যে পাঁচটি মৌলিক অধিকার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা এগুলোর বাস্তবায়ন ও বাস্তব প্রতিফলনের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের ভারসাম্যমূলক পরিশুদ্ধ ও সমৃদ্ধ সমাজব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং তখনই সাম্য, সৌভ্রাতৃত্ব, সম্পদের সুষম বণ্টনের মধ্য দিয়ে বৈষম্যমূলক সমাজ কাঠামোটি সর্বজনীন ও গণমুখী সুষমায় আলো ছড়ায়।
এই উপমহাদেশে একমাত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এবং ৩০ লক্ষ মানুষের সম্মিলিত রক্তধারায় শৌর্য-বীর্য-ত্যাগের মহিমায়। এই অর্জন সাধিত হয়েছে দীর্ঘ চব্বিশ বছরের লড়াই-সংগ্রাম আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এবং ঔপনিবেশিক শোষণ, দাসত্ব ও বৈষম্য মোচন ও মুক্তির অভিপ্রায়ে ৫৩ বছর আগে ১৯৭১ সালে। এই তিপান্ন বছর খুব একটা বেশি সময় নয়; আবার কমও নয়। কেন কম নয় —এরই মধ্যে বাংলাদেশের তেরশত নদ-নদীতে অনেক জল গড়িয়েছে, অনেক নদী গতি হারিয়ে শুকিয়ে গেছে, সাড়ে সাতকোটি মানুষের সংখ্যাটি ১৮ কোটির কাছাকাটি পৌঁছেছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অদল-বদল হয়েছে, ধনী আরও ধনী হয়েছে, গরিব আরও গরিব হয়েছে, ক্ষমতার ভীত পাকাপোক্ত করতে সংবিধান কাঁটাছেড়া করা হয়েছে, অধিকার ও দাবি আদায়ে রক্ত ঝরেছে, দু’জন রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করা হয়েছে, সামরিক স্বৈরাচার দেশ চালিয়েছে, গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছে, টানা সতের বছর ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন ইত্যাদি ইত্যাদি নেতিবাচক তালিকা লিখতে এক রিম কাগজেও কুলোবে না। তবে এটাও ঠিক, অর্জন ও প্রাপ্তির তালিকাও দীর্ঘ। বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ। প্রায় ১২টি মানবিক ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে অনেক এগিয়ে। তবে চাওয়া-পাওয়া, হারানো-না পাওয়ার হিসেব নিকেশ বিশ্লেষণে না গিয়েও বলা যায় বাংলাদেশের নব জাগৃতির উদিত-উজ্জ্বল সম্ভাবনাটি ছিনতাই হয়েছে, এটা বললে খুব বেশি বাড়াবাড়ি হবে কি? না তা মোটেও বাড়াবাড়ি নয়। সম্পাদকীয়’র শুরুতেই জনকল্যাণমুখী আধুনিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের যে ছটি উপকরণ ও উপাদানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোর একটিরও সিংহভাগ উপস্থিতি বর্তমানে বিদ্যমান নয়। ১৩০০ নদ-নদী, সমুদ্রের পলল বিধৌত পৃথিবীর বৃহত্তম উর্বরতম এই বঙ্গজ ব-দ্বীপ প্রাকৃতিক সম্পদ ঐশ্বর্যে টইটম্বুর আদি ও অনাদীকাল থেকে। হাজার বছর ধরেই পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে দুর্বৃত্ত বেশে ছুটে আসা বণিক লুঠেরা অবাধে অকাতরে এ মাটিতে লুণ্ঠনযজ্ঞ চালিয়েছে। পর্তুগিজ, মঙ্গোলীয়, ওলন্দাজ, ফরাসি, মোঘল, আরব ও বৃটিশ বেনিয়া এবং অতঃপর পাকিস্তানীদের নির্লজ্জ শোষণ ও লুণ্ঠনের পরও বাংলাদেশের সম্পদ ও ঐশ্বর্যের টান পড়েনি। তাই বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা লুণ্ঠিত হলেও তা নিঃশেষ ও তিরোহিত হয়নি।
আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ইতিহাসের উল্টো যাত্রা ইতিহাসের পাতায় কলংক হিসেবেই লেখা থাকে। এই কলংকের দাগ ও ক্ষতচিহ্ন বাঙালির ভাগ্যরেখায় লেখা ছিল বা এখনও আছে। তাই আর যেন লেখা না হয়।

একজন রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষ ও তাঁর তোলা কিছু দুর্লভ আলোকচিত্রের কথা

আলম খোরশেদ অনেকেই জানেন যে, প্রখ্যাত ফরাসি কল্পবিজ্ঞানলেখক জ্যুল ভের্ন এর কিংবদন্তিতুল্য গ্রন্থ ‘অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইজ’ অবলম্বনে ১৯৫৬ সালে হলিউডে একই নামে

প্রগতির পথে, জীবনের গান, সকল অশুভ শক্তির হবে অবসান” এই আহবানে উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের ৫৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

\ ভাস্কর ধর \ সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করার আহ্বানের মধ্য দিয়ে এবং প্রগতির লড়াইকে দৃঢ় করার দৃপ্ত শপথের মধ্য দিয়ে উদীচীর ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। 

আমার বাবা কর্নেল তাহের

জয়া তাহের   আমাকে যখনই কেউ জিজ্ঞাসা করেন, কর্নেল তাহেরের মেয়ে হিসেবে আপনার অনুভূতি কি? আমার চোখের সামনে এক নিমেষেই ভেসে ওঠে ৪০ বছরের অসংখ্য

ছাগল-মাহাত্ম্য

ড. ইউসুফ ইকবাল ভূপৃষ্ঠের বঙ্গ-ভূভাগে দ্রুতবর্ধমান প্রাণিকুলের মধ্যে সর্বাগ্রে উল্লেখযোগ্য প্রাণিটির নাম ছাগল। আমাদের একচুয়াল ও ভার্চুয়াল প্রতিবেশ-বাস্তব ও মেটাফোরিক পরিমণ্ডলে এর প্রভাব অপরিসীম। ছাগলের

সৈয়দ মনজুর কবির-এর অনুগল্প

শুধুই কলিজার টুকরা পারে   সম্প্রতিক সৃষ্টি হওয়া চরম বিপরীতমুখী দুই পরিবারের মাঝে একটি টানা বেড়ার আড়াল। শুধু ওপাশের আম গাছটির ছড়ানো লম্বা ডালটি চলে